ধূমপান বনাম ভ্যাপিং: কোনটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ
ধূমপান বনাম ভ্যাপিং: কোনটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ, ধূমপান এর ক্ষতিকর দিকের বিষয়ে আমরা আসলে অনেকই জানি। কিন্তু বর্তমানে আরো একটি প্রবণতা বেড়ে গেছে আর সেটি হল ইলেকট্রিক সিগারেট বা ভ্যাপিং।
আজকের আর্টিকেলে তাই আমাদের মুখ্য আলোচনায় বিষয়, ধূমপান বনাম ভ্যাপিং: কোনটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। আজকের আর্টিকেলে উপরোক্ত বিষয় নিয়ে তথ্যবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করার চেষ্টা করব।
সূচীপত্রঃধূমপান বনাম ভ্যাপিং:কোনটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ
- ধূমপান ও ভ্যাপিং কি?
 - ধূমপান ও ভ্যাপিং এর ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট
 - ধূমপান ও ভ্যাপিং এর ধারণা ও প্রসার
 - ধুমপান এর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
 - ভ্যাপিং এর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
 - ধুমপান বনাম ভ্যাপিং তুলনা ও বিশ্লেষণ
 - সুপারিশ ও পরবর্তী ধাপ
 - প্রশ্ন ও উত্তর
 - শেষ কথা
 
ধূমপান ও ভ্যাপিং কি?
  ধূমপান ও ভ্যাপিং দুটি নাম আলাদা হলেও এর কার্যকারিতা বা এর কাজ কিন্তু আমার কাছে
  মনে হয় একই অর্থাৎ দুটোই মুখ দিয়ে ফুসফুসে শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে এক ধরনের
  ধোঁয়া স্বাদ গ্রহণ করা হয় কিন্তু দুটির পদ্ধতি দুই রকম চলুন আলোচনা করা যাক
  দুটি পদ্ধতি আসলে কি রকম।
ধূমপান ঃ-
ধূমপান হোক তামাক পোড়ানো অর্থাৎ কাগজ এবং তামাক এর সংমিশ্রণে অর্থাৎ কাগজের ভেতরে তামাক ঢুকিয়ে তাতে আগুনে পুড়িয়ে এক ধরনের ধোয়া তৈরি হয় এবং সেই ধোয়াকে মুখের মাধ্যমে ফুসফুসে নিয়ে গিয়ে এর স্বাদ গ্রহণ করা হয়।
আরো পড়ুনঃ প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করুন
তামাক পোড়ানোর ফলে যে ধোয়া তৈরি হয় তার মধ্যে কার্বন মনোক্সাইড এবং বিভিন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক থাকে । যা শ্বাসনালী এর মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং মানুষ এর স্বাদ গ্রহণ করে। এর ফলে কোন উপকার নেই যা আছে সব অপকার। বা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতি এই ধূমপান বা তামাক পানের ফলে ফুসফুসেসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে বিভিন্ন ধরনের রোগের বাসা বাঁধে উল্লেখযোগ্য হিসেবে ফুসফুসের ক্যান্সার রোগ, হৃদরোগ , শ্বাসকষ্ট রোগ এমন অনেক রোগের সৃষ্টি হয়।
  অন্যভাবে বললে বলা যায় সিগারেট বা ধূমপান এর ফলে আপনাকে তিলে তিলে অর্থাৎ ধীরে
  ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায় আবার বলা যায় এই ধূমপান অর্থাৎ সিগারেট সমস্ত
  মাদকদ্রব্য সেবনের মূল উৎস। ধূমপান অর্থাৎ সিগারেটের থেকেই শুরু হয় যে কোন
  মানুষের মাদকদ্রব্য সেবন করা এখান থেকে শুরু হয় এবং আরো অনেক মাদকদ্রব্য যেগুলো
  রয়েছে সেগুলো খাওয়া শুরু হয় এর ভালো কোন দিক বা কোন উপকার আসলে নেই আছে শুধু
  অপকার শরীরের ক্ষতি মস্তিষ্কের বিকৃতি। 
ভ্যাপিংঃ-
ধূমপান ও ভ্যাপিং এর ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট
  ধূমপান ধূমপানের ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট সুপ্রাচীন আজ থেকে বহু বছর আগে তামাক গ্রহণ
  শুরু হয়েছিল।অনুমান করা হয় আজ থেকে প্রায় বারো হাজার বছর আগে আমেরিকার এক
  গ্রামে কৃষকদের মাঝে তামাক গ্রহন শুরু হয়েছিল। তারপর ধীরে ধীরে এটি বিশ্বব্যাপী
  ছড়িয়ে পড়ে অনুমান করা হয় ১৮ শতকদের দিকে এটি বিশ্বকাপে বাজার করা হয় এবং
  বিশ্বব্যাপী বাজার জাত করার জন্য ১৮ শতাব্দীদের দিকে এটি কিউবা ও
  ক্যারিবিয়ানদের দ্বীপপুঞ্জে এটির চাষ শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে এটি বাজারজাত করা
  হয় তাই একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে ধূমপান বা তামাক শ্রবণ বহুদিনের
  প্রাচীন।  
ভ্যাপিং এর ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট খুব বেশি দিনের নয় প্রথম ইলেকট্রিক সিগারেট ১৯৬৫ সালে তৈরি করা হয়েছিল তবে এটি ২০০৩ সালে প্যাটেন্ড করা হয় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ২০০৭ সালে উত্তর আমেরিকায় এগুলো চালু হয় এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
ভ্যাপ মূলত চালু হয়েছিল সিগারেটের বিপরীত বা বিকল্প হিসাবে কিন্তু কালের বিবর্তনে বা সময় পার হওয়ার সাথে সাথে ভ্যাপিং এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে ভ্যাপিং এর নিকোটিং থাকে যদিও এটি সিগারেটের বিকল্প হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ঝুঁকি বা ক্ষতির পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। একটি ভ্যাপের নিকোটিনের পরিমাণ 50 টি সিগারেটের সমান হতে পারে তরুণদের মধ্যে ভ্যাপিং এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের ধূমপান আসক্ত হওয়ায় সম্ভাবনা আরো বেড়েছে।
  তবে কিছু ক্ষেত্রে ধারণা করা হয় ভ্যাপিং বা ইলেকট্রিক সিগারেট প্রথম ১৯৬৫ সালের
  তৈরি করা হয়েছিল কিন্তু এর জনপ্রিয়তা বা ব্যাপকতা ছড়িয়ে পড়ে ২০০৭ সালে
  অর্থাৎ খুব দূরবর্তী নয় বা প্রাচীন নয়। 
ধূমপান ও ভ্যাপিং এর ধারণা ও প্রসার
  ধূমপান তামাক পাতা কে পুড়িয়ে যে বাষ্প তৈরি হয় বা ধোয়া তৈরি হয় সে ধোয়া বা
  বাষ্পকে  নিঃশ্বাসের  মাধ্যমে স্বাদ গ্রহণ করাকে ধূমপান বলে। ধূমপান
  একটি প্রাচীন পদ্ধতি শত শত বছর থেকে এ ধূমপান তামাক পাতা মানুষ গ্রহণ করে আসছে।
  যার ফলে এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে এমন কোন দেশ নেই যেখানে ধূমপান করা হয়
  না বা এই পদ্ধতি চালু নেই তাই ধূমপান একটি প্রাচীন পদ্ধতি কিন্তু যুগেযুগে এর
  আকার ও পরিবর্তন হয়েছে পদ্ধতি এক রকম হলেও। 
ভ্যাপিং একটি নতুন পদ্ধতি খুব বেশি পুরাতন নয় এটি প্রথম দিকে সিগারেট অর্থাৎ ধূমপানের বিপরীত বা বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হলেও বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের কাছে এটি অধিক জনপ্রিয় এবং ধীরে ধীরে এ জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে।ভ্যাপিং একটি ইলেকট্রিক ডিভাইস বা ই-সিগারেট সাধারণত নিকোটিনযুক্ত তরঙ্গ পদার্থকে উত্তপ্ত করে যে বাষ্প তৈরি করা হয় এবং সেই বাস ের মাধ্যমে সাত গ্রহণ করা হয় তরল পদার্থটি কে উত্তপ্ত করা হয় তার মাঝে অর্থাৎ তরলটির মাঝে থাকে নিকোটিন প্রোফিলিন গ্লাইকোল গ্লিসারিন এবং বিভিন্ন রাসায়নিক স্বাদের মিশ্রণ।
যদিও মনে করা হয় ভ্যাপিং এর মাধ্যমে যে স্বাদ বা বাষ্প গ্রহণ করা হয় সেটির সিগারেটের থেকে ক্ষতিকর কম কিন্তু এটি ভুল ধারণা। কারণ ভ্যাপিং ও স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর আসলে মাদকদ্রব্য যে-ই হোক না কেন যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হোক না কেন সেটি মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর তথ্য মতে এমনও ভ্যাপিং এর তরল রয়েছে যার মাধ্যমে স্বাদ গ্রহণ করলে ধারণা করা হয় 50 টি সিগারেটের চেয়েও ক্ষতিকারক।
  কিন্তু বিভিন্ন রকম সাধ বা নতুন হওয়ার জন্য বর্তমান প্রজন্ম অর্থাৎ তরুণ প্রজন্ম
  দের মাঝে ভ্যাপিংয়ের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে আসলে যখন ভ্যাপিং এর
  ইলেকট্রিক সিগারেট নিঃশ্বাসের সাথে ভেতরে টানা হয় তখন একটি সিগারেটের থেকে অনেক
  বেশি ধোয়া হয় যা তরুণ প্রজন্মকে বেশ আকৃষ্ট করে এবং এ আকৃষ্টের ফলে দিনে দিনে
  এর জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে। 
ধুমপান এর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
  বর্তমানে ধূমপানের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে বহুদিন আগে অর্থাৎ আজ থেকে শত শত
  বছর আগে শুরু হয় ধূমপান একটি ধীরস্থির মৃত্যু পান অর্থাৎ ধূমপান এর ফলে ধূমপায়ী
  ব্যক্তি ধীরে ধীরে বিভিন্ন রোগ এবং এই রোগের ফলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ধূমপানের
  ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুস এবং ধীরে ধীরে শরীরের অন্য
  অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ওপর প্রভাব ফেলে আজকের আর্টিকেলে সেসব বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা
  করব।
মৃত্যু
  প্রতিবছর ধূমপানের ফলে বহু মানুষ মৃত্যুবরণ করে দীর্ঘকাল ধূমপান করার জন্য
  শরীরের শক্তিশালী অংশগুলো বা অঙ্গগুলো যেমন ফুসফুস হৃৎপিণ্ড এর ওপর বেশি
  প্রভাব পড়ে এবং ধীরে ধীরে ক্যান্সারের রূপ নেয় যার
  ফলে ধুমপায়ি ব্যক্তিবর্গ ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঝড়ে পড়ে 2015 সালে
  একটি গবেষণায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিগারেটের সেবনের ফলে মোট মৃত্যুর 17
  পারসেন্ট ছিল ধূমপানি ব্যক্তি যাদের এই ধূমপানের ফলে বিভিন্ন রোগ শরীরে বাধা বেধে
  ছিল।
ক্যান্সার
  তামাক ব্যবহারের প্রাথমিক ঝুঁকি হলো বিভিন্ন রকম ক্যান্সার ফুসফুস আক্রান্ত ধীরে
  ধীরে তা কিডনিতে আক্রান্ত করে ক্যান্সার সৃষ্টি হয় মূত্রথলিতে ক্যান্সার সৃষ্টি
  হয় পাকস্থলী তে ক্যান্সার সৃষ্টি হয় খাদ্য নালীতেও ক্যান্সার সৃষ্টি হয় অর্থাৎ
  ধীরে ধীরে দেখা যায় ক্যান্সার সৃষ্টির একটি মূল অংশ হচ্ছে ধূমপান এটি
  প্রাথমিকভাবে আক্রান্ত হয় না বহুদিন ধূমপান করার ফলে ধূমপানি ব্যক্তিবর্গ এরকম
  ধরনের বড় অসুখ এর দিকে ধীরে ধীরে ধাবিত হয়।
ফুসফুস
  ধূমপানের ফলে আক্রান্ত হওয়া মানুষের অঙ্গর আরেকটি অঙ্গ হলো ফুসফুস যা ধূমপানের
  কারণে এর মধ্য থেকে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান যেমন কার্বন-মনোক্সাইড সায়ানাইড
  প্রভৃতির সংস্পর্শে দীর্ঘদিন থাকার ফলে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ধীরে ধীরে তার
  ক্যান্সারে আকার ধারণ করতে থাকে ধূমপানের ফলে প্রতিটা অঙ্গই ধীরে ধীরে
  আক্রান্ত হয় যার ফলে ধূমপাই ব্যক্তি সেরকম ভাবে গুরুত্ব দেয় না
  প্রাথমিক দিকে কিন্তু দীর্ঘদিন ধুমপান করার ফলে এক বড় ধরনের অসুখ সৃষ্টি
  হয়।
মুখগহর
  মুখের ভিতর ক্যান্সারে প্রধান হল তামাক জাতীয় জিনিস সেবন করা ফুসফুসের ক্যান্সার
  হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন সমস্যা অর্থাৎ ক্যান্সার জনিত বিভিন্ন অসুখ এবং
  ধূমপান করার ফলে দাঁতের বিভিন্ন দাগ এবং রং সৃষ্টি হয় দাঁত ক্ষয় হয়ে যায়
  এবং  মুখ গহরে ক্যান্সার সৃষ্টি হওয়ার মূল কারণ হলো ধূমপান।
যৌন অক্ষমতা
অধুম্পায়িদের তুলন াই ধূমপায়ি ব্যক্তিবর্গের যৌন অক্ষমতায় ভোগার হার অধিকাংশ ধূমপানের ফলে যৌন চাহিদা অনেকটা কমে যায় সেক্ষেত্রে যৌন অক্ষমতা বা যৌন রোগ সৃষ্টি হয় অর্থাৎ যৌন রোগ সৃষ্টি করার কারণ স্বরূপ ধূমপান মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
বন্ধ্যাত্ব
  ধূমপট ডিম্বাশয়ের জন্য ক্ষতিকর শুধু ক্ষতিকর বললে ভুল হবে এটি বন্ধুত্বের অন্যতম
  কারণ নিকোটিন এবং অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান বন্ধত্ব সৃষ্টি করে এটি হরমোনের
  ডিম্বাশয় এর ক্ষতি করে এবং বাচ্চা হওয়া থেকে বিরত থাকে এর ক্ষতির পরিমাণ
  নির্ভর করে ধূমপানের সময়কাল ও পরিমাণের ওপর অর্থাৎ ধূমপানের ক্ষেত্রে কিছু
  ক্ষতি হয়ে যায় যেগুলো অপরনীয়।
গর্ভ অবস্থা
  বেশ কিছু গবেষণা দেখা যায় যে কোন মা গর্ভকালীন অবস্থায় যদি ধূমপান করে তাহলে
  তার গর্ভে যে সন্তান অবস্থান করে সে ভ্রুন এর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি হতে
  পারে গর্ভবতী মা ধূমপান করলে ও যেমন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে তেমনি গর্ভকালীন
  অবস্থায় পরোক্ষভাবে ধূমপানের শিকার হলেও সন্তান ওজন বিশিষ্ট শিশুর জন্ম হতে পারে
  শিশু গর্ভে অবস্থান করাকালীন ধূমপানের সংস্পর্শে আসলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বা
  রোগের সমস্যা ও রোগ সৃষ্টি হতে পারে।
ভ্যাপিং এর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
আগেই বলেছি, ধূমপান মাত্রায় ক্ষতিকর সেটা হোক ধূমপান বা ভ্যাপিং । ভ্যাপিং ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্য হয়নি ঘটে এর ফলে শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন রকম রোগ সৃষ্টি হয় হৃদপিণ্ড আক্রান্ত হয় এবং শরীরের বিভিন্ন রকম রোগ সৃষ্টি হয়।
শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রভাব
ভ্যাপিং এরোসল এর মত থাকার তরল পদার্থ অর্থাৎ যে তরল পদার্থ দিয়ে ধোয়া সৃষ্টি হয় যেখানে নিকোটিনের পরিমাণ অত্যাধিক থাকে সে তরল পদার্থ ফুসফুসে গিয়ে শুকনো করার মতন ক্ষত সৃষ্টি করে যার ফলে জ্বালাপোড়া এবং প্রধান অতিথি হয় এবং এর প্রভাবে ফুসফুস মারাত্মক রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
হৃৎপিন্ডের ওপর প্রভাব
ভ্যাপিং এর ফলে রক্তচাপ হৃৎপিণ্ড এর ওপর বিভিন্ন রকম প্রভাব সৃষ্টি হয় এবং এ সমসাগ্রস্ত হওয়ার কারণ থেকে হার্ট অ্যাটাকের মতন মারাত্মক রোগের সৃষ্টি হয় এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। ভ্যাপিং এর ফলে হৃদপিন্ড ের কম্পন অনেকটাই ব্যর্থতায় পরিণত হয়।
মস্তিষ্কের ওপর প্রভাব
ভ্যাপিং সাধারণত বেশি আক্রান্ত তরুণরা অর্থাৎ ভ্যাপিং তরুণদের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দিনে দিনে যার ফলে ভ্যাপিং এর মাধ্যমে ধূমপান সাধারণত তরুণ রায় আক্রান্ত যার ফলে তরুণদের মস্তিষ্কের উপর বিরূপ ভাবে পরে স্মৃতিশক্তি এবং নিকোটিনের প্রভাবে ফলে শেখার নেতিবাচক প্রভাব থেকে বিরত হয়ে যায় আস্তে আস্তে। এবং বিষন্নতা এবং উদ্বেগের সৃষ্টি করে।
সাধারণ রোগ
ভ্যাপিং এবং ধূমপান দুটো শরীরের জন্য অত্যন্ত মারাত্মক ক্ষতিকারক ভ্যাপিং এর ফলে মুখের ভিতর এবং গলার ভিতর জ্বালাপোড়া করে বিভিন্ন রকম রোগ সৃষ্টি হয় এবং অনেক জটিল রোগের সৃষ্টি হয়। ভ্যাপিং ফলে দাঁত ও মাড়ি র স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হতে পারে তবে পদ্ধতিটি নতুন হওয়ায় এখনো এর ক্ষতিকারক আসল দিক হিসেবে মারাত্মক আকার ধারণ করে এমন কোন কিছু এখনো পরীক্ষাধিন রয়েছে ।
এর কারণ স্বরূপ বলা যায় এখনো যেহেতু ভ্যাপিং এর ব্যাপকতা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে নাই, তাই এর গবেষণা বা খারাপ দিকগুলো সম্বন্ধে এখনো সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।তবে একটা কথা সঠিক মাদকদ্রব্য শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর সেটা হোক না কেন যেকোনো মাদক।
ধুমপান বনাম ভ্যাপিং তুলনা ও বিশ্লেষণ
| গুণক | ধূমপান | ভ্যাপিং | 
|---|---|---|
| নিকোটিন | উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে | ধূমপানের থেকে আরও বেশি নিকোটিন রয়েছে | 
| বিষক্রিয়া | ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায় | এটিও ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায় | 
| হার্টের ক্ষতিকর | হৃদরোগের ঝুঁকিপাড়ায় | হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ সম্ভাবনা বাড়ায় | 
| ফুসফুসের ক্ষতি | ফুসফুসের অতিরিক্ত ক্ষতি হয় ক্যান্সারের সম্ভাবনা অনেক বেশি | ফুসফুসের প্রদাহ এবং অন্যান্য রোগের কারণ হতে পারে | 
| মানসিক ক্ষতি | মানসিক ক্ষতি অত্যন্ত প্রকার | ধূমপানের তুলনায় মানসিক ক্ষতি | 
| যৌন অক্ষমতা | অতিরিক্ত ধূমপান এর ফলে যৌন চাহিদা নষ্ট হয়ে যায় ফলে যৌন অক্ষমতা দেখা দেয় | এর ক্ষেত্রে ধূমপানদের থেকে কম ক্ষতিকর তবে দুটোতে ক্ষতি কর হয়ে থাকে। | 
সুপারিশ ও পরবর্তী ধাপ
যেহেতু ধূমপান এবং ভ্যাপিং দুটি মানব দেহের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং বিভিন্ন রোগ বালাই সৃষ্টি হওয়ার জন্য প্রধান উপকরণ সেহেতু সবাইকে তামাক শ্রবণ বা তামাক জাতীয় জিনিসপত্র থেকে বিরত থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি আমার এ আর্টিকেলের মাধ্যমে।
সরকারিভাবে এর ক্ষতিকারক দিকগুলো বারবার মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে যাতে মানুষ তামাক শ্রবণ থেকে দূরে সরে যেতে পারে এবং সবাইকে উৎসাহিত করতে হবে তামাক শ্রবণ থেকে দূরে থাকার জন্য। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম এখন অনেকে আসক্ত এই তামাকে তরুণ প্রজন্মকে তুলে রাখার জন্য তামাক শ্রবন থেকে দূরে রেখে খেলাধুলা বা অন্য কোন কাজের দিকে তাদের মনোনিবেশ করতে হবে তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করার জন্য এটি উৎকৃষ্ট পন্থা।
প্রশ্ন ও উত্তর
  প্রশ্নঃ ধূমপানের থেকে ভ্যাপিং কি কম ক্ষতিকর?
উত্তরঃ ধূমপান একটি প্রাচীন পদ্ধতি যে করুন থেকে এর ক্ষতিকর দিকসমূহ সম্বন্ধে সঠিকভাবে বলা সম্ভব অর্থাৎ ধূমপান মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি রাসায়নিক পদার্থ অপরদিকে ভ্যাপিং একটি নতুন পদ্ধতি তা এর ক্ষতিকর দিকটি সঠিক ভাবে বলা মুশকিল তবে তামাক মাত্রই ক্ষতিকর।
প্রশ্নঃ ধূমপান ও ভ্যাপিং জন্য কি কি রোগ হতে পারে?
উত্তরঃ ধূমপান এবং ভ্যাপিং জন্য অনেক অনেক গুরুতর সৃষ্টি হয় মানব দেহে তবে কমন একটি মারাত্মক রোগের নাম ক্যান্সার অতিরিক্ত ধূমপান বা অতিরিক্ত ভ্যাপিং শ্রবনের ফলে মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি হয় এর মধ্যে কমন একটি রোগ হচ্ছে ক্যান্সার।
প্রশ্নঃ ধূমপান ও ভ্যাপিং কি একই পদ্ধতি?
উত্তরঃ ধূমপান একটি প্রাচীন পদ্ধতি যা সিগারেট নামে পরিচিত অর্থাৎ সিগারেটের মাধ্যমে তামাক পাতায় আগুন ধরিয়ে সে বাষ্প হয় বা ধোয়া হয় সে ধোয়াটা মানবদেহে প্রবেশ করিয়ে গ্রহণ করা হয় অপরদিকে ভ্যাপিং হচ্ছে ই -সিগারেট অর্থাৎ এক ধরনের তরল পদার্থকে গরম করে , বাষ্প বা ধোয়া তৈরি করা হয় এবং সে বাষ্প মানব দেহে শ্বাস-প্রশ্বসের সাথে গ্রহণ করা হচ্ছে ভ্যাপিং। এতে নিকোটিনের পরিমাণ অত্যাধিক থাকে।
  প্রশ্নঃ গর্ভকালীন সময়ে ধূমপান করলে অন্তঃসত্ত্বা শিশুর কি ক্ষতি
  হয়?
উত্তরঃ হ্যাঁ গর্ভকালীন সময়ে ধূমপান বা ভ্যাপিং উভয়ে গ্রহণ করলে গর্ভকালীন শিশুর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
প্রশ্নঃ ধূমপান এবং ভ্যাপিং গ্রহণ করলে মৃত্যুর ঝুঁকি কতটুকু?
উত্তরঃ ধূমপান এবং ভ্যাপিং একটি ধির বিষ অর্থাৎ ধূমপানের ফলে মানুষ বা ব্যক্তি ধীরে ধীরে শরীরের মধ্যে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয় এবং মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়।
প্রশ্ন: ধূমপান বনাম ভ্যাপিং: কোনটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ?
উত্তর: ধূমপান বনাম ভ্যাপিং উভয়েই স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ তবে ধূমপান প্রাচীন পদ্ধতি বহুদিনের পদ্ধতির সেজন্য এর ক্ষতিকারক দিকগুলো সম্বন্ধে সবারে জানা অপরদিকে ভ্যাপিং একটি নতুন পদ্ধতি যার ফলে এর ক্ষতিকারক দিকগুলো সম্বন্ধে খুব একটা জানা সম্ভব হয়নি।
শেষ কথা
  বর্তমান যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এ মাদক শ্রবণ এর জন্য। তাই যুব সমাজকে
  নির উৎসাহিত করতে হবে মাদক এর জন্য এবং মাদকের ক্ষতিকর দিকগুলো ই যথাযথভাবে
  প্রচার করে যেতে হবে যাতে সব শ্রেণীর মানুষরা ধূমপানের ক্ষতিকার
  দিক সম্বন্ধে জানতে পারে এবং বুঝতে পারে।
ধূমপান একটি মারাত্মক এবং ক্ষতিকর জিনিস মানবদেহের জন্য আমি চেষ্টা করেছি আজকের আর্টিকেলে ধূমপান এবং ভ্যাপিং এর ক্ষতিকর দিকগুলো সম্বন্ধে আশা করি অনেক উপকার হবে আজকের আর্টিকেলটি আজকের মত এখানেই শেষ করছি দেখা হবে পরবর্তী আর্টিকেলে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।



টাইম বিডি ২৪ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url