পঞ্চগড় থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার উপযুক্ত সময়

 বাংলাদেশ উত্তর সীমান্তবর্তী তেতুলিয়া পঞ্চগড় থেকে পরিষ্কার আকাশ হলে দূরে হিমালয়ে শ্রেষ্ঠ  শৃঙ্গগুলোর মধ্যে একটি  কাঞ্চনজঙ্ঘা খালি চোখে দেখা যায় । সঠিক পরিকল্পনা সময় নির্বাচন ও ভ্রমণ পদ্ধতি জানলে আপনি অনায়াসে এই অপূর্ব নৈসর্গ দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন । তবে সব সময় সবার ভাগ্যে এমনটা হয় না,  এই নৈসরিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য আকাশ পরিষ্কার এবং খুব ভোরে ছাড়া উপভোগ করা সম্ভব হয় না।

তাই শুধুমাত্র পরিকল্পনা করলেই হয় না ভাগ্য ও সঙ্গ দেওয়া লাগে চলুন আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করব বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে এবং আমার বিভাগ রাজশাহী থেকে বাংলাদেশের উত্তর সীমান্তবর্তী তেতুলিয়া পঞ্চগড় যা বাংলাদেশের শেষ সীমান্ত । সেখানে কিভাবে যেতে হয় , কিভাবে সেখানকার অপরূপ এই সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় , কোথায় থাকা যাবে,  কেমন খরচ হবে খাবার কোথায় খাবেন আবার কিভাবে ফেরত যাবেন সবকিছু আলোচনা করব এবং একটি পূর্ণাঙ্গ টুর প্যাকেজ এর সম্পূর্ণ তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব । 

সূচীপত্র ঃ রাজশাহী ও ঢাকা থেকে তেতুলিয়া কাঞ্চনজঙ্ঘা ভিউ। 

কেন তেতুলিয়া বিশেষ

তেতুলিয়া, পঞ্চগড় জেলার উত্তর সীমান্তবর্তী একটি উপজেলা । এই  তেতুলিয়া বাংলাদেশের শেষ সীমান্তের এবং ইন্ডিয়ার কাছাকাছি একটি বর্ডার রয়েছে যেখান দিয়ে ভারতের শিলিগুড়ি যাওয়া যায়।  বাংলাদেশের এ প্রান্তকে তেতুলিয়া নামে পরিচিত তেতুলিয়া ওই প্রান্ত অর্থাৎ ভারতের অংশ বাংলাবান্ধা বা শিলিগুড়ি।  এটি বাংলাবান্ধা বর্ডার নামে পরিচিত ।
স্থানটির ভৌগোলিক অবস্থান এবং আশেপাশের সমতল ভূমির কারণে সঠিক আকাশ ও আলো থাকলে এখানে দূরে হিমালয়ের কাঞ্চনজঙ্ঘার বরফের ঢাকা চূড়া দেখা যায়।  যা দেশের অভ্যন্তরে এমন অদ্ভুত ও অপ্রত্যাশিত এক দৃশ্য।  লোকালরা বলছেন শীতলতম এবং মেঘমুক্ত সকালে পাহাড়ের রূপ আলোর  বদলে যায় গোল্ডেন রং বা সোনালী রং ধরা থেকে  শুরু করে নিলাভ গোলাপ আভা দেখা যায়। 

 এই আকর্ষণ টি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্যটক জাগ্রত করেছে এবং মানুষ কলকাতা ডিস্টেন্স ভ্রমণ করে এখানে আসে এমন  নৈসর্গ সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য প্রতি বছর শীতের আগ মুহূর্তে অর্থাৎ অক্টোবর মাসের শেষের দিকে এবং নভেম্বরের প্রথম দিকে প্রচুর পর্যটক এ অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়ার এই উপজেলায় হুমড়ি খেয়ে পড়ে । আর এসব কারণেই পঞ্চগড় জেলার এ তেতুলিয়া উপজেলা অত্যন্ত জনপ্রিয় পর্যটকপ্রেমীদের কাছে। 

কিভাবে যাবেন ঢাকা থেকে রাজশাহী থেকে বাস ট্রেন গাড়ি

ঢাকা থেকে তেতুলিয়া যাবার প্রধান রোড সম রুট সমূহ

ঢাকা ও রাজশাহী থেকে তেতুলিয়া যাবার বিশদ পথ সময় ও খরচের ধারণা দেওয়া হল আমি এই আর্টিকেলে দুই ধরনের পদ্ধতি বলব অর্থাৎ ট্রেনে কিভাবে যাওয়া যায় এবং বাসে  কিভাবে যাওয়া যায় যাতে আপনারা সহজেই বাস বা ট্রেন যোগে  পঞ্চগড় তেতুলিয়া যেতে পারে পারেন। 

প্রথমে আমি ঢাকা থেকে তেতুলিয়া যাবার পদ্ধতি আলোচনা করছি- 

 রুট নাম্বার -১ ( ট্রেন )

ঢাকা থেকে পঞ্চগড় সরাসরি  যায় কিছু ট্রেন,  টিকিট পছন্দের শ্রেণী অনুযায়ী নিতে হবে এরপর পঞ্চগড় থেকে লোকাল বাস মাইক্রো বা প্রাইভেট কারে তে চলে যেতে হবে । ঢাকার ট্রেনের সময়সূচী নীচে দেয়া হল । 

ট্রেন নাম গন্তব্য আসনের ধরণ ট্রেন ছাড়ার সময় ভাড়া পোঁছানোর সময়
একতা একপ্রেস ঢাকা - পঞ্চগড় শোভন চেয়ার সকাল ১০.১৫ ৫৫০ টাকা রাত ৯.০০
দ্রুতযান একপ্রেস ঢাকা - পঞ্চগড় প্রথম সিট রাত ৮.৪৫ ১০৩৫ টাকা সকাল ৭.১০
পঞ্চগড় একপ্রেস ঢাকা - পঞ্চগড় এসি চেয়ার রাত ১১.৩০ ১২৬০ টাকা সকাল ৯.৫০
ঢাকা - পঞ্চগড় এসি বাথ ১৮৯২ টাকা

ওপরে টেবিলে আলোচনা করা হয়েছে তিনটি ট্রেনের যা ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ে উদ্দ্যেশে ছেড়ে আসে এখানে যে ভাড়া গুলো নির্ধারণ করা হয়েছে সেগুলো প্রত্যেকটি ট্রেনের আসন সংখ্যা  ও আসনের ধরন এবং ভাড়া একই রকম অর্থাৎ শোভন চেয়ার,  প্রথম সিট,  এসি চেয়ার,  এসি বাথ এর চার ধরনের আসনের সবগুলোর ভাড়া একই ধরনের তাই আর আলাদা করে দেওয়া হল।  এখানে একসাথে দেওয়া  আপনারা যে ট্রেন বা যে সময় সুবিধা হয় সে অনুযায়ী ট্রেন নির্ধারণ করতে পারবেন। 

রুট নাম্বার - ২ ( বাস সরাসরি ) 

বিভিন্ন দূর পালার বাস ঢাকা থেকে পঞ্চগড়  বা তেতুলিয়া পর্যন্ত যায় যায় । সরাসরি বাস হলে সবচেয়ে সহজ যথাসময়ে পৌঁছে সকাল সকাল সেই নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।   বাসে রাত্রিকালীন যাত্রা করলে সকালে পৌঁছে ভিউ উপভোগ করা যায়।  বাসগুলো সাধারণত ছেড়ে যায় সকাল দশটা থেকে বারোটার মধ্যে বাসের খরচ এসি বাসে সাধারণত বেশি খরচ হয় প্রতিজন প্রতি ১৫০০ থেকে 2000 টাকা,  নন এসে বাসের  ভাড়া ৯০০ থেকে ১২০০ টাকা মধ্যে হয়ে থাকে। 

রাজশাহী থেকে পঞ্চগড় যাবার ট্রেন ও  বাসের নিম্নে বর্ণনা করা হলো 

রাজশাহী থেকে পঞ্চগড় যাওয়ার ট্রেন একটি রয়েছে সেটা বাংলাবান্ধা একপ্রেস ।  ট্রেনটি রাজশাহী থেকে প্রতিদিন রাত 9.০০  টায় ছেড়ে যাই এবং ভোর ৪:৫৭ তে পঞ্চগড়ে পোঁছে ।  শুক্রবার বন্ধ থাকে ট্রেনটি।  সপ্তাহের  বাকি দিন চলাচল করে নিয়মিত।  ট্রেনের  মধ্যে যেসব আসন রয়েছে তার মধ্যে ভাড়া ১০৪ টাকা জনপ্রতি,  শোভন চেয়ারের ভাড়া ৩৩৫ টাকা জনপ্রতি,  ফার্স্ট ক্লাস চেয়ারে ভাড়া ৪৪৫ টাকা জনপ্রতি , ফার্স্ট ক্লাস  ৬৮৫ টাকা ।  স্নিগ্ধা অর্থাৎ এসি এর ভাড়া ৫৫৫ টাকা জনপ্রতি এবং এসি কেবিন  এর ভাড়া ৬৬৫ টাকা জনপ্রতি।  ডাইরেক্ট তেতুলিয়া   পর্যন্ত ট্রেন না থাকাই তেতুলিয়া যাবার জন্য পঞ্চগড় স্টেশনে নেমে তারপরে বাস  বা সিএনজির মাধ্যমে তেতুলিয়া পৌঁছতে হবে । 

অনেক সময় ভ্যানেও যাওয়া যায়  ।  তবে রাজশাহী থেকে ট্রেনে  পঞ্চগড় পৌঁছে  সুন্দরভাবে সকালের সেই সঠিক  নৈসর্গিক সৌন্দর্য  উপলব্ধি করতে পারবে কারণ প্রায় ৪.৫৭ মিনিট  অর্থাৎ  ভোর পাঁচটার দিকে পৌঁছে যাবে পঞ্চগড়ে । যেহেতু রাজশাহী একটি বিভাগীয় শহর এবং ঢাকা রাজধানী  তাই ঢাকার মতো  যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না অর্থাৎ ট্রেন ও বাস সবসময় এভেলেবেল থাকে না । যেমন রাজশাহীর ক্ষেত্রে বাসে গেলে ডিরেক্ট বাস নাই বাসে প্রথমে পঞ্চগড় যেতে হবে তারপর ভ্যান বা সিএনজির মাধ্যমে বাকি পথ রওনা হতে হবে । 
বাসে যেতে মোটামুটি পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা লেগে যায় কারণ রাজশাহী থেকে তেতুলিয়া  এর  দূরত্ব প্রায় ৩০০ কিলোমিটার অপরদিকে রাজশাহী থেকে ঢাকার দূরত্ব প্রায় ২৬৫ থেকে ২৭৫ কিলোমিটার যদিও কিলোমিটারের  দিক দিয়ে রাজশাহী থেকে পঞ্চগড় দূরে কিন্তু বিভাগের শহর বা জেলা শহরের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন একটা  উন্নতিকর নয় যেতে হলে ট্রেনে যেতে হবে এবং বাকি কাজ ভেঙ্গে ভেঙ্গে করতে হবে অর্থাৎ ভাঙ্গা ভাঙ্গা সিএনজি বা বাসে করে যেতে হবে এবং বাসেও  খুব একটা ভালো মানের বাস নয় ।  ভালো-মন্দ সুযোগ-সুবিধা থাকবেই এর মধ্যেই আনন্দ উপভোগ করছে এবং ফেরত আসছে মুখ্য বিষয় হলো  সৌন্দর্য উপভোগ করা।

কাঞ্চনজঙ্ঘা ভিউ পয়েন্ট ও কেন ডাক বাংলো গুরুত্বপূর্ণ

কাঞ্চনজঙ্ঘা ভিউ  পয়েন্ট বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া উপজেলায় অবস্থিত।  যেখান থেকে দূর থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম পর্বতমালা দেখা যায় । বরফে ঢাকা এ কাঞ্চনজঙ্ঘা   আকাশ যখন পরিষ্কার থাকে অর্থাৎ মেঘ মুক্ত থাকে অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আকাশ বেশ পরিস্কার থাকে তখন বাংলাদেশের এই পঞ্চগড় জেলার  তেতুলিয়া উপজেলা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার উপস্থিতি টের পাওয়া যায় ।
অর্থাৎ এতো দূর হওয়া সত্ত্বেও পৃথিবীর  তৃতীয় বৃহত্তর পর্বতমালা এ হিমালয় বরফে ঢাকা  অপরূপ সৌন্দর্যমন্ডিত কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায় বাংলাদেশ থেকেই আর এই সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন হুমরি খেয়ে পড়ে । এজন্য কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন্য পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া উপজেলা কাঞ্চনজঙ্ঘা ভিউ পয়েন্ট বেশ গুরুত্বপূর্ণ । অপরদিকে তেতুলিয়া উপজেলায় মহানন্দা নদীর পাশে একটি  ডাকবাংলো রয়েছে যেখানে দাঁড়িয়ে খুব ভোরে অর্থাৎ আকাশ পরিস্কার থাকলে মহানন্দা নদীর কোল ঘেঁষে  একদিকে নদীর সৌন্দর্য অপরদিকে সেখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য স্পষ্ট তো হবে দেখা যায় এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পর্যটকদের থাকার জন্য সরকারিভাবে এর ডাক বাংলো ব্যবস্থা করে থাকে।

 সরকারি বিভিন্ন লোকজন যদি কাঞ্চনজঙ্ঘা  দেখতে চাই তবে এই ডাক বাংলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা শুধু এই ডাকবাংলাতে থাকলেই যে আপনি সেখান থেকে উপভোগ করতে পারবেন এমন কিন্তু নয়।  এখানে না থেকেও এই ভিউ পয়েন্টে আসলে কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় তবে খুব একটা বেশি থাকার জায়গা না থাকলেও এই ডাক বাংলো বিভিন্ন পর্যটকদের থাকার জন্য অত্যন্ত বিশ্বস্ত এবং সিকিউরিটি সম্মিলিত জায়গা।  যেখানে আপনি থাকতেও পারবেন এবং খুব ভোরে উঠে কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন এর সাথে মহনন্দা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন । সেখানে  জেলেদের মাছ ধরা , নদীর তলদেশ থেকে বিভিন্ন উপায়ে পাথর উত্তোলন আপনাকে মুগ্ধ করবে।
 ডাকবাংলো পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর সেখানে বিভিন্ন রকম থাকার জায়গা রয়েছে , ডাকবাংলোতে  থাকার জন্য তেতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয় এবং কেয়ারটেকারের মাধ্যমে ব্যবস্থা করা যায় এ ডাকবাংলো টি সরকারী  স্থাপনা যা বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আশ্রয় দিয়েছে এবং স্থানীয় প্রশাসক কে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। 

থাকার ব্যবস্থা  (হোটেল,  গেস্ট হাউস ও  ডাকবাংলা)

তেঁতুলিয়া পঞ্চগড় জেলার উত্তরের  অংশ যেখান থেকে আকাশ স্পষ্ট হলে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা সম্ভব,  সাধারণত অক্টোবরের  মাঝামাঝি থেকে নভেম্বর এর  মাঝা মাঝি পর্যন্ত ভালো  ভিউ পাওয়া যায়।  তেতুলিয়ার জনপ্রিয় ভিউ পয়েন্ট গুলো হল তেতুলিয়ার ডাক বাংলো , সালবাহান , মাঝিপাড়া ইত্যাদি এসব জায়গা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা  নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করা যায় অত্যন্ত ভালোভাবে । পঞ্চগড় আসলে এখানে থাকার জন্য বেশ কিছু জায়গা রয়েছে। আজকে এই আর্টিকেলে আলোচনা করছি।

 হোটেল অর্গদূত  প্যালেস এটি পঞ্চগড় শহরে অবস্থিত অনলাইন  তালিকায় ডাবল বেডরুম ডাবল রুমের মূল্য তালিকা ৮৫০ থেকে ১৭০০ টাকা পর্যন্ত। ইকো মহানন্দা কটেজ,  ডিটিসি হোস্টেল,  সীমান্ত পার , অনন্ধারা রিসোর্ট ,  তেতুলিয়াতে পর্যটকরা এগুলোতে থাকার কথা বলেন । তেতুলিয়া সরকারি গেস্ট হাউস বা তেতুলিয়া ডাকবাংলো সরকারিভাবে থাকার ব্যবস্থা আছে ।  এগুলোর থাকার জন্য  সাধারণত ১০০০ থেকে ৫০০০ হাজার টাকা প্রতি রাত হয়ে থাকে।  এটি নির্ভর করে সাধারণত সার্ভিস মান ও সিজনের ওপর ।  বাজেট অপশন হলে   ৫০০ থেকে ১৫০০ মিলতে পারে। 

 আপনি যদি এসব হোটেলে থাকতে চান তাহলে সিজনের সময় আপনাকে আগে থেকেই অনলাইনে মাধ্যমে বা ফোন করে থাকার জন্য রুম বুক করতে হবে । সিজেন এর সময় বহু লোক এখানে  কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসে । তাই রিসোর্ট গুলোকে আগে থেকে বুক করে থাকার ব্যবস্থাটা করে নেওয়াই ভালো কারণ আপনাকে এখানে এসে থাকতেই হবে অর্থাৎ যে উদ্দেশ্যে এখানে আসা কাঞ্চনজঙ্ঘার নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করা এবং এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে এখানে রাত্রী  যাপন করে খুব ভোরে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার ভিউ পয়েন্টগুলো তে যেতে হবে । তাই যদি এখানে এসে রুম না পান সমস্যায় পড়তে হবে এই সমস্যা এড়াতে আগে থেকে অনলাইনে মাধ্যমে বুকিং করতে রাখতে হবে আপনার প্রয়োজন মত। 

খাবার ব্যবস্থা , লোকাল বাজার ও  সংস্কৃতি

পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম এবং উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার যার উচ্চতা প্রায় ৮৫৮৬ মিটার এর অপরুপ সৌন্দর্য বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া উপজেলা থেকে দেখা যায় । যা একটি আশ্চর্য এবং চমৎকার নৈসর্গিক  সৌন্দর্য বটে এত দূরের পর্বতমালা যা পঞ্চগড় থেকে দেখা যায় অত্যন্ত আশ্চর্যের একটি বিষয়।  তবে সব সময় তা দেখা যায় না অর্থাৎ বছরের সম্পূর্ণ সময় এ নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখা যায় না বছরের নির্দিষ্ট কিছুটা সময় অর্থাৎ অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আকাশ পরিষ্কার থাকলে এই নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখা যায় ।

পঞ্চগড় একটি জেলা শহর যার ফলে এখানে থাকার ব্যবস্থা খুব বেশি উন্নত না তবে এই নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য দেশের বহু জায়গা থেকে বহু মানুষ এখানে সমাগম হয় যার ফলে এখানে থাকার এবং খাবার ব্যবস্থা আগে থেকে করে আসতে হবে । বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়কে হিমালয় কন্যা নামে পরিচিত করেছে।  সৌন্দর্যের জন্য এই অঞ্চলের খাবার ব্যবস্থা ও স্থানীয় সংস্কৃতিতে স্থানীয় কৃষি ও ঐতিহ্যবাহী রন্ধন শৈলির প্রভাব দেখা যায়,  আর লোকাল বাজারগুলোতে স্থানে শিল্প পণ্য ও হস্তশিল্প পাওয়া যায় যা  পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় একটি দিক।

রেস্টুরেন্ট গুলোতে আপনি বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় খাবার,  বাংলা খাবার খুঁজে পাবেন যেমন মাছ, মাংশ  ভর্তা, ভাত স্থানীয় সবজি এসব খাবার পাওয়া যায় লোকাল বাজারগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলা স্থল বন্দর এটি পঞ্চগড়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান যেখানে স্থানীয় সীমান্ত এলাকার পণ্য পাওয়া যায়।  পঞ্চগড় শহরের বাজার এখানে আপনি স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত ফল,  সবজি ও অন্যান্য কৃষিজাত পণ্য কিনতে পারবেন এবং এদের গ্রামীণ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন অত্যন্ত সুন্দর।  কাজী এন্ড কাজী  টি টেস্ট ও তেতুলিয়া চা বাগান । আপনি এখানে বিভিন্ন ধরনের চা পাবেন যা আপনার কেনাকাটার তালিকা যোগ করতে পারে অন্য মাত্রা এবং কাজী এন্ড কাজী টি এর অসাধারণ চা উপভোগ করতে পারবেন। 

ও এর আশেপাশে ভিক্টোরিয়ান ধাচের ডাক বাংলো, ঐতিহাসিক মসজি্‌ মন্দির ও দুর্গ রয়েছে যা এলাকার সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা দেয় । তেতুলিয়া জায়গাটি অত্যন্ত শান্ত মনোরোগ পরিবেশ তেতুলিয়ার  পাশ দিয়েই বয়ে গেছে মহানন্দা নদী যা তেতুলিয়াকে  করেছে   নৈসর্গিক সৌন্দর্য এর  আরেক রূপ। এখানকার মানুষ জীবনযাত্রা তাদের ঐতিহ্য এবং স্থানীয় উৎসবগুলো আপনাকে পঞ্চগড়ের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে ।  যেহেতু সীমান্তবর্তী এলাকা এখানে মানুষজন ব্যবসার পাশাপাশি কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল এবং সীমান্তবর্তী এলাকার হওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এর বিভিন্ন পণ্য এখানে পাওয়া যাবে।

ভিউ দেখার সময় আবহাওয়া এবং ক্যামেরা টিপস

পৃথিবীর বৃহত্তম তৃতীয় পর্বত শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন্য বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের উপযুক্ত সময় অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত।  উৎকৃষ্ট এ সময় আকাশ পরিষ্কার থাকে এবং এ নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য আকাশ পরিষ্কার অর্থাৎ আকাশ মেঘমুক্ত ও কুয়াশা মুক্ত থাকা জরুরী,  তাছাড়া এই সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় না এবং এই নৈসর্গিক  সৌন্দর্য যদি স্মৃতির পাতায় রেখে দিতে  চান তাহলে আপনাকে একটি ভালো জুম যুক্ত ক্যামেরা প্রয়োজন হবে এবং ছবি স্পষ্ট এবং সুন্দর হওয়ার জন্য দিনের আলো ভালো হওয়া প্রয়োজন তা না হলে আপনার এ ঐসব স্মরণীয় মুহূর্তটিকে ক্যামেরাবন্দী করে স্মৃতির পাতায় রাখা সম্ভব হবে না।

অর্থাৎ বছরের সব সময় এই সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় না,  যা আমি আগেই বলেছি এই সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ভ্রমণপ্রকাশ  পিপাসুরা সারা বছরের এই একটি মাস এর জন্য অপেক্ষা করে এবং এই সময়ে মানুষ এই সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া উপজেলার কাঞ্চনজঙ্ঘা ভিউ পয়েন্টগুলোতে ভিড় জমায় এবং তাদের এই নৈসর্গিক সৌন্দর্য এর স্মৃতিকে তাদের  স্মৃতির পাতায় রেখে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন আঙ্গিকে ছবি ও ভিডিও  ধারণ করে।

বিস্তারিত ২-৩ দিনের নমুনা ও  বাজেট অনুমান

পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া উপজেলা থেকে বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তর এবং উচ্চতর পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন্য দুই থেকে তিন দিনের একটি ভ্রমণ সূচি করা যেতে পারে এবং দুই থেকে তিন দিনই যথেষ্ট এই  পঞ্চগড়ের জেলা ভ্রমণ করার জন্য চলুন এই আর্টিকেলে এখন আলোচনা করি পঞ্চগড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা ছাড়াও আর কি কি দেখার বা ঘোরার জায়গা রয়েছে  আপনাদের সুবিধার্থে আমি দুই থেকে তিন দিনের একটি নমুনা বাজেট অনুমান করে দিচ্ছিযদি কেউ বেশি বা কম করতে চান  আপনাদের  সুবিধামতো করতে পারবে এখান থেকে শুধু একটু নমুনা বা ধারণা নিতে পারবেন  

 দিন -   পঞ্চগড় আগমন ও স্থানের দর্শন গুলো প্রাথমিক দর্শন সকালে ট্রেনে বা বাসে পঞ্চগড় পৌঁছে হোটেলে চেক ইন করাদুপুরের পর পঞ্চগড় জেলার ঐতিহাসিক জায়গাগুলো র দর্শন আপনাদের সুবিধার্থে কিছু জায়গার নাম করেরহাট জমিদার বাড়ি, বোয়ালমারী  বধ্যভুমি,   ইত্যাদি ঘুরে দেখা সন্ধ্যায় স্থানীয় বাজারে ঘোরাঘুরি পঞ্চগড়ে বিখ্যাত চা বাগানে আশেপাশের সময় কাটানো এবং সেখানকার উৎপাদন চা যদি সৌভাগ্য হয় খাওয়া সন্ধ্যার সময় পঞ্চগড় ডাক বাংলোতে মহানন্দা নদীর পাশে একবার সুযোগ নেওয়া যদি আকাশ মেঘমুক্ত ও কুয়াশা  মুক্ত থাকে তাহলে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার একটি সুযোগ যদি সম্ভব হয়

 দিন -  তেতুলিয়া ও কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন আগের দিন সন্ধ্যায় চেষ্টা করা হয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার যদি দেখা পেয়ে যায় , ভাগ্য যদি সহায় থাকে তাহলে সম্ভব আর না সম্ভব হলে পরবর্তী দিন খুব ভরে যদি পঞ্চগড়ে থাকা হয় তাহলে তেতুলিয়া উদ্দেশ্যে রওনা আর যদি তেতুলিয়া থাকা হয় তাহলে তেতুলিয়া থাকা হয় তাহলে দ্রুত কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার ভিউ পয়েন্টগুলোতে যাওয়া   সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় কাঞ্চনজঙ্ঘার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখা যা ভোরবেলা পরিষ্কার থাকেতেতুলিয়ার ডাক বাংলো চা বাগান ও মহানন্দা নদী প্রদর্শন সর্বোপরি ভাগ্য সহায় থাকলে কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শন খুব পরিষ্কারভাবে পাওয়া যায়  তেতুলিয়া ডাকবাংলো মহানন্দা নদীর পাশ থেকে কাঞ্চনজঙ্গা দেখা হয়ে গেলে পঞ্চগড় জাদুঘর পরিদর্শন করা যেতে পারে বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট হয়ে ভারতের সীমান্ত এলাকা দেখা।এখানে যেহেতু একটি  স্থলবন্দর রয়েছে তা  ঘুরে দেখা এবং ০ পয়েন্ট এ কিছু স্মৃতিচারণ অর্থাৎ ছবি তোলা এবং সর্বোপরি এসব দেখা হয়ে গেলে সন্ধ্যার পরে হোটেলের চেক ইন করা 

 দিন -   আগের দিন ভাগ্য যদি ভালো থাকে তাহলে কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য উপভোগ করলাম যদি ঠিকমতো দেখা না হয় পরের দিন অর্থাৎ তৃতীয় দিন আবার চেষ্টা করা আর যদি দ্বিতীয় দিনে দেখা হয়ে থাকে আরো একবার এর সৌন্দর্য উপভোগ করা সকালে বাংলাবাজার জিরো পয়েন্টে ঘুরে দেখা যেখানে বাংলাদেশ ও ভারতের সংযোগ দেখা যায় দুপুরের পর পঞ্চগড় থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য ও গন্তব্যে ফিরে আসা  

 বাজেট অনুমান করার জন্য সংক্ষিপ্ত একটি বিবরণ দিচ্ছি আপনাদের সুবিধার্থে যাতায়াত অর্থাৎ ঢাকা থেকে পঞ্চগড় এবং ফিরে আসা এবং পঞ্চগড় এর মধ্যে যাতায়াত বাবদ প্রায় তিন থেকে চার হাজার টাকা খরচ এই বাজেটের মধ্যে রয়েছে বাস রিক্সা ধ্যান বা অন্য কিছু ভালো মানের হোটেল ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা বা সর্বোচ্চ ৩০০০ টাকা লাগতে পারে এবং সর্বোপরি খাবার প্রতিদিনের খাবার বাবদ এক হাজার থেকে পনেরশো টাকা ধরা যেতে পারে তিন বেলা খাবার এবং কিছু আনুমানিক এক্সট্রা খরচ হতে পারে যা এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা ধরে রাখা ভালো সেক্ষেত্রে মোট আনুমানিক খরচ সাড়ে আট হাজার থেকে ১৪ হাজার টাকা জনপ্রতি হতে পারে খরচটা আসলে নির্ভর করে আপনার অভিরুচি আপনার পছন্দ এবং যাতায়াতের যানবাহনের ওপর ইচ্ছা করলে কিছুটা কম বেশি করা যায় যদি আপনি চান

 নিরাপত্তা স্বাস্থ্য ও স্থানীয়  নিয়ম কানুন

এটি একটি টুরিস্ট প্লেস এবং নির্দিষ্ট কারণের জন্য কিছু সতর্কতা ও নিয়ম কানুন জানা অত্যন্ত জরুরি আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সুবিধার্থে আমি সে সব নিয়ম কানুন বা নিরাপত্তা জনিত বিষয়  গুলো দরকার সেগুলো নিয়ে আলোচনা করছি।

সীমান্ত এলাকার সতর্কতাঃ-

কিছু কিছু ভিউ পয়েন্ট সীমান্তের খুব কাছে সেখানে যাওয়ার আগে স্থানীয় প্রশাসন বা পুলিশ  এর নিকট থেকে অনুমতি  বা গাইড নিয়ে  গেলে সুবিধা হয়। বাংলাবান্ধার মতো জিরো পয়েন্ট এলাকায় ইমিগ্রেশন সিকিউরিটি চেক পয়েন্ট থাকতে পারে সেখানে  অনুপ্রবেশ করা যাবে না ।

আবহাওয়া ও শীত থেকে সুরক্ষাঃ-

শীতকালে রাতে তীব্র ঠান্ডা হতে পারে  হেড কাভার,  থার্মাল ও গ্লাভস রাখুন। এখানে এসে যাতে ঠান্ডা না লেগে যায় পুরো ট্রিপটাই যেন বোরিং না হয়ে যায় অসুস্থতার কারণে । তাই গরম কাপড় ব্যবহার করুন এবং প্রয়োজন মত নিয়মকানুন মেনে সবকিছু করুন যাতে আপনি শীতে বা আবহাওয়া জনিত কারনে  অসুস্থ না হয়ে যান। আপনার ভ্রমণ আরাম ও আনন্দদায়ক হোক এটা সকলেরই কাম্য।

স্বাস্থ্যঃ- 

প্রাথমিক ওষুধ অ্যান্টিবায়োটিক /  মল/ ব্যথা নাশক সংরক্ষণ করুন ।  শহরে উন্নত চিকিৎসা  উপলব্ধ আছে ।খাদ্য ও পানি বয়লার করা বা বোতলজাত পানি নিন রাস্তার খাবারে সতর্ক থাকুন।
সীমান্তবর্তী এলাকায় লোকদের সাথে বন্ধুত্ব সম্পন্ন আচরণ করুন।  দূর থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসবেন আর মেঘলা আকাশ বা কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশের জন্য আপনার কাঞ্চনজঙ্ঘা সৌন্দর্য উপভোগ করা হলো না এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি আমি মনে করি। 

আপনার ট্রিপ যেদিন আছে সেদিনকার  আবহাওয়া চেক করুন , শেষ মুহূর্তে মেঘলা হলে ভ্রমণ পিছে দিন। ভোর বেলায় অনেক ছবি তুলবেন অতিরিক্ত ব্যাটারি ও মেমোরি নিন যাতে ছবি তুলতে বা স্মৃতিগুলোকে স্মৃতির পাতায় রেখে দিতে বাধা গ্রস্ত  হতে না  হয়। শীতকালে এখানে অনেকে পর্যটক  আসে কাঞ্চনজঙ্ঘা সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ।  উপভোগ করা যেন আনন্দদায়ক হয় তার জন্য হোটেলগুলো আগেই বুকিং রাখেন যাতে শেষ সময়ে এসে সমস্যায় পড়তে না হয়। 

শেষ কথা

আপনি যদি প্রকৃতির সহজ সরল,  অথচ মহৎ সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান তেতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য একবার জীবনে দেখে নেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা পরিকল্পনা করে থাকেন,  বিশেষ করে সঠিক সময় নির্বাচন শীতকাল ভোর বা বিকেল সঠিক ভিউ পয়েন্ট ও আবহাওয়ার পূর্বাভাস এই তিনটা মিলে ভ্রমণটি সফল করে তে চান । উপর দেওয়া দুই - তিন দিন এর বাজেট টিপস অনুসরণ করে আপনি আপনার ব্যক্তিগত ভ্রমণ পরিকল্পনায় সহজে কাজে লাগাতে পারবেন। 

আর আপনাদের আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি সামান্য উপকার হয় আমি আমার আর্টিকেল লেখা সার্থক মনে করব । আজকের মত এখানেই শেষ করছি দেখা হবে নতুন আর্টিকেলে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টাইম বিডি ২৪ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url