পাসপোর্ট কি? পাসপোর্ট করবার নিয়মাবলী

পাসপোর্ট, প্রত্যেকটা নাগরিকের জন্য পাসপোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস বা ডকুমেন্টস এককথায় বলা যায় পাসপোর্ট আপনার নাগরিকত্ব অর্থাৎ যেমন ভোটার আইডি কার্ড পরিচয় বহন করে যে আপনি বাংলাদেশের নাগরিক তেমনি পাসপোর্ট ও আপনার পরিচয় বহন করে আপনি কোন দেশের নাগরিক অর্থাৎ আপনার নাগরিকত্ব।

পাসপোর্ট কথাটা শুনলেই মনে হয় বিদেশে যাব আসলে দেশ ছেড়ে অন্য কোথাও বেড়াতে গেলে বা অন্য দেশে বা শুধু বেড়াতে গেলেই না চিকিৎসা বা কাজের ক্ষেত্রে অর্থাৎ কর্মক্ষেত্রে গেলেও এ পাসপোর্ট লাগবেই আজকের আর্টিকেলে তাই বর্ণনা করবো আলোচনা করব পাসপোর্ট কিভাবে করতে হবে এবং পাসপোর্ট কি কি কাজে ব্যবহৃত হয় সর্বোপরি পাসপোর্ট নিয়ে সমস্ত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ।

সূচিপত্র ঃ- পাসপোর্ট কি? পাসপোর্ট করবার নিয়মাবলী 

পাসপোর্ট কি ?

পাসপোর্ট কি ? এক কথায় যদি বলা যায় পাসপোর্ট হচ্ছে আপনার পরিচয় আপনার জাতীয়তা আপনার নাগরিকত্ব প্রত্যেকটি মানুষের পাসপোর্ট একটি অপ্রয়োজ্য অংশ আপনি কোন দেশের নাগরিক তা ভোটারের আইডি কার্ড যেমন প্রমাণ করে এবং ভোটার আইডি কার্ডটি আপনি বাংলাদেশের সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য যেমন ভোটার আইডি কার্ড প্রয়োজন হয় তেমনি পাসপোর্ট ও আপনার পরিচয় বহন করে পাসপোর্ট অনেক সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও ব্যবহার করা হয়।

যদি আপনি বিদেশে যান সেটা হতে পারে চিকিৎসার জন্য হতে পারে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে বা জীবন জীবিকার জন্য অর্থাৎ অন্য দেশে কাজকর্ম করে ইনকাম করার জন্য সে ক্ষেত্রে দেশের বাইরে গেলে এই পাসপোর্ট আপনার পরিচয় বহন করবে আপনি কোন দেশের নাগরিক, হ্যাঁ এটাও ঠিক শুধু পাসপোর্ট দিয়েই বিদেশে বা বাইরে দেশে যাওয়া যায় না সে ক্ষেত্রে ভিসা লাগে অর্থাৎ আপনি যে দেশে যাবেন সে দেশের একটা পারমিশন বা অনুমতি কিন্তু আপনি কোন দেশ থেকে এসেছেন বা আপনি কোন দেশের নাগরিক তা জানার জন্য তার প্রমাণস্বরূপ পাসপোর্ট একটি দলিলি প্রমাণ। পাসপোর্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস আশা করি এটা বুঝতে পেরেছেন।
আজকের আর্টিকেল তাই হতে চলেছে এই পাসপোর্ট কিভাবে বানানো যায় , পাসপোর্ট বানাতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে এবং তার নিয়মাবলী কি চলুন ধাপে ধাপে জানবো পাসপোর্ট বানানোর নিয়মাবলী গুলো।

পাসপোর্ট কি কাজে ব্যবহৃত হয়

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এর নিয়মাবলী গুলো কি কি? সেটা জানার আগে চলুন জেনে নেই পাসপোর্ট সাধারণত কি কি কাজে ব্যবহৃত হয়।
পাসপোর্ট যেহেতু আপনার নাগরিকত্ব এর  পরিচয় বহন করে আপনি কোন দেশের নাগরিক তা পাসপোর্ট এর মাধ্যমে জানা যায়, সেক্ষেত্রে প্রথমেই বলতে হয় দেশেই পাসপোর্ট ভোটার আইডি কার্ডের সমকক্ষ বা ভোটার আইডি কার্ডের পরিবর্তে বা ভোটার আইডি কার্ড সহ পাসপোর্ট ডকুমেন্টস অনেক সময় লাগে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে।
বিদেশে ভ্রমণ করতে বা বিদেশে চাকরি করতে অর্থাৎ বিদেশে যেতে  চাইলেই পাসপোর্ট প্রয়োজন, একটু ব্যাপকভাবে বলতে গেলে যদি আপনি কোন দেশে ভ্রমণ করতে বা ঘুরতে  যেতে চান তাহলে উক্ত দেশের অনুমতি পত্র লাগে অর্থাৎ ভিসা লাগে এই ভিসা পেতে হলে অর্থাৎ ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে পাসপোর্ট অবশ্যই লাগবে আপনি যদি কোন দেশে চাকরি করতে চান সে ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রেও পাসপোর্ট লাগবে।

বিদেশে ঘুরতে গেলে, ঘুরতে যাওয়ার অনুমতি পত্র অর্থাৎ ভিসার আবেদনের জন্যও আপনাকে পাসপোর্ট এর ডকুমেন্টস দেখাতে হবে বিদেশে কোন ব্যবসা করতে গেলেও  পাসপোর্ট লাগবে সর্বোপরি দেশের গন্ডি পেরিয়ে যে কাজেই যান না কেন বিদেশে যাওয়ার জন্য যেমন অনুমতি পত্র লাগে অর্থাৎ ভিসা লাগে সে ভিসা অনুভূতিরপত্রের জন্য পাসপোর্ট লাগবে। বিদেশে পড়াশোনা বা অন্য কোন কনফারেন্স এর জন্য গেলেও পাসপোর্ট লাগবে। বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে যে কোন দেশের নাগরিক হয়ে অন্য আরেকটি দেশের নাগরিকত্ব চাইলেও পাসপোর্ট লাগবে। আশা করি এতক্ষণে পাসপোর্টের গুরুত্ব যে কতটা  অপরিসীম তা বুঝতে পেরেছেন। 

পাসপোর্ট এর প্রকারভেদ 

বাংলাদেশ সরকার তার দেশের নাগরিকত্বের কাজের জন্য বা সরকারি কাজের জন্য সাধারণত তিন ধরনের পাসপোর্ট ইস্যু করে থাকে আজ এই আর্টিকেলে তিন ধরনের পাসপোর্ট কোনটা কোন রকম এবং কোনটা কি কাজে ব্যবহৃত হয় সবকিছুই আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।

১. সবুজ পাসপোর্ট বা সাধারণ পাসপোর্ট / অডিনারি পাসপোর্ট
২. নীল পাসপোর্ট বা অফিসিয়ালি পাসপোর্ট
৩. লাল পাসপোর্ট বা কূটনৈতিক পাসপোর্ট / ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট

  • সবুজ পাসপোর্ট বা সাধারণ পাসপোর্ট / অডিনারি পাসপোর্টঃ- 
এই সবুজ পাসপোর্ট বা সাধারণ পাসপোর্ট সাধারণত বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের জন্য অর্থাৎ বাংলাদেশের কোন নাগরিক বিদেশ ভ্রমণ চিকিৎসা সেবা বা কাজের ক্ষেত্রে অর্থাৎ কর্মক্ষেত্র বা অন্য কোন যেকোনো কাজের জন্য বিদেশে যেতে চাই তাহলে বাংলাদেশ সরকার সবুজ পাসপোর্ট বা সাধারণ পাসপোর্ট ওইসব জনগণের জন্য বা ঐসব নাগরিকত্বের জন্য ইস্যু করে। 
  • নীল পাসপোর্ট বা অফিশিয়ালি পাসপোর্টঃ-
অনেক সময় দেশের স্বার্থে বা দেশের কোন কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ যেতে হয় এটি সাধারণত অর্থাৎ নীল পাসপোর্টটি সরকারি কর্মকর্তা এবং কর্মচারীর জন্য বাংলাদেশ সরকার ইস্যু করে থাকে সাধারণত এইসব ব্যক্তি বা নাগরিক সরকারি। ভাবেই দেশের বাইরে যায় বা বিদেশে যাই।

  • লাল পাসপোর্ট বা কূটনৈতিক পাসপোর্ট / ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্টঃ-
লাল পাসপোর্ট বা কটনৈতিক পাসপোর্ট সাধারণত সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্ব পালনে ব্যক্তিবর্গ এ লাল পাসপোর্ট ব্যবহার করে অন্য দেশে কূটনৈতিক বা ডিপ্লোম্যাটিক বা রাজনৈতিকভাবে কোন কাজে গেলে সেই ব্যক্তিকে লাল পাসপোর্ট বা কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাংলাদেশ সরকার  ইস্যু করে।
আশা করি বাংলাদেশের পাসপোর্ট সম্বন্ধে বা পাসপোর্ট প্রকারভেদ বিষয়ে আপনাদের মনে আর কোন দ্বন্দ্ব থাকবে না আমি চেষ্টা করেছি অত্যন্ত বর্ণনা সাপেক্ষে পাসপোর্টগুলোর প্রকারভেদ আপনাদের কাছে তুলে ধরতে। 

পাসপোর্ট করতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে আমার মনে হয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন বা অনেক গুরুত্বপূর্ণ এই অংশটুকু যেখানে আপনি বিদেশ যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট আপনার জন্য অবদরিত একটি ডকুমেন্টস সেখানে পাসপোর্ট করতে যে যে ডকুমেন্টস লাগে সেগুলো যদি সঠিকভাবে সাবমিট না করেন তাহলে পাসপোর্ট ইস্যু হবে না সে ক্ষেত্রে আপনাদের বলব এই জায়গাটুকু আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়বেন। 
পাসপোর্ট করতে হলে প্রথমে আপনি যে বাংলাদেশের নাগরিক অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্র দিতে হবে জন্ম নিবন্ধন সনদ দিতে হবে ( যদি আবেদন কারী এর বয়স ১৮ বছরের কম হয়)  পাসপোর্ট করার জন্য বাংলাদেশ সরকার যে ধরনের ফি উল্লেখ করে রেখেছেন সেটা তা ব্যাংকে জমা দিতে হবে , এবং ব্যাংক থেকে জমাদানের প্রমাণ অর্থাৎ ব্যাংক চালান বা রশিদ সংগ্রহ করতে হবে,  এবং পাসপোর্ট আবেদনের ফাইলে জমা করতে হবে।  বিবাহিতদের ক্ষেত্রে কাবিননামা বা স্বামী স্ত্রীর দুজনের আইডি বা জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি প্রদান করতে হবে এসব ডকুমেন্ট সবগুলো যদি আপনার কাছে থাকে সেক্ষেত্রে প্রথমে বাংলাদেশ পাসপোর্ট পোর্টাল অনলাইনে গিয়ে সেখানে আবেদন করতে হবে।  আবেদনের কপি প্রিন্ট আউট করে আগে বর্ণিত যেসব কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস বলা হলো সেগুলো একসাথে করে জমা দিতে হবে। 

পাসপোর্ট করতে অনলাইনে টাকা প্রদানের নিয়মাবলী

পাসপোর্ট করতে বর্তমানে টাকা অর্থাৎ পাসপোর্ট ফি আপনাকে অনলাইনে জমা দিতে হবে সে ক্ষেত্রে আপনার বিকাশ/ নগদ/ রকেট এ জাতীয় সার্ভিসগুলো ব্যবহার করতে হবে অথবা আপনি ডেভিড কার্ড  মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি জমা করতে পারবেন তবে ডেবিট কার্ডের ক্ষেত্রে ভিসা বা মাস্টার কার্ড ব্যবহার করতে হবে এক্ষেত্রে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে অর্থাৎ সব ব্যাংকের কার্ড বা সব ধরনের কার্ড অনলাইন ফ্রি জমা দানের ক্ষেত্রে  ব্যবহার করা যায় না চলুন ধাপে ধাপে বুঝিয়ে দিচ্ছি কিভাবে পাসপোর্ট অনলাইন টাকা বা  ফি জমা দিবেন ।
পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য প্রথমে ই পাসপোর্ট পোর্টালে যান, পোর্টালে যাবার পর সেখানে অনলাইন পেমেন্ট করার অপশন পাবেন ওখানে পেমেন্ট অপশনে ক্লিক করলে বিকাশ/ নগদ /রকেট  এজাতীয় স সার্ভিস গুলোর মাধ্যমে  পেমেন্ট করুন পেমেন্ট করার পর একটি অনলাইন পেমেন্ট চালান পাবেন সেটি সংরক্ষণ করুন। 

পাসপোর্ট করবার নিয়মাবলী 

বাংলাদেশ পাসপোর্ট করার নিয়মাবলী খুব জটিল নয় করতে জানলে বা চেষ্টা করলে খুব সহজেই আবেদন করা যায়।  চলুন দেখা যাক কিভাবে আবেদন করবেন,  প্রথমেই আপনাকে বাংলাদেশের পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে যেতে হবে যেটাকে বলে ই পাসপোর্ট অনলাইন আপনাদের সুবিধার্থে আমি লিংকটি দিয়ে রাখছি যে ওয়েবসাইটে ঢুকলে আপনি আবেদন করতে পারবেন e-passport.gov.bd ।

উন উক্ত লিংকটিতে প্রবেশ করে প্রথমে অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করতে হবে এবং অনলাইনে এই উক্ত ওয়েবসাইটেই টাকা জমাদানের লিংক পাবেন যেখানে ক্লিক করলেই টাকা জমা দেওয়ার ফর্ম আসবে সেখানে বিকাশ নগদ রকেট বা জাতীয় সার্ভিস গুলো ব্যবহার করে টাকা জমা দেন করতে পারবেন আবার ডেবিট কার্ডের মাধ্যমেও টাকা জমা দান করতে পারবেন তবে উত্তর ডেবিট কার্ডটি ভিসা বা মাস্টার কার্ড হওয়া লাগবে সব ধরনের ডেবিট কার্ড টাকা জমা দেওয়া যায় না। টাকা জমা দেওয়া হয়ে গেলে ব্যাংক টাকা জমাদানের একটি প্রমাণপত্র দিবে বা ব্যাংক চালান দেবে সেই চালানটি সংরক্ষিত করতে হবে।

এরপর আবেদনকৃত ফর্মটি প্রিন্ট আউট করে এবং ব্যাংক প্রমাণপত্র টাকা জমা দানের বা ব্যাংক চালান বা প্রিন্ট আউট করে তার সাথে ভোটার আইডি কার্ড ফটোকপি যদি ভোটার আইডি কার্ড না থাকে অর্থাৎ ১৮ বছরের নিচে হয় তাহলে জন্ম নিবন্ধনের  সনদ কপির ফটোকপি জমা দিতে হবে সেক্ষেত্রে বাবা-মার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে। সবগুলো ডকুমেন্ট বা কপি একসাথে করে পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে।

এরপর ছবি এবং আঙ্গুলের  ছাপ দেওয়ার জন্য একটি ডেট বা তারিখ নির্ধারণ করতে হবে উক্ত তারিখে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আঙ্গুলের ছাপ ও ছবি তুলে আসতে হবে এটুকু কাজ করলেই পাসপোর্ট অফিস বাকি কাজ করবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন পাসপোর্ট অফিস তার নিজ দায়িত্ব করবে এসব কাজ সম্পাদন হয়ে গেলে একটি নির্দিষ্ট টাইমে বা নির্ধারিত সময়ে আপনি পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন।  আশা করি সম্পূর্ণ প্রসেস বা সিস্টেমটা বুঝতে পেরেছেন।

সাধারণ পাসপোর্ট এবং ই পাসপোর্ট এর মধ্যে পার্থক্য 

বাংলাদেশে সাধারণত দুই ধরনের পাসপোর্ট বা দুটি ভিন্ন ধরনের পাসপোর্ট পাওয়া যায় সাধারণ পাসপোর্ট এবং ই পাসপোর্ট দুইটি পাসপোর্ট এর মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে সে পার্থক্যগুলো নিচে আলোচনা সাপেক্ষে আপনাদের বুঝিয়ে দেব।
সাধারণ পাসপোর্ট ব্যক্তির তথ্য সমূহ একটি বিশেষ ধরনের কাগজের ওপর সম্মিলিত থাকে অর্থাৎ ব্যক্তির নাম পরিচয় একটি বিশেষ ধরনের কাগজের ওপর থাকে এবং একটি ছবি সম্বলিত থাকে অপরদিকে ই পাসপোর্ট একটি ইলেকট্রিক চিপের মাঝে ব্যক্তির তথ্য গোপনীয়তায় থাকে যা অন্য ব্যক্তি সহজেই তথ্য নিতে পারে না এই তথ্য নেওয়ার জন্য এক বিশেষ ধরনের ইলেকট্রিক মাধ্যম ব্যবহার করা লাগে যার ফলে ই পাসপোর্ট অনেকটা সুরক্ষিত সহজ কথা যদি বলি মোবাইল ফোনের সিমের মত এই পাসপোর্টে এক ধরনের চিপ আছে যার মাঝে লুকিয়ে থাকে সমস্ত তথ্য।

সাধারণ পাসপোর্ট এ ব্যক্তির নাম পরিচয় অ্যাড্রেস এবং ছবি সাধারণত প্রিন্টেড থাকে অপরদিকে ই পাসপোর্ট একটি চিপের মধ্যে সমস্ত থাকে এটি একটি আধুনিক প্রযুক্তি যার ফলে সাধারণ পাসপোর্টে যেমন ইমিগ্রেশন বা বিদেশ যাওয়ার জন্য ব্যবহার করার সময় সময় স্বপক্ষ বা সময় লাগে অপরদিকে ই পাসপোর্ট ইলেকট্রিক হওয়ায় এর তথ্য অনেকটাই গোপনীয়তা এবং বিশ্বাসযোগ্য যার ফলে ইমিগ্রেশন বা পাসপোর্ট যাচাই খুব সহজেই হয় অল্প সময়ের মধ্যে হয়।

সাধারণ পাসপোর্ট একটি পুরনো পদ্ধতি যার সত্যতা সন্ধাতে থাকলেও ই পাসপোর্ট একটি আধুনিক পদ্ধতি এবং এর ডকুমেন্টেশন অত্যন্ত সুরক্ষিত এবং তথ্যবহুল যার ফলে এর বিশ্ব যোগ্যতা বা গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই বেশি।

সবকিছুর পরও সংক্ষিপ্তভাবে বলতে গেলে বলতে বলা যায় ই পাসপোর্ট সাধারণ পাসপোর্টের একটি আধুনিক সংস্কারন যা অত্যন্ত তথ্যবহুল এবং গোপনীয়তা বজায় রাখতে সক্ষম এর ডকুমেন্টেশন বা তথ্য সহজে কেউ নিয়ে কোন দুর্ঘটনা তো কাজ করতে পারবেনা তাই ই পাসপোর্ট এর গ্রহণযোগ্যতা অত্যন্ত বেশি।

পাসপোর্ট করতে কতদিন সময় লাগে

পাসপোর্ট পেতে কতদিন সময় লাগে এ প্রশ্ন পাসপোর্ট যে করতে যায় সবার অর্থাৎ পাসপোর্ট আবেদন করার পরে পাসপোর্টটি আমি কবে হাতে পাব তার চাহিদা থাকাটাই স্বাভাবিক। চলুন আজকে আলোচনা করি পাসপোর্ট পেতে কি কি ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

আপনি যে পাসপোর্ট জন্য আবেদন করেছেন সেটি সঠিক ভাবে যদি করা থাকে তাহলে পাসপোর্ট পেতে সাহায্য করে অর্থাৎ পাসপোর্ট পেতে সময় কম লাগতে পারে আবেদন করার পরে বেশ কিছু কার্যক্রম কর্তৃপক্ষকে করতে হয় যেমন আবেদন কৃত ব্যক্তি যেসব ইনফরমেশন বা তথ্য দিয়ে থাকে সেসব তথ্য সঠিক আছে কিনা, আবেদনকৃত ব্যক্তির কোন মামলা বা সমাজের দেশের কোন অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত কিনা আবেদনকে তো ব্যক্তির সমস্ত ইনফরমেশন বা তথ্য ঠিক আছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করা হয় পুলিশ ভেরিফিকেশন বলে সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই কে, অর্থাৎ একজন প্রশাসন কর্মকর্তা এটিকে যাচাই করে ব্যক্তির ইনফরমেশন সঠিক আছে কিনা তারপর পুলিশ সমস্ত ইনফরমেশন সংগ্রহ করে পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয় এমন বেশ কিছু কাজের মধ্যে পাসপোর্টটি তৈরি হয় যার ফলে আমাদের দেশে পাসপোর্ট ৬ সপ্তাহ থেকে ৮ সপ্তাহ লাগে অনেক সময় এক মাসও পাসপোর্ট রেডি হয়ে যায়। তবে জরুরী ক্ষেত্রে অনেকে জরুরি ভাবে পাসপোর্ট দেয়ার জন্য বা তৈরি করার জন্য আবেদন করতে পারে সে ক্ষেত্রে ১৫ দিন বা সাত দিনও পাসপোর্ট পাওয়া যায় এটি নির্ভর করে ব্যক্তির তথ্যের  নির্ভুলতা এর উপর। 

পাসপোর্ট করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস 

উপরোক্ত আলোচনা বা প্রয়োজনে টিপস নিয়ে বুঝতে পারছি পাসপোর্ট পোর্টালে আবেদন করবার সময় সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদন করুন যেমন নাম , ঠিকানা, ভোটার আইডি নাম্বার সবকিছু তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করবেন। ভুল তথ্য দিলে বা তথ্য ভুল এর কারণবশত ভুল হলে পাসপোর্ট পেতে দেরি হয়ে যেতে পারে, ছবি তোলার সময় অর্থাৎ যেদিন ছবি তোলার সময় থাকবে সেদিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় যাতে ছবিটা সুন্দর আস।  ফিঙ্গার যেদিন দিবেন সেই দিন ভালো হবে সঠিকভাবে ফিঙ্গার দিয়ে আসবেন পুলিশ ভেরিফিকেশনে সময় লাগতে পারে অযথা বিচলিত হবেন না ধৈর্য সহকারে সব কাজ করবেন।

মোবাইলের এসএমএসের মাধ্যমে আপনার  বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন আবার আপনার থেকে কোন তথ্য প্রয়োজন হলে তারা মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে জানাবে সেক্ষেত্রে আপনিও সজাগ থাকবেন। মোবাইল এসএমএস আসলে তৎক্ষণাৎ বা তাড়াতাড়ি যেন তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন যার ফলে আপনার পাসপোর্ট বিলম্বিত হওয়া থেকে রক্ষা পাবে। পাসপোর্ট কি অবস্থায় আছে তা খোঁজ রাখবেন এসব কিছু সতর্কতা এবং সজাগ থেকে পালন করলে আশা করি যথাসময়ে আপনার পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন।

ইমারজেন্সি পাসপোর্ট কি

ইমার্জেন্সি পাসপোর্ট অনেক সময় প্রয়োজন হয় কোন গুরুতর কাজ বা হঠাৎ করে কোন কাজ পড়ে গেল সেক্ষেত্রে ইমার্জেন্সি পাসপোর্ট প্রয়োজন হয়। ইমারজেন্সি পাসপোর্ট দুই ধরনের নিয়মে পাওয়া যায়, একটি হচ্ছে জরুরী পাসপোর্ট অন্যটি হচ্ছে অতি জরুরী পাসপোর্ট চলুন এই আর্টিকেলে আজকে আলোচনা করব ইমারজেন্সি পাসপোর্ট কিভাবে পাওয়া যায় এবং ইমার্জেন্সি পাসপোর্ট করতে কি করতে হবে । কত দিনের মধ্যে ইমারজেন্সি পাসপোর্ট পাওয়া যাবে প্রথমেই জেনে নেই ইমার্জেন্সি পাসপোর্ট কতদিনে পাওয়া যায় সাধারণত কিছু পদ্ধতি আছে যেগুলো অবলম্বন করলে এমার্জেন্সি পাসপোর্ট ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে পাওয়া যায় এবং এই ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেতে একটু বাড়তি খরচ ও বাড়তি পরিশ্রম হবে।

ইমারজেন্সি পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে পাসপোর্ট পোর্টালে গিয়ে আবেদন করতে হবে, প্রয়োজনীয় টাকা জমা দিতে হবে এবং সব ধরনের কাগজপত্র জমা দিতে হবে ছবি এবং ফিঙ্গার এর জন্য আবেদন করতে হবে। এসব কাজ হয়ে গেলে পুলিশ ভেরিফিকেশন বা অন্যান্য তথ্যের জন্য নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে।

এমারজেন্সি পাসপোর্ট সাধারণত প্রয়োজন হয় আপনার পাসপোর্ট আছে কিন্তু সেটা যে কোন কারণবশত হারিয়ে গেছে সে ক্ষেত্রে ইমার্জেন্সি পাসপোর্ট প্রয়োজন হয়, আবার ইমারজেন্সি বিদেশে যাওয়া প্রয়োজন সেটা হতে পারে কোন কাজ হতে পারে চিকিৎসা সেবা বা অন্য কোন কাজের জন্য সে ক্ষেত্রে ইমারজেন্সি পাসপোর্ট প্রয়োজন হতে পার্‌  আবার বিদেশে থাকা অবস্থায় আপনার পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে এবং বিদেশে কাজের জন্য গেছেন বা সেখানে বসবাস করেন কিন্তু সেখানে পাসপোর্ট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে সে কারণে দেশে ফিরে আসতে পারছেন না বা বিভিন্ন বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সে ক্ষেত্রে ইমার্জেন্সি পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হয়।

ইমারজেন্সি পাসপোর্ট পেতে সাধারণ পাসপোর্ট থেকে কিছু বেশি টাকা খরচ করতে হয় আগেই বলেছি এমার্জেন্সি পাসপোর্ট দুই ধরনের হয় জরুরী পাসপোর্ট এবং অতি জরুরী পাসপোর্ট জরুরী পাসপোর্ট যেমন করতে গেলে সাধারণ পাসপোর্ট এর থেকে কিছু টাকা বেশি দিতে হয় তেমনি আবার জরুরী পাসপোর্ট থেকে অতি জরুরি পাসপোর্ট করতে গেলে জরুরী পাসপোর্ট থেকে আরও কিছু বেশি টাকা ফ্রি হিসেবে দিতে হয় আশা করি বুঝতে পেরেছেন এমার্জেন্সি পাসপোর্ট কি এবং কেন তার প্রয়োজন হয়।

পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে কি করবেন


পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে বেশ বিড়ম্বরে পড়তে হয় কিন্তু হারিয়ে তো গেলে কেউ আর ইচ্ছা করে হারায় না বিভিন্ন কারণ অবস্থিত হারিয়ে যেতেই পারে সে ক্ষেত্রে বিচলিত হবেন না কিছু নিয়ম এবং প্রসেস ফলো করলে আপনি আপনার জন্য আরেকটি পাসপোর্ট বা উপায় পেয়ে যাবেন চলুন প্রসেস গুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।
পাসপোর্ট হারানোর সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি বা জিডি করেন এবং উক্ত জিডি কপি নিয়ে আপনার দেশের দূতাবাসে যোগাযোগ করুন এবং পাসপোর্ট পোর্টালে গিয়ে নতুন পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করুন বা জরুরী সার্টিফিকেটের জন্য আপনার কাছে যদি পাসপোর্ট এর কোন ফটোকপি থাকে তা জিডি করার সময় বা দূতাবাসে সার্টিফিকেট করার সময় প্রদান করুন সেক্ষেত্রে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে আপনার পাসপোর্ট এর যদি ফটোকপি করা না থাকে তাহলে বলব এখনই একটি ফটোকপি করে রাখুন কখন প্রয়োজন হয় বলা তো যায় না।

তবে চিন্তার কোন কারণ নেই পাসপোর্ট হারিয়ে গেলেও কিছু নিয়ম অনুসরণ করলে নতুন পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। চলুন প্রসেসটি পুরোটা আলোচনা করা যাক । প্রথমেই অর্থাৎ পাসপোর্ট হারানোর সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ থানায় জিডি করুন যখন জিডি করবেন তখন পুলিশ আপনাকে পাসপোর্ট নম্বর এবং পাসপোর্ট ইস্যুর তারিখ জানতে চাইবে যদি আপনার কাছে সেটিও না থাকে সেক্ষেত্রে বিরম্বনা পড়াটা স্বাভাবিক তাই বলবো আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করা যদি ফটোকপি থাকে তাহলে পুলিশ কে জমা দিন আপনার কাজটা অনেকটাই সহজে পরিণত হবে পুলিশের কাছে বা দূতাবাসের কাছে কাজটা বা নতুন পাসপোর্ট তৈরি করা সহজ হয়ে যাবে।

আপনি যদি বিদেশে থাকেন তাহলে আপনার দেশের দূতাবাসের সাথে যত দ্রুত যোগাযোগ করেন এবং দূতাবাস আপনাকে নতুন পাসপোর্ট বা জরুরি সার্টিফিকেট প্রদান করতে সহায়তা করবে। আপনার দেশের পাসপোর্ট এর অনলাইন পোর্টালে যান নতুন পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করুন আপনার ছবি পাসপোর্ট এর ফটোকপি যদি থাকে তা প্রদান করুন।

আপনি যদি বিদেশে থাকেন এবং দ্রুত দেশে ফিরে আসতে চান যেহেতু আপনার পাসপোর্ট হারিয়ে গেছে সেক্ষেত্রে আপনার দেশের দূতাবাস আপনার জন্য একটি জরুরী সার্টিফিকেট তৈরি করে দেবে এবং নতুন পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য সহযোগিতা করবে। আবার যদি আপনি বিদেশে থাকেন এমনও হতে পারে আপনাকে নতুন করে ভিসার আবেদন করতে হবে সে ক্ষেত্রে আপনার দূতাবাস আপনাকে সাহায্য করবে।

পরিশেষে এটাই বলা যায় পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে বেশ ঝামেলাই।

বাংলাদেশী পাসপোর্ট এবং অন্য দেশের পাসপোর্ট এর মধ্যে পার্থক্য

বাংলাদেশে পাসপোর্ট এর এবং অন্য দেশের পাসপোর্ট এর মধ্যে পার্থক্য সাধারণত রং এবং কিছু প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে বাংলাদেশে পাসপোর্ট এর রং সবুজ যার সাধারণত মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ শান্তির প্রতীক হিসেবে গণ্য করে। আবার বাংলাদেশের পাসপোর্ট এর ভিসামুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সংখ্যা খুব কম বর্তমানে বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে প্রায় ৩৯ টি দেশে  ভ্রমণ বা অন্য কোন কাজের জন্য যেতে পারে অন্যদিকে এমন অনেক রাষ্ট্র আছে যাদের পাসপোর্ট দিয়ে তার অধিকাংশ দেশে ভিসা মুক্ত ভাবে প্রবেশ করতে পারে। বাংলাদেশে পাসপোর্ট বর্তমানে ই পাসপোর্ট হিসাবে একটি বায়োমেট্রিক চিপ যুক্ত থাকে যার ফলে ভুল তথ্য  অর্থাৎ নকল পাসপোর্ট হওয়ার প্রবণতা রক্ষা করে এবং একটি নিশ্চিত পরিচয় বহন করে। আর অনেক দেশের পাসপোর্ট শক্তিশালী ইলেকট্রিক মাধ্যম ব্যবহার করে, যার ফলে তাদের পাসপোর্ট ভ্রমণ ও ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সহজ করে।

অনেক দেশের পাসপোর্ট বেশ শক্তিশালী যেসব দেশের শক্তিশালী পাসপোর্ট আওতায় রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা সহ বেশ কিছু দেশ তাদের পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই বিশ্বের প্রায় ২০০ টি দেশের অধিক দেশে প্রবেশ করার সক্ষমতা রাখে এসব দেশের পাসপোর্ট এর প্রবেশ অধিকার শক্তিশালী হওয়ায় তাদের অনেক কাজ সহজ-তর এবং ইমিগ্রেশন জটিলতা মুক্ত হয়ে থাকে তার ফলে তারা  বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলোতে ব্যবসা বাণিজ্য পড়ালেখা সহ অনেক কাজে খুব সহজেই করতে পারে এবং সুযোগ পায়।

শেষ কথা

উপরোক্ত আর্টিকেলে আমি বাংলাদেশে পাসপোর্ট এর সম্বন্ধে সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি আশা করি বাংলাদেশের পাসপোর্ট সম্বন্ধে আবেদন থেকে শুরু করে হারিয়ে গেলে বা বাংলাদেশে পাসপোর্ট এর তুলনায় অন্যান্য দেশের পাসপোর্ট কতটুকু শক্তিশালী বা হারিয়ে গেলে কিভাবে ছেড়ে পুনরায় উদ্ধার করানো যাবে তা বুঝতে পেরেছেন এবং উপরোক্ত  প্রসেস অনুসরণ করলে আশা করি সফলতা অর্জন করবেন। আজকের মত আর্টিকেলটি এখানে শেষ করছে আর্টিকেলটি পড়ে যদি উপকৃত হন কমন্সের মাধ্যমে জানাবেন।

আরেকটি কথা কোন কিছু যদি জানার থাকে এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে কমেন্টসের মধ্যে জানাবেন চেষ্টা করব সমস্ত বা আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য পরে আর্টিকেল এ যুক্ত করার। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টাইম বিডি ২৪ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url