হ্যালোইন উদযাপন ২০২৫। কিভাবে পালিত হয়?
হ্যালোইন মূলত পশ্চিমা বিশ্বের একটি জনপ্রিয় উৎসব এটি প্রায় দুই হাজার বছর আগের একটি প্রাচীন উৎসব প্রতিবছরের ৩১ অক্টোবর বেশ জাকজমকপূর্ণভাবে পশ্চিমে বিশ্বরা এই উৎসব পালন করে থাকে এটি মূলত খ্রিস্টানদের একটি উৎসব খ্রিস্ট ধর্মাবলি মানুষরা এই হ্যালোইন উৎসব প্রতিবছর পালন করে থাকে।
আজকের আর্টিকেলে উৎসব নিয়ে আলোচনা করব কোথা থেকে উৎপত্তি হ্যালোইন উৎসব এর , কি তার বিশেষত্ব কেন পালন করা হয় সবকিছুই তুলে ধরার চেষ্টা করব। হ্যালো ইন পালন করার একটি মজাদার অদ্ভুত ভৌতিক ইতিহাস বা হাস্যরস ইতিহাস রয়েছে যার সবকিছু আলোচনা করব আজকের আর্টিকেলে।
সূচীপত্র ঃ হ্যালোইন উদযাপন ২০২৫। কিভাবে পালিত হয়?
- হ্যালোইন কি?
 - হ্যালোইন এর উৎপত্তি।
 - কেন হ্যালোইন পালন করা হয়?
 - পশ্চিমা বিশ্বের হ্যালোইন উদযাপন
 - এশিয়ার হ্যালোইন উদযাপন
 - হ্যালোইন উদযাপনের সাজসজ্জা
 - শিশুদের আনন্দে হ্যালোইন
 - শেষ কথা
 
হ্যালোইন কি?
  হ্যালোইন মূলত খ্রিস্টান ধর্মাবলীর দের একটি বাৎসরিক উৎসব । প্রতিবছর ৩১
  অক্টোবর পালন করা হয় হ্যালোইন।  সঠিক উৎপত্তি মধ্যে বেশ বিতর্ক রয়েছে ,
  অনেক পণ্ডিতদের মতে হ্যালোইন বা  হ্যালোজ হলো খ্রিস্টানদের একটি বার্ষিক
  উৎসব ।  প্রাথমিকভাবে কেলভিক ফসল কাটার উৎসব দ্বারা প্রভাবিত আবার 
  অন্য পন্ডিতের মতে উৎসবটির স্বতন্ত্র উৎপত্তি সামহেন থেকে এবং এর মূল সরাসরি
  খ্রীষ্ট ধর্মের প্রভাব বিদ্যমান। 
  হ্যালো ইন পশ্চিমে বিশ্বের খ্রিস্টানদের একটি জাঁকজমকপূর্ণ উৎসব প্রতিবছর পশ্চিমা
  বিশ্বরা অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ আনন্দ ফুর্তির মাঝে পালন করে হ্যালোইন। 
  বর্তমানে এশিয়া মহাদেশ ও পালিত হচ্ছে বেশ জাকজমকপূর্ণভাবে। খ্রিস্টান ধর্ম
  বলিরা বিশ্বাস করে এ রাতে মৃত ব্যক্তির আত্মারা জীবিত হয়ে ওঠে এবং পৃথিবীতে ফিরে
  আসে। 
  হ্যালোইন পশ্চিমা বিশ্ব দেশগুলোর মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র
  ,  ইউরোপ , কানাডা দেশগুলোতে ব্যাপক জনপ্রিয়তার সাথে বিভিন্ন সাজসজ্জা ,
  ভৌতিক  কস্টিউম এবং এক বিশেষ ধরনের খাবার নিয়ে পালন করা হয় । তারা বিশ্বাস করে মৃত ব্যক্তির আত্মারা বা খারাপ আত্মারা অতৃপ্ত আত্মারা সেদিন পৃথিবীতে ফেরত আসে এবং মানুষের ক্ষতি করে তাই তারা বিভিন্ন সাজসজ্জা পরে দিনটি উদযাপন করে এবং বিভিন্ন মন্ত্র পড়তে থাকে।
হ্যালোইন এর উৎপত্তিঃ
ধারণা করা হয় দু হাজার বছর আগে বর্তমান আয়ারল্যান্ড ইংল্যান্ড ও উত্তর ফ্রান্সে বসবাস বসবাস করত কেল্টিক জাতি।  নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে অর্থাৎ অক্টোবরের শেষ দিন   তারা নববর্ষ মনে করে এবং  সানউইন হিসেবে পালন করতো। গ্রীষ্মের শেষ বা অন্ধকার বা শীতের শুরু বলে মনে করত খুবই আশ্চর্য এবং হাস্যকর ও  অবাক করা বিষয় হলো তারা মনে করত অক্টোবরের শেষ দিনের রাত অর্থাৎ নভেম্বরের প্রথম দিনের রাত ছিল সবচেয়ে খারাপ । কেন মনে করত ? তারা তার কারণ হিসেবে তারা মনে করতো যে এই রাতে সব প্রেতাত্মা বা অতৃপ্ত আত্মারা মানুষের ক্ষতি করতে আসতো আর এখান থেকে পরিকান্ত পাওয়ার জন্যই বা এই সময় থেকে তারা বাচাবার জন্য তারা সারারাত জেগে থাকতো এবং বিভিন্ন ধরনের ভূতের মুখোশ ও কাপড় পড়তো।
 অদ্ভত বিষয় হল তারা নির্ঘুম রাত কাটাত  আগুন জ্বালিয়ে মুখোশ পরে বৃত্তাকারে একসঙ্গে ঘুরতেন এবং মন্ত্র জপতেন আর সময় পরিক্রমায়  কেল্টিক জাতির সানউইন উৎসব বর্তমানে হ্যালোইন উৎসব হিসেবে উৎপাদিত হচ্ছে । এই  রাত নিয়ে অনেক ধরনের মিথ  আছে তেমন এক প্রচলিত মিথ হল  এ রাতে দেবতা সমান সব অতৃপ্ত  আত্মারা আকাশে উড়ে বেড়াত এবং জানান দিত তারা পৃথিবীতে মানুষের ক্ষতি করতে এসেছে। কখনো বা তিনি  কড়া নাড়তেন বিভিন্ন বাড়ির দরজায় আর এই থেকে উৎপত্তি হয় সান উইথ বা বর্তমানে যা পরিচিত হ্যালোইন উৎসবের। 
 প্রথম দিকে এর প্রচার-প্রচারণা কিছু নির্দিষ্ট  জাতির মধ্যে ছিল কিন্তু বর্তমানে এর ব্যাপকতা পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে । পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্র গুলো অত্যন্ত  জাঁকজমকভাবে  পালন করলে ও এখনো এশিয়া মহাদেশের উৎসবটা পালন হলেও পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর  মত না ।  তবে হ্যাঁ এখন এশিয়া মহাদেশীয় বিভিন্ন জায়গায়  যাঁকজমকপূর্ণভাবে হ্যালোইন  উৎসব পালিত হয়ে আসছে।
কেন হ্যালোইন পালন করা হয় ?
হ্যালোইন যখন পালিত হতো তখন মূলত এটি ধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালিত হতো । প্রায় দুই হাজার বছরের আগে বর্তমানে আয়ারল্যান্ড ,  ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের বেশ কিছু জায়গায়  ক্যালট্রিক জাতি বসবাস করত , তারাই মূলত তাদের ধর্মীয় উৎসব হিসেবে এটি পালন করতো। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় যুগ যুগ ধরে পালিত এই ধর্মীয় উৎসব এখন মানুষের আনন্দের একটি জিনিস  হিসেবে পরিণত হয়েছে । এই হ্যালোইন পালন করার সময় বিভিন্ন ধরনের পোশাক-আশাক এবং মজা করার জন্য এটি ছুটির দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষত্বভাবে শিশুদের জন্য বেশ আনন্দের দিন এটি । হ্যালোইন উৎপত্তি বেশ প্রাচীন তারা মনে করত এই সময় এই দিন অর্থাৎ নভেম্বরের প্রথম দিন এবং ৩১ অক্টোবরের দিন শেষে রাতে পৃথিবীর সমস্ত অতৃপ্ত  আত্মারা  বা প্রেতাত্মা ফেরত আসত পৃথিবীতে  তারই সূত্র  ধরে তারা মনে করত এই রাতে তাদের মৃত  আত্মীয়রা ফেরত আসত  বাড়িতে  অর্থাৎ তাদের আত্মা ফেরত আসত  আর তার জন্যই তারা বিভিন্ন সাজসজ্জা খাবার এর মাধ্যমে এই দিনটি পালন করে থাকে।
যদিও এটি একটি জাতির ধর্মীয় উৎসব কিন্তু বর্তমানে অনেক দেশে বা অনেক জায়গায় এটি পালন করা হয় রীতিমতো হাস্য কর বা তামাশা করার জন্য আমাদের দেশেই অর্থাৎ বাংলাদেশে অনেক রেস্টুরেন্ট রয়েছে যেখানে দেখা যায় এই হ্যালোইনের পোশাকের মতো বিভিন্ন ভৌতিক পোশাক পড়ে রেস্টুরেন্টে আকৃষ্ট করার জন্য উৎসব সাজানো হয় কিন্তু এর মূল উদ্দেশ্য ছিল তা নয় এর মূল উদ্দেশ্য ছিল কেলট্রিক জাতিরা  অতৃপ্ত  প্রেতাত্মা দূরে রাখা বা অশুভ শক্তিকে দূরে  রাখার জন্যই পালন করত। 
পশ্চিমা বিশ্বের হ্যালোইন উদযাপন
পশ্চিমে বিশ্বের হ্যালোইন   উদযাপন বিশ্বের যতগুলো দেশ আছে বা যতগুলো মহদেশ আছে তার মধ্যে সবথেকে বেশি জাকজমক ও আনন্দ উৎসব করা হয় । হ্যালোইন এ পশ্চিমা দেশগুলোতে বিশেষ করে আমেরিকাতে বেশ জাকজমক ও আনন্দ করে পালন করা হয় ।  তারা  মনে করে  শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক সবার ক্ষেত্রে হ্যালোইন অনেক জনপ্রিয় একটি উৎসব ।  ৩১ অক্টোবর রাতে অর্থাৎ ৩১ অক্টোবার দিন গিয়ে রাতে প্রথম  নভেম্বর  শুরুতে  হ্যালোইন  উৎসব পালন করা হয় ।
শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্করা ভূতের বিভিন্ন সাজসজ্জা এবং পোশাক সমৃদ্ধ পোশাক পড়ে বিভিন্ন মানুষের বাড়ি অর্থাৎ তাদের প্রতিবেশীর বাড়ি বা আত্মীয় স্বজনের বাসা বিশেষ ধরনের সেই ভৌতিক পোশাক পরিহিত  তাদের দরজায় কড়া নাড়ে এবং যার বাসায় কড়া নাড়া হয় উনি পামকিন  এর মধ্যে ক্যান্ডি বা বিভিন্ন ধরনের ট্রিট দেই।  এছাড়াও অনেক কৃত্রিম ডাইনি দানব ভূত এবং ভ্যাম্পের দেখতে পাবেন তবে আপনি প্রচুর বাচ্চাদের পরী ও রাজকন্যা হিসেবে ছবি দেখতে পাবেন। এর উৎসব এর প্রধান উদ্দেশ্যে হচ্ছে মানুষকে ভয় দেখানো বহু প্রাচীন অর্থাৎ আজ থেকে ২০০০ বছর আগের একটি উৎসব পশ্চিমা বিশ্বে বেশ জাঁকজমক ভাবেই পালন করা হয়।
এশিয়ার হ্যালোইন উদযাপন
বর্তমানে এশিয়াতে বেশ কিছু জায়গায় বেশ কিছু দেশে হ্যালোইন  বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এর মূল কারণ হিসেবে বলা যায় রাজনীতি এবং জনপ্রিয়তা  ব্যাপকভাবে পরিবর্তন হতে পারে।  আরো কিছু কারণ আছে যেমন বর্তমান যুবসমাজ শিশুদের কাছে হ্যালোই ন বেশ জনপ্রিয় একটি উৎসব।  কয়েকটি দেশে যদি উদাহরণ দেওয়া যায় তাহলে বলা যায় । প্রথমে জাপান বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে দিনে দিনে বিশেষ করে শহরগুলোতে ,  গ্রামগুলোতে এর প্রভাব কিছুটা কম থাকলেও গ্রামগুলোতে  হ্যালাইনের প্রভাব অনেকাংশে । 
ভারত আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত , হিন্দু ধর্মাবলীর প্রধানত দেশ হলেও এখানে 
হ্যালোইন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দিনে দিনে শহরাঞ্চলে বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে এবং মহানগরীতে হ্যালোইন ক্রোমোজ জনপ্রিয় হচ্ছে,  পোশাক পার্টিতে  জমে উঠেছে এশিয়া মহাদেশে।  বাংলাদেশের হচ্ছে আমাদের দেশ বাংলাদেশ ও হ্যালোইন এর প্রভাব দিনে দিনে বাড়ছে বিশেষ করে রাজধানীতে  ঢাকায় বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট সবসময়ই হ্যালোইনের মত ভৌতিক পোশাক এবং বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি দিয়ে ধারণা করা হয় এসব রেস্টুরেন্টে হয়তো সেই কালচার প্রভাবিত করে। এশিয়া মহাদেশের কথা বলতে গেলেই চীনের কথা চলে আসে , চীন হ্যালোইন  চিনে একটি ঐতিহ্যবাহী ছুটির দিন নয়,  তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি জনপ্রিয়তা অর্জন  করেছে ।  বিশেষ করে প্রধান শহরগুলোতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগার সাথে সাথে  হ্যালোইন  এর প্রভাব তরুণদের মাঝে দেখা যাচ্ছে।  এবং তাছাড়া  হ্যালোইন  যেভাবে পালন করা হয় অর্থাৎ ভৌতিক প্রসাদ এবং আনন্দ আনন্দ হবে জাঁকজমক অনুষ্ঠান বিভিন্ন ভৌতিক আয়োজন এর মাধ্যমে পালন করছে । 
সামগ্রিকভাবে এশিয়ার মধ্যে পশ্চিমা  বিশ্বের মতো অতটা জাগজমকপূর্ণ না হলেও দিনে দিনে এর জাঁকজমক কেন যেন তরুন সমাজকে আকৃষ্ট করছে এবং দিনদিন এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।  হয়তো সুদূর ভবিষ্যতে এর সংখ্যা আরো বেড়ে উঠবে যদিও হ্যালোইন এশিয়া মহাদেশের কোন ধর্মে উৎসব নয় তারপরও বর্তমান তরুণ সমাজের কাছে এর আংশিকতা সাজ সজ্জা আকৃষ্ট করে চলেছে অন্য এক দেশের ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও এখনকার ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসেবে আর নেই এটি আনন্দ কৌতুক ভৌতিক এবং জাঁকজমকপূর্ণতা মেতে উঠেছে পুরো বিশ্ব। 
হ্যালোইন উদযাপনের সাজ সজ্জা
হ্যালোইন একটু ধর্মীয় উৎসব অর্থাৎ পশ্চিমা  দেশগুলো বর্তমান আয়ারল্যান্ড ,  উত্তর ফ্রান্স এসব দেশগুলোতে আজ থেকে দুই হাজার বছর আগে পালন করা হতো এই হ্যালোইন উৎসব তখন এ উৎসবটি হ্যালোইন নামে পরিচিত না হলেও বিভিন্ন সময় এর নাম পরিবর্তন বা সংস্কারের  মাধ্যমে বর্তমানে এটি হ্যালো ইন উৎসব নামে পরিচিত। এ উৎসবে সে সময়কার মানুষরা মনে করত ৩১ অক্টোবর দিন পার হয়ে রাতে সমস্ত পৃথিবীর সমস্ত প্রেতাত্মা বা অশুভ আত্মারা জীবিত হয় এবং তারা মানুষের বাড়িতে আসে
 এ সময় তারা ক্ষতি করার জন্য আসে তাই সেই জনগোষ্ঠী বা জাতি যার নাম জাতি  কেল্টটিক  জাতি  সারারাত জেগে থাকতো এবং তারা ভৌতিক পোশাক পরিহিত বিশেষ খাবার এর মাধ্যমে এবং আগুন জ্বালিয়ে বেশ আনন্দ ফুর্তি জাঁকজমক ভাবে পালন করতো এবং অন্যর প্রতিবেশী বা আত্মীয়-স্বজনের বাসা গিয়ে কড়া নাড়তো যে আত্মীয়-স্বজন বা পারা প্রতিবেশীর বাড়িতে সে কড়া নাড়তো সেই প্রতিবেশী বা আত্মীয়-স্বজন আগত প্রতিবেশী বা আত্মীয়-স্বজনকে কুমড়ো অর্থাৎ  পামকিন এর মতো চকলেট দিয়ে আপ্যায়ন করত বা ট্রিট হিসেবে দিত ।
বর্তমানে এটি পুরো বিশ্বে বেশ আনন্দ জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করা হয় ।  এশিয়া মহাদেশ এ কম হলেও অর্থাৎ এশিয়া মহাদেশে শহরগুলোতেও পালন করা হলেও পশ্চিমা বিশ্বে বেশ জনপ্রিয় এবং জাঁকজমক ভাবে পালন করা হয়।  এর মূল পোশাক হলো ভৌতিক যে কোন পোশাক এবং পুরো জায়গাটি একটি ভৌতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা মূলত এটি করা হয় যাতে  অশুভ প্রেতাত্মা বা অশুভ শক্তিকে দুর করার জন্য আসলে এটা কতটুক সত্যতা তা যারা করে তারাই ভালো জানে। 
শিশুদের আনন্দে হ্যালোইন
হ্যালোইন শিশুদের মাঝে অত্যন্ত মজার এবং আনন্দের মূলত শিশুরাই মূলত  আনন্দ উৎসব পালন করে থাকে ।  শিশু এবং তরুণরা এ উৎসব পালন করে অত্যন্ত আনন্দের সাথে শিশুরা বিভিন্ন ভৌতিক পোশাক এর সজ্জিত করে  নিজেকে এবং অন্যের বাড়ি গিয়ে কড়া নাড়ে এবং বিভিন্ন উপহার বা ট্রিট সংগ্রহ করে এবং দুই ধরনের খাবার গ্রহণ করে।
মূলত শিশুদের জন্য হ্যালোইন উৎসব অত্যন্ত আনন্দের এবং ট্রিট গ্রহণ করার বা সংগ্রহ করার দিন তাই শিশুদের কাছে এ দিনটি অত্যন্ত আনন্দের।
শেষ কথা
হ্যালো যেহেতু আমাদের দেশীয় কোন উৎসব নয় এটি একটি শিরকও বলা যায় সাধারণত বলব যে এসব উৎসব আমাদের দেশে পালন করা ঠিক নয় আমার মনে হয় স্থানীয় ভাষাভাষী ইংরেজি শিক্ষকরা মূলত দায়ী তরুণ শিক্ষার্থীর জন্য মুখোশ তৈরি করা এবং ক্যান্ডি পাওয়া যাওয়া মজাদার ও আকর্ষণীয় করা এগুলো আমাদের দেশে এই উৎসব চলে আসার জন্য।
পৃথিবীর যত তাড়াতাড়ি উন্নত হচ্ছে দিন দিন পশ্চিমা দেশের ধর্মীয় বা কালচারগুলো কেন জানি আমাদের মাঝে বিদ্যমান হতে চলেছে যেটা আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে বিপদে ফেলে দিচ্ছে সর্বোপরি আজকের আর্টিকেল শেষ করছি এ প্রত্যাশায় আমরা আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে মনেপ্রাণে গেঁথে রাখব এবং ভালোবাসবো।  



টাইম বিডি ২৪ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url