বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রাধান্য দেশ হলেও এখানে সব ধর্মের জাতি বসবাস
করে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাবে মুসলমান দেশ হিসেবে পরিচিত এবং এই মুসলমান জাতির পরেই
এদেশে বসবাস করে হিন্দু সম্প্রদায় মূলত হিন্দু সম্প্রদায় অনেক প্রাচীন একটি
সম্প্রদায় তাদের সবচাইতে বড় পূজো দুর্গাপূজা এ দুর্গাপূজায় পুরো দেশ হিন্দু
সম্প্রদায়ের এরা আলোক সয্যায় সজ্জিত করে সাজায় তাদের এ উৎসব
মহাউৎসবে পালিত হয় সমস্ত দেশেই।
বাংলার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের প্রাণের উৎসব দুর্গাপূজা। প্রতি বছর শরৎকালে
দেবী দুর্গার আগমনকে কেন্দ্র করে এই উৎসব বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সমাজে
এক এক অনন্য আবহা তৈরি করে। দুর্গাপূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য
আনন্দ স্বহার্য ও মিলনের একটি মহোৎসব। ঢাক ঢলের তালে তালে কাজ করে দোলায় আর সাদা
শাড়ির লাল পাড়ে রঙিন বিশ্ব যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে বাঙালি শেখর ও ঐতিহ্য। এই ব্লগে
আজ আমরা আলোচনা করব দুর্গা পূজার ইতিহাস পৌরাণিক কাহিনী পূজার অনুষ্ঠান
শিল্প-সংস্কৃতি সামাজিক তাৎপর্য এবং আধুনিক কালের দুর্গা পূজার তাৎপর্য।
সূচিপত্রঃ ২০২৫ সালের বাংলাদেশের দুর্গাপূজা কবে হবে এবং দুর্গাপূজার ইতিহাস
গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল অক্টোবর মাসের দিকে।
কিন্তু এবার অর্থাৎ ২০২৫ সালের দুর্গাপূজা সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে শুরু
হবে এবং শেষ হয়ে যাবে অক্টোবরের প্রথমেই হিন্দু সম্পদের সুবিধার জন্য আজকে
আর্টিকেলে আমি বলতে চাই পূজার শুরু হবে অর্থাৎ এ বছরে মহালয়া হবে ২১
শে সেপ্টেম্বর অর্থাৎ এই দিন হিসেবে ষষ্ঠী ২৮ শে সেপ্টেম্বর,
সপ্তমী ২৯ শে সেপ্টেম্বর, অষ্টমী ৩০ শে সেপ্টেম্বর , নবমী পহেলা অক্টোবর
এবং দশমী পড়ছে ২রা অক্টোবর এই তথ্য অনুযায়ী ২০২৪ সালে দুর্গাপূজা যেদিন শুরু
হয়েছিল ২০২৫ সালের দুর্গাপূজা সেদিন শেষ হয়ে যাবে অর্থাৎ সেদিন দশমী তবে এ বছর
ষষ্ঠী থেকে দশমী প্রতিদিনই উৎসবে মশগুল থাকবেন বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের
লোকজন আপনাদের সুবিধার্থে আমি মহালয়া থেকে দশমী পর্যন্ত সূচিপত্র আকারে তারিখ
অনুযায়ী উল্লেখ করে দিচ্ছি।
দুর্গাপূজার পৌরাণিক কাহিনীটি হল এর মূল উৎস কোথা থেকে আসল দুর্গাপূজা বা
দুর্গার সৃষ্টি কোথা থেকে হিন্দু ধর্মাবলীদের মতে দুর্গাপূজার মূল উৎস
মহিষাসুর বধের কাহিনীতে। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুযায়ী, অসুর রাজা মহিষাসুর
কঠোর তপস্যার মাধ্যমে ব্রহ্মার কাছে অমর্ত লাভ করেন। দেবতারা মহিষাসুরকে
পরাজিত করতে অক্ষম হয়ে পড়লে , দেবতারা তাদের শক্তি মিলিয়ে সৃষ্টি করে
দেবী দুর্গা।দেবী দুর্গা দশ হাতে অস্ত্র ধারণ করে
মহিষাসুরের সাথে যুদ্ধ করে , তাকে বধ করে এই বিজয়কে স্মরণ করতেই
দুর্গাপূজার সূচনা। অতএব দুর্গাপূজা কেবল দেবীর আরাধনা নয় , এটি ন্যায়ের
পথিক এবং অশুভ শক্তির বিনাশের প্রতীক।
আরো একটু ভালোভাবে বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় মহিষাসুর যখন দেবতাদের ওপর অত্যাচার
শুরু করে তখন দেবতারা সব একত্রিত হয়ে দেবী দুর্গাকে সৃষ্টি করে যাতে দুর্গা
তার দশ হাত নিয়ে অস্ত্র নিয়ে সিংহের উপর বসে , মহিষাসুরের সাথে
যুদ্ধ করে এবং যুদ্ধে জয়লাভ করে , অর্থাৎ মহিষাসুর হচ্ছে অশুভ শক্তি যা তার অশুভ
শক্তির প্রকাশ খাটিয়ে বিভিন্ন দেবতার উপর অত্যাচার করত আর দুর্গা
হচ্ছে শুভ শক্তি তার এই শুভ শক্তির বিনিময়ে অশুশক্তির উপর জয়লাভ করে
অর্থাৎ জয় হয় শুভ শক্তির।
দূর্গা পূজার আয়োজন দশ দিন হলেও অর্থাৎ দূর্গা পূজার আয়োজন
মহালয়া শুরু হয় দশম দিনের প্রথম দিনে এবং পূজার মূল অংশ শুরু হয় ষষ্ঠী ,
সপ্তমী , অষ্টমী , নবমী এবং দশমী এ ৫ দিন পূজার মূল অংশ হিন্দু ধর্মাবলীরা
এই পাঁচ দিন আনন্দ উল্লাসে মশগুল থাকে নাচ গান ঢাকঢোল বাজিয়ে তারা পূজা
উদযাপন করে আসলে তারা মনে করে এই দিন প্রতি বছর আসে এবং সব অশুভ শক্তির পরাজয়
হয় এবং শুভ শক্তির বিজয় হয় এবং এই বিজয়ের দিন তারা আনন্দ উদযাপন করে।
বাংলায় দুর্গাপূজার প্রচলন বহু পুরাতন যুগ থেকে , ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী
প্রায় ১৫ শ সালের দিকে জমিদার পরিবারগুলো প্রথমে বড় আকারে দুর্গাপূজার
আয়োজন শুরু করে তখন এটি ছিল মূলত পরিবার ভিত্তিক পূজা।
পরবর্তীতে সমাজের সাধারণ মানুষ ও একত্রিত হয়ে সার্বজনীন দুর্গাপূজা শুরু করে ১৯
শতাব্দীতে এসে এই পূজা রূপ নিয়ে সামাজিক উৎসবে বিশেষ করে কুমোর টুলির কারিগরদের
শিল্পকলা এবং মন্ডপ সাজানোর প্রতিযোগিতা , দুর্গা পূজাকে শিল্প ও সংস্কৃতির
অন্যতম করে তোলে বাংলাদেশের দুর্গাপূজায়। এখন প্রতিটি জেলায় পালিত হয় রাজশাহী
, চট্টগ্রাম , খুলনা , সিলেট সহ প্রায় প্রতিটি জেলায় দুর্গাপূজা
অনুষ্ঠিত হয়।
মূলত দুর্গাপূজা দশ দিনের আয়োজন হলেও এর মূল আয়োজন বা মূল আকর্ষণ পাঁচ
দিনের, এই পাঁচ দিনই হিন্দু ধর্মীরা আনন্দ উৎসব করে দুর্গাপূজা করে , থাকে ঢাকঢোল
পিটিয়ে তারা অশুভ শক্তিকে বিদায় জানিয়ে শুভশক্তির আগমন হয় এমন বিশ্বাস
করে।
দুর্গাপূজার পাঁচ দিন অনুষ্ঠিত হয় , দুর্গাপূজার সাধারণত পাঁচ দিনের অনুষ্ঠান
গুলো নিয়ে আলোচনা করি
ষষ্ঠী দিনের দেবী দুর্গার বোধন করা হয় এই দিন দেবীকে আমন্ত্রণ জানানো হয় মত্ত আসার জন্য।সপ্তমী , সপ্তমীতে নবপত্রিকা প্রবেশ ঘটে কলা বউ
অর্থাৎ কলা গাছ দেবীর প্রতীক হিসেবে পূজিত হয়।
অষ্টমী তে অনুষ্ঠিত হয় কুমারী পূজা এবং সন্ধি পূজা এ দিন ভক্তদের ঢল
নামে পূজা মন্ডপে ।
নবমী, নবমী পূজার দিন ভক্তরা নানারকম প্রসাদ ফল ও ভোগ নিবেদন
করেন ।
দশমী , দশমীতের দেবীর বিসর্জন দেওয়া হয় নারীরা সিঁদুর খেলার
মাধ্যমে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন বিসর্জন শেষে ভক্তরা একে অপরকে আলিঙ্গন করে
বলেন আসছে বছর আবার হবে ।
দুর্গাপূজা সাধারণত ৫ দিনব্যাপী উদযাপিত হয়। ষষ্ঠী , সপ্তমী ,
অষ্টমী , নবমী ও দশমী ষষ্ঠীর দিন দেবীর বোধন বা আমন্ত্রণ অনুষ্ঠিত হয়
যেদিন দেবীকে মর্ত্য আগমনের আহ্বান জানানো হয়। সপ্তমীতে
নবপত্রিকা প্রবেশ ঘটে যেখানে পথিক হিসেবে পূজা করা হয়। অষ্টমীতে কুমারী
পূজা ও সন্ধি পূজা হয় যা ভক্তদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ , নবমীতে মহা
পূজা ও হোম যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় আর দশমীতে দেবী বিসর্জন দেওয়া হয় এই দিন ভক্তরা
দেবীর বিদায় জানিয়ে বলেন আসছে বছর আবার হবে।
আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে দুর্গাপূজায় প্রতিদিন ভোরের মন্ত্র পাঠ আরতি ও ভোগ
নিবেদন করা হয় । পূজার বিশেষ অংশ হল ঢাকের বাদ্য ধুনুচি নাচ আরতির সময় ঘন্টা ও
শঙ্খধনী মন্ডপে বক্তব্য ও নানারকম নিবেদন করেন । অষ্টমীতে কুমারী পূজা হয় যেখানে
অল্পবয়সী কন্যাকে দেবীর রুপে পূজা করা হয় । নবমীতে দেবীর আরাধনা
যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় । দশমীর দিনে নারীরা সিঁদুর খেলা মাধ্যমে আনন্দ
ভাবে করেন ভাগাভাগি করেন এবং একে অপরকে মঙ্গল কামনা জানান সব মিলিয়ে আচরণ আচরণ
অনুষ্ঠান দূর্গা পূজা কে ভক্তি সৌন্দর্য ও আনন্দের এক অনন্য উৎসবে পরিণত
করে।
দুর্গাপূজার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ প্রতিমা ও মন্ডপ কুমোর টুলির কারিগররা কয়েক মাস
ধরে মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরি করেন । প্রতিটি প্রতিমায় এক একটি শিল্পকর্ম ,
বিভিন্ন থিমে সাজানো হয় মন্ডপ , অর্থাৎ বিভিন্নভাবে সাজানো হয় মন্ডপগুলো কখনো
তা গ্রামীণ বাংলা চিত্র ধরে, কখনো আবার আধুনিক প্রযুক্তির প্রদর্শনে হয়ে ওঠে
, যে যার মত করে তৈরি করে এই মন্ডপ অর্থাৎ বিভিন্ন মন্ডপে বিভিন্ন ভাবে
মন্ডপ গুলোকে সাজানো হয় আলো দিয়ে সাজানো হয় রাস্তা গলি এবং মন্দিরগুলোকে
সাজানো হয় নতুনরূপে এর সব কিছু মিলে দুর্গা পূজা হয়ে ওঠে এক বিশাল
সাংস্কৃতিক আয়োজন।
দুর্গাপূজার সময় রাস্তাঘাট শহর বা গ্রামের যে কোন রাস্তাঘাট আলোকসজ্জা সজ্জিত
হয় যেন মনে হয় পুরো শহর সেজেছে নতুন রূপে পূজা মন্ডপ গুলোর কাছাকাছি বিভিন্ন
ধরনের খাবার দাবারের দোকান বসে যেগুলো সব অস্থায়ী দোকান বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি
খেলাধুলা করা সামগ্রী নিয়ে অনেকেই বসে পূজা মন্ডপ দর্শন করতে যারা আসে তারা
এখানে খাওয়া-দাওয়া আনন্দ ফুর্তি করে এক কথায় পুরো বাঙালি জাতি যেন আনন্দ
একত্রে চলে আসে।
দূর্গা পূজা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয় বরং এটি সামাজিক মিলনের প্রতীক পূজায় মেলার
বিভিন্ন ধর্ম ও সম্পদের মানুষ একত্রিত হয় আত্মীয় স্বজন একে অপরের বাড়িতে যায়
মিষ্টি ও খাবার খায় শহরের নানা সংস্কৃতির অনুষ্ঠান হয়। যেমন নাচ-গান নাটক
প্রতিযোগিতা বিভিন্ন ধরনের সেসব করে তারা আনন্দ উদযাপন করে উদযাপন করে।
গ্রামে পূজার মেলা বসে যেখানে খেলনা খাবার রকমের পণ্যের দোকান বসে এ সময় হিন্দু
ধর্মাবলীরা বিভিন্ন মন্ডপে ঘোরাঘুরি করে আনন্দ করে শোনা যায় এ সময় নাকি হিন্দু
ধর্মাবলেরা যত পুজো মন্ডপ প্রদর্শন করবে অর্থাৎ আশীর্বাদের জন্য ঘোরাঘুরি করবে তত
নাকি তারা শুভ শক্তির অর্জন করবে এবং অসহায় সত্যকে অশুভ শক্তিকে পরাজিত করবে।
দুর্গাপূজায় বাজারে ব্যাপক অর্থনৈতিক সাড়া পড়ে নতুন জামা কাপড় গহনা প্রসাধন ী
বিক্রি বাড়ে প্রতিমাস শিল্পী কার্ড শিল্পী ইলেকট্রন শিল্পী আলোকসজ্জা কারী
ট্রেন্ট ব্যবসায়ী সবাই আয় করে খাদ্য ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ছোট দোকানদার
পর্যন্ত ব্যবসা জমে উঠে একটি পূজা আয়োজনে যে বিপুল অর্থ ব্যয় হয় তা স্থানীয়
অর্থনীতিকে সক্রিয় রাখে।
প্রযুক্তির কারণে এখন দুর্গাপূজা আরো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে অনেক মন্ডপ
ফেসবুক ইউটিউব বা ওয়েবসাইটে দেখানো হয় অনেকে আবার লাইভে দেখানো হয় পরিবেশ
বন্ধন প্রতিমা নির্মাণ জনপ্রিয় হচ্ছে প্লাস্টার অফ প্যারিসের বদলে কাদা খর ও
প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক টিমে মন্ডপ সাজানো হয় যেমন পরিবেশ সচেতন
সচেতনতা প্রযুক্তি ইতিহাস ইত্যাদি।
আধুনিক এর ছোঁয়া লাগলেও উদ্দেশ্য কিন্তু হিন্দুদের একই অশুভ শক্তির
পর্যায়ে করিয়ে শুভশক্তির জয় অর্থাৎ হিন্দু ধর্মের মতে মা দুর্গা তার অস্বচ্ছ
অলৌকিক শক্তি দিয়ে অশুভ শক্তিকে দূরে সরে সবার মধ্যে ভাতৃ ভালবাসা আনন্দ-ফূর্তি
দিয়ে সবার শুভ শক্তিকে ছড়িয়ে দিবে। সবার মাঝে।
সর্বশেষে এ কথাই বলতে চাই দূর্গা পূজা কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয় বরং এটি
বাঙালি সংস্কৃতির প্রাণ । এই উৎসবের মাধ্যমে আমরা শিখি অর্থাৎ হিন্দু ধর্মাবলীদের
মতে মায়ের শক্তি ন্যায়ের জয় ও এবং ভ্রাতৃত্বের বন্ধন।
আধুনিক সমাজের পরিবেশবান্ধব ও প্রযুক্ত নির্ভর পূজার যে ধারা শুরু হয়েছে
তা ভবিষ্যতেও দুর্গাপূজাকে আরও সমৃদ্ধ করবে বাংলার প্রতিটি ঘরে প্রতিটি মন্ডপে
দুর্গাপূজার আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক দেবী দুর্গার আশীর্বাদে আমাদের সমাজ হোক সুখ
শান্তি ও সম্প্রীতিতে ভরপুর ।
আশা করি দুর্গাপূজা ২০২৫ সবার জীবনে বয়ে নিয়ে আসুক অফুরন্ত সুখ সমৃদ্ধ
শান্তি সমস্ত বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে সবাই যেন সব ধর্মাবলীর লোকজন যেন আমরা একসাথে
থাকতে পারি একে অপরের সহযোগিতা করতে পারি সবাই নিজ নিজ ধর্মের পালন করতে পারি এ
প্রত্যাশায় আজকের আর্টিকেলটি শেষ করলাম।
টাইম বিডি ২৪ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url