বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ২০২৫
বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ২০২৫ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বাংলাদেশ তিনটি বড় ধর্মীয় উৎসব রয়েছে মুসলমানদের জন্য যেমন ঈদ, হিন্দুদের জন্য পূজা, তেমনি খ্রিস্টান ধর্মের জন্য বড়দিন অন্যতম ধর্মীয় উৎসব।
আজকের আর্টিকেলে বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ২০২৫ আলোচনা করব। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী হতে চলেছে, চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
সূচীপত্র ঃ বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ২০২৫
- বড়দিন কি?
 - বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ২০২৫
 - বাংলাদেশে বড়দিনের গুরুত ও তাৎপর্য
 - বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশে কি করা হয়
 - বড়দিনে বাংলাদেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চিত্র
 - বড়দিনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক চিত্র
 - ২০২৫ সালে বাংলাদেশে বড়দিনে প্রত্যাশা
 - বড়দিনের বৈশ্বিক চিত্র
 - শিশুদের আনন্দে বড়দিন
 - শেষ কথা
 
বড়দিন কি ?
বড়দিন একটি খ্রিস্টান ধর্মের ধর্মীয় উৎসব মুসলমানরা যেমন ঈদ অত্যন্ত আনন্দ সহকারে উদযাপন করে তেমনি বড়দিনও খ্রিস্টান ধর্মের একটি বড় উৎসব। কি হয়েছিল বড়দিনে এর এই দিনে কেনই বা পালন করে খ্রিস্টান ধর্মাবলীরা, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
প্রায় দুই হাজার বছর আগে এই বড়দিন বেথলেহেমের এক গোয়াল ঘরে কুমারি মাতা মেরির কোলজোড়ে আসেন খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক যীশু খ্রীষ্ট। খ্রিস্টান ধর্মাবলীদের বিশ্বাসের মতে মানবজাতীকে সভ্য, সত্য , সুন্দর ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে যীশু খ্রীষ্টের জন্ম হয়। তাই তার জন্মদিনের দিনটিকে স্মরণ করে রাখার জন্য ধর্মীয় নানা আচার ও উৎসবের মধ্যে উদযাপন করেন তারা এটি তাদের ধর্মীয় প্রধান উৎসব ধর্মীয় বিশ্বাসের মতে ঈশ্বরের আগ্রহ ও অলৌকিক ক্ষমতায় মা মেরি কুমারী গর্ভবতী হন খ্রিস্টান ধর্ম ও ধর্মাবলীরা বিশ্বাস করেন তাদের সমস্ত অন্যায় দূরভিত ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করার জন্য যিশুখ্রিস্টের জন্ম হয়।
আর তার জন্যই এই দিনটিকে স্মরণ করে রাখার জন্য এবং যিশুখ্রিস্টের প্রতি শ্রদ্ধা সম্মানের জন্য তারা অর্থাৎ খ্রিস্টান ধর্মাবলীরা বিভিন্ন আলোক শয্যায় সজ্জিত করে তাদের গির্জা বা উপাসনালয় এবং সেদিন বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব এবং রীতি মেনে সে উৎসব পালন করে সারাদিন। যদিও বাংলাদেশ এর মোট জনসংখ্যার প্রায় ০.০৫ শতাংশ খ্রিস্টান ধর্মাবলী রয়েছেন তবুও স্বাধীনতার পর থেকেই অর্থাৎ ১৯৭২ সাল থেকে প্রতি বছরের ২৫ শে ডিসেম্বর সরকারী ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে বড়দিন উপলক্ষে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের দুর্গাপূজার আর কতদিন বাকি ২০২৫
২৫ শে ডিসেম্বর অর্থাৎ বড়দিন খ্রিস্টান ধর্মাবলীদের ধর্মীয় উৎসব হলেও এই দিন পুরো দেশ অর্থাৎ ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করা হয়। সমস্ত অফিস আদালত স্কুল কলেজ থেকে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও এই দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়ে থাকে এবং সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ থাকে। শুধু মাত্র বাংলাদেশেই নয় পুরো বিশ্বে প্রায় ১৬০ টিরও অধিক দেশ এই দিন অর্থাৎ ২৫শে ডিসেম্বর সরকারীভাবে ছুটির ঘোষণা করে থাকে তার মানে বলা যায় প্রায় পুরো বিশ্ব বড়দিন এই উৎসব পালন করে।
  আজকের আর্টিকেলে আরো কিছু আলোচনা করব বড়দিনের এই দিন সম্পর্কে সর্বোচ্চ ধারণা
  দেওয়ার চেষ্টা করব কি কেন কিভাবে বড় দিন পালন করা হয়? বিদেশে বড়দিনের তাৎপর্য
  এবং বাংলাদেশ ও বড়দিনের  গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করব। 
   
বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ২০২৫
  প্রতিবছর ইংরেজি ডিসেম্বর মাসের ২৫ তারিখ বড়দিন হিসেবে পালন করা হয়। এবছর
  অর্থাৎ ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৫ তারিখ পড়েছে বৃহস্পতিবার যার ফলে ২৫
  শে ডিসেম্বর সরকারি ছুটি অর্থাৎ বড়দের ছুটি এবং সাপ্তাহিক ছুটির শুক্রবার ও
  শনিবার হওয়ার ফলে এ বছর সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান লম্বা একটি
  ছুটির মধ্যে পড়বে। অর্থাৎ একটানা বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার ছুটি থাকবে।
  বৃহস্পতিবার বড়দিনের হওয়ায় সব মন্ত্রণালয় অফিস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যাংক
  ডাকঘর কোট ইত্যাদি বন্ধ থাকবে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে গির্জা পরিদর্শন ধর্ম
  নেতৃবৃন্দের সঙ্গে স্বজনের সাক্ষাৎ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার জোরদার থাকবে।এই দিনে
  যাতে খ্রিস্টান ধর্মাবলীররা তাদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন নির্ভয়ে  নির্ভিক্ষে
  পালন করতে পারে। 
যদিও বড়দিন খ্রিস্টান ধর্মাবলীদের একটি ধর্মীয় উৎসব, তারপরও এই দিনে অন্য ধর্মের মানুষেরাও সরকারি ছুটি উপভোগ করবে আর যেহেতু ২০২৫ সালের বড়দিন বৃহস্পতিবার পড়েছে যার ফলে অন্য ধর্মের লোকরা বৃহস্পতিবা, শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটি ভোগ করতে পারবে। যেহেতু তিনদিনের একটি ছুটি পাওয়া যাচ্ছে তাহলে ধারণা করা যায় এই দিন অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে বা আত্মীয় স্বজনের বাসাতে গিয়ে ছুটির আনন্দ উপভোগ করবে।অর্থাৎ ২০২৫ সালের বড়দিন বলাই যায় অন্য ধর্মাবলীর লোকদের জন্য একটি উৎসবমুখর দিন হয়ে উঠবে।সাধারণত মুসলমানদের ঈদে বাংলাদেশের সরকারি ছুটি সবচাইতে বেশি থাকে কিন্তু এবার বড়দিনের সরকারি ছুটির পাশাপাশি সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার হওয়ায় একটি লম্বা ছুটি উপভোগ করতে পারছে সবাই।
বাংলাদেশে বড়দিনের গুরুত ও তাৎপর্য
  বাংলাদেশ বড়দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য চলুন জেনে নেওয়া যাক কবে কখন কোন সময়
  বাংলাদেশের খ্রিস্টধর্মের প্রচলন শুরু হয়। বিভিন্ন তথ্য মতে বাংলাদেশের খ্রিস্টন
  ধর্মের প্রচলন শুরু হয় সপ্তদশ শতকে ইউরোপীয় মিশনারিদের মাধ্যমে। পরবর্তীতে
  ঢাকা, তেজগাঁও , নওগাঁ , খুলনা, রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম ময়মনসিংহ ও রাজশাহী সহ
  বিভিন্ন এলাকায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বসতি গড়ে ওঠে। তাদের ধর্মীয় ও
  সাংস্কৃতিক জীবনের বড়দিন প্রধান উৎসব,  স্বাধীনতা পরবর্তীতে বাংলাদেশের
  ধর্মনিরপেক্ষতার নীতির আওতায় বড়দেরকে সরকারি ছুটি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়
  যাতে বাংলাদেশে বসবাসরত বিভিন্ন খ্রিস্টান ধর্মের লোকজন তাদের ধর্মীয় উৎসব
  বড়দিন আনন্দ উৎসবের সাথে পালন করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করুন
  মূলত বড়দিন যিশুখ্রিস্টের জন্মের দিন। অর্থাৎ বড়দিন হল যিশুখ্রিস্টের জন্ম
  উৎসব আর এই যীশু খ্রীষ্টের জন্মদিন কে কেন্দ্র করে
  খ্রিস্টান ধর্মাবলীরা অত্যন্ত আনন্দ এবং উচ্ছ্বাসের সাথে এ বড়দিন পালন করে।
  যীশু খ্রীষ্ট খ্রিস্টান ধর্মের প্রবর্তক শান্তির ভালোবাসা ও ক্ষমার প্রতীক বলা
  যায় তাকে খ্রিস্টান ধর্মের ধর্মগ্রন্থ বাইবেল অনুযায়ী বলা হয়ে থাকে তিনি
  বেথেলেহেমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন যেখান থেকে শুরু হয় মানবতার এক নতুন যুগ
  । 
  ২৫ ডিসেম্বর তার একটি রোমান ক্যালেন্ডার শীতকালীন অয়ন সংক্রান্তিক সঙ্গে
  মিলিয়ে নির্বাচন হয় পৃথিবীর অনেক দেশে আলো জ্বালিয়ে প্রার্থনা করে ও
  আনন্দে দিনটি উদযাপন করা হয় খ্রিস্টান ধর্মাবলীদের মতে এই দিনে অর্থাৎ বড়দিনে
  সমস্ত  অশুভ শক্তি দূরবীভূত দূর হয়ে সমস্ত শুভ শক্তির আবির্ভাব হয়।
  দিনটিতে সারাদিনই প্রতিটি খ্রিস্টান ধর্মাবলীদের উপাসনালয় এ সারাদিন চলে
  প্রার্থনা এবং আনন্দ এসবের মাধ্যমে খ্রিস্টানদের বড়দিন পালিত হয়। 
বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশে কি করা হয়
  বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশে প্রায় প্রতিটা গির্জায় খ্রিস্টান ধর্মাবলীরা বিভিন্ন
  প্রার্থনা করে সকালবেলা অর্থাৎ ভরে তারা আরতি বা প্রার্থনা করে একে অপরকে
  শুভেচ্ছা জানাই পারিবারিক এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয় প্রতিটা গির্জায়
  বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনা হয় বিশেষ খাবার তৈরি হওয়ায় উপহার বিনিময় করে
  ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয় এবং সব থেকে বড় প্রতিটা গির্জায় প্রায় কেক কেটে এই
  দিনটিকে উদযাপন করা হয়।
সাধারণত এই দিনে বিশেষ ধরনের খাবার তৈরি করা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কেক পিঠ া পায়েস সেমাই স্যান্ডউইচ এবং বিভিন্ন গির্জায় দুপুরে বা রাতের খাবার বা প্রীতিভোজ অনুষ্ঠান করা হয় বিভিন্ন খাবারদাবার এর মাধ্যমে খ্রিস্টান ধর্মীরা এই দিনটিকে উদযাপন করে এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলীলতা আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে বাড়িতে বেড়াতে যান এবং একসঙ্গে আনন্দ করেন।
বড়দিনে বাংলাদেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চিত্র
  বড় ধনে বড়দিনে খ্রিস্টান ধর্ম বলিরা একে অপরের কুশল বিনিময় করে একে অপরের সাথে
  সাক্ষাৎ করে এক আত্মীয় থেকে অন্য আত্মীয়র বাসায় যায় দিনটিকে উদযাপন করে সকালে
  বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান করে দুপুরে অনেক জায়গায় অর্থাৎ অনেক গির্জায় একসাথে
  খাবারের আয়োজন করে সবাই একসাথে খেয়ে বেশ আনন্দ উদযাপন করে বেশ কিছু রীতি-নীতি
  মেনে তারা যিশুখ্রিস্টের জন্মদিনটা উৎসব করে পালন করে
  এই দিন অর্থাৎ বড়দিন শুধুমাত্র ধর্মীয় উৎসব হিসেবে খ্রিস্টান জাতি পালন করে না
  এই দিন সরকারিভাবে ছুটি ঘোষিত হয ছুটি ঘোষণার ফলে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই
  এ দিনটিকে উদযাপন করে এমনকি এই দিন অর্থাৎ বড়দিন বিভিন্ন জায়গায় বিশেষভাবে
  শহরগুলোতে বিভিন্ন কনসার্টের আয়োজন হয় যে কনসার্টগুলোতে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে
  সবাই অংশগ্রহণ করে এবং টিভি ও রেডিওতে বিভিন্ন ধরনের বড় দিনকে উদ্দেশ্য করে
  বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান প্রচার-প্রচারণা করা হয় যার ফলে এটা বলা যায় যে বড়দিন
  শুধুমাত্র খ্রিস্টান ধর্মাবলুতে কোন অনুষ্ঠান নয় এটি বর্তমান যুগে একটি সামাজিক
  অনুষ্ঠান হিসেবে প্রচলিত হতে চলেছে। 
বড়দিনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক চিত্র
  বড়দিনে বাংলাদেশের বিভিন্ন গির্জায় বিভিন্নভাবে অনুষ্ঠান পরিচালনা করে অর্থাৎ
  সকাল থেকে শুরু করে সারাদিনব্যাপ ী অনুষ্ঠান চলতেই থাকে যার ফলে এখানে অর্থনৈতিক
  এর একটি প্রভাব দেখা যায় আবার বড়দের উপলক্ষে খ্রিস্টান ধর্ম বলিরা তাদের
  আত্মীয়-স্বজন বা পরিবার-পরিজনের জন্য পোশাক আশাক থেকে শুরু করে বিভিন্ন অলংকারও
  ক্রয় করে যাতে নতুন পোশাক পড়ে নতুন অলংকার পরে বড়দিন পালন করতে পারে।
  আবার দেখা যায় যে অনেক জায়গায় বড়দিন উপলক্ষে মেলার আয়োজন করা হয় সেখানে
  খ্রিস্টান ধর্ম বলীরা একত্রিতে হয় তার সাথে সাথে অন্য ধর্মাবলীর লোক যেন সেখানে
  ভিড় জমায় এবং এই বড়দিনের আনন্দ উপভোগ করে। বড়দিন উপলক্ষে বিভিন্ন রকম
  খাবার আয়োজন করা হয় খ্রিস্টান ধর্মাবলীদের বাসায় বাসায় পিঠা পায়ে কেক থেকে
  শুরু করে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে তারা বড় দিন পালন করে যার ফলে অর্থনৈতিক ও
  বাণিজ্যিক প্রভাব পড়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে। 
২০২৫ সালে বাংলাদেশে বড়দিনে প্রত্যাশা
  বড়দিন খ্রিস্টান ধর্মের একটি ধর্মীয় উৎসব আর এই উৎসবের দিন সমস্ত খ্রিস্টান
  ধর্মাবলীদের ধারণা এই দিন যিশুখ্রিস্টের জন্ম হয় এবং সমস্ত অপকর্ম বা অপশক্তি
  দূরবর্তী হবে এবং শুভ সূচনা সৃষ্টি হবে যার ফলে খ্রিস্টান ধর্মাবলীরা এই দিন সকাল
  থেকে তাদের প্রতিটি গির্জায় এক বিশেষ ধরনের পূজা অর্চনা বা দোয়া মাহফিলের
  আয়োজন করে সকালে তাদের সমস্ত রীতিনীতি বেড়ে বিভিন্ন পদ্ধতিতে অর্চনা করে
  যীশুখ্রীষ্টের কাছে প্রার্থনা করে সমস্ত দুঃখ দুর্দশা করার জন্য
  তাদের ধারণা যীশুখ্রীষ্ট তাদের এই দিনে আগমন করেছিল পৃথিবীতে এবং তিনি তার
  জীবনকালের তাদেরকে রক্ষা করে চলেছিল তারা এই দিন প্রার্থনা করে যাতে তাদের সামনে
  দিনগুলো সুখে শান্তিতে চলতে পারে তাদের জীবনের বিপদ দূর হয়ে সুখের জীবন আসে
  যেন।
বড়দিনের বৈশ্বিক চিত্র
  বড়দিনের বৈশ্বিক চিত্র হল এই দিন পুরো বিশ্বের অধিকাংশ দেশ যিশুখ্রিস্টের
  জন্মদিন হিসেবে পালন করে অধিকাংশ দেশ ২৫ ডিসেম্বর যীশু খ্রীষ্টের জন্মদিনের
  হিসেবে পালন করলেও বা বড়দিন হিসেবে পালন করলেও কিছু কিছু দেশ রয়েছে তারা ভিন্ন
  দিনে এই বড়দিন পালন করে তবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ২৫ ডিসেম্বর এই বড়দিন
  হিসেবে পালন করে।
  এই দিনে তারা একে অপরের সাথে কুশল বিনিময় সারাদিন বিশেষ পদ্ধতিতে বা তাদের
  ধর্মীয় রীতি-নীতি মেনে দোয়া এবং বিভিন্ন রকম খাবার অর্থাৎ পিঠা 
  পায়েস কেক কেটে বড়দিনের এই ২৫ ডিসেম্বর যীশু খ্রীষ্টের জন্মদিন হিসেবে
  পালন করে।


.webp)
টাইম বিডি ২৪ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url