ক্যানভা ডিজাইন শিখে ইনকাম

ক্যানভা ডিজাইন শিখে ইনকাম বর্তমানে ইন্টারনেট ছাড়া কোন কিশু যেন ভাবাই যাই না, প্রতিটা সেক্টর , প্রতিটা জায়গাই ইন্টারনেট এর রাজত্ব। গ্রাম গঞ্জে থেকে শুরু করে শহর কোথায় নেই এই ইন্টারনেট ?

এই অনলাইন অর্থাৎ ইন্টারনেট এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম এর একটি বড় মাধ্যম ,অনেক সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে বর্তমানে যেমন ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক এমন আরও অনেক, এখানে ভিডিও, ছবি, আর্টিকেল এমন সব পোস্ট করে টাকা ইনকাম করা যাই। আর এই সব প্রতিবেদন, কনটেন্ট , ভিডিও এডিটিং এ বিশাল সাহায্য করে ক্যানভা।

সূচীপত্র ঃ ক্যানভা ডিজাইন শিখে ইনকাম 

ক্যানভা কি এবং এর ইতিহাস

ক্যানভা অনলাইনের মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিজিটিং কার্ড, ইউটিউব -ফেসবুক থাম্বেল তৈরি এবং যাবতীয় পোস্টিং ডিজাইন করার একটি উন্মুক্ত ভিনদেশী প্ল্যাটফর্ম। ক্যানভা তে নিজের ইমেল এবং কিছু ইনফরমেশন দিয়ে একাউন্ট খোলার মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়। তারপর ক্যানভা দিয়ে নিজের ইচ্ছেমত টুলস ও ক্যাটাগরি ব্যবহার করে ডিজাইন তৈরি করা হয়। এবং তৈরিক্রীত ডিজাইন ডাউনলোড করতে পারার একটি সফটওয়্যার। তবে সফটওয়্যারটি ফ্রি ব্যবহার করলে সব টুলস ও ক্যাটাগরি ব্যবহার করা যাই না।

ক্যানভা একটি অনলাইন টুল যা ব্যবহারকারীরা পেশাদার ডিজাইনের না হয়েও এখানে অতি সহজে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো বা ডকুমেন্টসগুলো ডিজাইন করে নিতে পারেন এটি ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ। অনলাইনে ক্যান্ভার একাউন্ট খুলে যে কেউ ব্যবহার করতে পারে এবং তার প্রয়োজনীয় ডিজাইন তৈরি করতে পারে।
ক্যানভা ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার পার্থে প্রতিষ্ঠিত হয়, এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন মিলানি পারকিনস, ক্লিফ অব্রেচট এবং ক্যামেরুন অ্যাডামস। এই তিনজন মিলে কেন তৈরি করেছিল এবং তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ডিজাইন প্রক্রিয়াকে সবাইকে সহজলভ্য করে তোলা মিলানি পারকিনস অনুভব করেন যে ডিজাইন শেখা বেশ কঠিন এবং অনেকেই ডিজাইনটা শিখতে পারেনা আর সে উদ্দেশ্যেই এই ক্যানভা তিনি তৈরি করেছিলেন যাতে সবাই ডিজাইন করতে পারে।

সবকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবার পরে মিলানি পারকিনস, ক্লিফ অব্রেচট এবং ক্যামেরুন অ্যাডামস ২০১৪ সালে ক্যানভাকে চালু করা হয় এবং তার পর থেকেই এই সফটওয়্যার বা ডিজাইনের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়তে থাকে এবং মানুষ তার সহজলভ্যতা অর্থাৎ সহজে ডিজাইন করা যায় এ কারণে এ সফটওয়্যার ে প্রতি দিনে দিনে আগ্রহ বাড়িয়ে চলেছে।

কিভাবে ক্যানভার একাউন্ট খুলতে হয়ঃ-

ক্যানভা একাউন্ট খোলার জন্য ক্যানভা ওয়েবসাইডে গিয়ে সাইন আপ বাটনে ক্লিক করে তারপর ইমেল আইডি অথবা ফেসবুক একাউন্ট বা গুগল ব্যবহার করে নিবন্ধন করতে হবে।
নীচে প্রতিটি ধাপের  ক্যানভা একাউন্ট খোলার বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

ইমেল দ্বারা ঃ- নিজের ইমেল দ্বারা একটি নতুন একাউন্ট তৈরি করতে হবে, নিজের ইমেল ঠিকানা পাসওয়ার্ড এবং ইউজারনেম তাহলেই ক্যানভা একাউন্ট খোলা হয়ে যাবে।
গুগল দ্বারা ঃ- গুগল একাউন্ট দ্বারা সাইন আপ করে, Continue with google এ ক্লিক করে নিজের গুগল  একাউন্ট নির্বাচন করতে হবে । 
ফেসবুক দারাঃ- ফেসবুক  একাউন্ট দ্বারা সাইন আপ করে , Continue with Facebook  বাটনে ক্লিক করে নিজের ফেসবুক  একাউন্ট নির্বাচন করে ক্যানভা একাউন্ট খুলতে হবে।

ক্যানভা দিয়ে কি কি ডিজাইন করা যায় 

কেন দিয়ে কি কি ডিজাইন করা যায় তা বর্ণনা করতে গেলে অনেক জিনিস আছে যা ক্যানভাস দিয়ে অতি সহজেই যে কেউ ডিজাইন করা যায় যেমন ধরা যাক সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট ব্যানার লোগো পোস্টার ফ্লায়ার বিজনেস কার্ড প্রেজেন্টেশন সিভি ইন ফটোগ্রাফিক এবং ভিডিও তৈরি করা যায় এই সফটওয়্যারটি বা টুলস টি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং সব থেকে বড় কথা হচ্ছে এই টুলস টি খুব সহজে যে কেউ ব্যবহার করতে পারে। আজকের আর্টিকেলে ক্যানভাস দিয়ে কি কি ডিজাইন করা যায় তা সম্পূর্ণ রূপে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করব।
ফেসবুক, ইন্সতাগ্রাম, ইউটিউব থাম্বেল এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য পোস্ট ডিজাইন করা যায় খুব সহজে অর্থাৎ যে কেউ এই সফটওয়্যার বার টুলস দিয়ে এসব জিনিস সহজে বানাতে পারবে। সহজলভ্য ও সহজে ব্যবহার করার জন্য যে কেন ছোট বিজনেস হলেও সে ব্যবসার প্রসার বা বৃদ্ধির জন্য নিজেই অনলাইনে মাধ্যমে এবং ক্যানভার সাহায্যে নিজের ব্যবসার ব্যানার ও পোস্টার তৈরি করতে পারবেন যা ক্যাম্পেইন ও বিজ্ঞাপনের জন্য উপযোগী।

আবার যদি কোন প্রেজেন্টেশন বা ইনোগ্রাফিক্সের তৈরি করার লাগে যা অফিসে ও শিক্ষার জন্য কার্যকর সেক্ষেত্রেও যে কেউ খুব সহজে অনলাইনে মাধ্যমে ক্যানভাস সাহায্য সে প্রেজেন্টেশন এবং গ্রাফিক তৈরি করে নিতে পারে।

ক্যানভা শেখার উপায়

ক্যানভা শিখার বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে সেগুলোর  মাধ্যমে ক্যানভা শিখা যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সরাসরি ব্যবহার করে, ক্যানভা ডিজাইন স্কুল এর মাধ্যমে , অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স রয়েছে সে কোর্সগুলো করে ক্যানভা শিখতে পারবেন।  বা ইউটিউব এর বিভিন্ন টিউটোরিয়াল ভিডিও পাওয়া যায়।  সেগুলো দেখেও ক্যানভা শিখতে পারবেন আবার ক্যানভা ডিজাইনগুলো যদি ইউনিক হয় তখন এটা শেখার প্রতি আগ্রহ জমে যায় ।চলুন আলোচনা করা যাক কি করে আর কিভাবে শিখবে ক্যানভা শিখতে পারবেন।

সরাসরি ব্যবহার করে ঃ

অনলাইনে ক্যানভা একাউন্ট খুলে সরাসরি ক্যানভার  বিভিন্ন হেদার ফেদার বা অপশনগুলো ব্যবহার করে ধীরে ধীরে সরাসরি ব্যবহার করার ফলে ক্যানভা শিক্ষতে পারে। 

অনলাইন কোর্সঃ 

ক্যানভা ডিজাইন স্কুলে নতুনদের জন্য অনেক রকম কোর্স রয়েছে যা আপনারা ক্যানভা শিখতে অনেক সাহায্য করবে । আবার আপনি যদি চান ইউটিউবে ক্যানভার  বিভিন্ন টিউটোরিয়াল রয়েছে যা দেখে আপনি সহজেই ক্যানভা টুল ব্যবহার বা ক্যানভা অপশন গুলো সম্বন্ধে জানতে পারবেন এবং খুব সহজেই এখানে ক্যানভাস দিয়ে বিভিন্ন রকম ডিজাইন করতে পারবেন। 

আসলে ক্যানভা এমন একটি সফটওয়্যার বা টুলস যা অনলাইনে এর মাধ্যমে ফ্রি ব্যবহার করা যায় আবার বর্তমানে ক্যানভা কিছু প্রো অপশন বের হয়েছে যেগুলো ব্যবহার করতে চাইলে বা যেগুলো ব্যবহার করলে আপনাকে পেমেন্ট করে ক্যানভা কিনে নিতে হবে। কিন্তু কেন ছাড়াও অর্থাৎ প্রো লেভেল ছাড়াও যেগুলো নরমাল লেভেল রয়েছে সেগুলো দিয়ে অনেক রকম সুন্দর সুন্দর ডিজাইন করা সম্ভব। 

ক্যানভা দিয়ে ইনকাম করার উপায়

ক্যানভা ব্যবহার করে বিভিন্ন সৃজনশীল উপায়ে আয় করা সম্ভব ক্যানভা দিয়ে কিছু জনপ্রিয় এবং কার্য করে কাজকর্মগুলো এই সফটওয়্যার বা টুলস দিয়ে কাজ করে যে কেউ অল্প সময়ের মধ্যে ইনকাম করতে পারবে নিচে আজকের আর্টিকেলে ক্যানভাতে ইনকামের বেশ কিছু পদ্ধতি আলোচনা করা হলো।

ক্যানভাস টেমপ্লেট তৈরি ও বিক্রি

ক্যানভা টেমপ্লেট তৈরি ও বিক্রি সাধারণত দুটি উপায় করা যায় এবং এ পদ্ধতি অবলম্বন করে ক্যাম্পা টেমপ্লেট তৈরি ও বিক্রি করে বেশ ভালো ও লাভজনক একটি উপায় নিচের দুটি উপায়ে আলাদা করে ব্যাখ্যা করা হলোঃ
১। কানভা ক্রিয়েটর প্রোগ্রামেঃ
এটি ক্যানভা প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার তৈরি করা টেমপ্লেটগুলো ক্যানভার বিশাল ব্যবহারকারী গোষ্ঠীর কাছে বিক্রি করতে পারবেন। প্রতিবার আপনার টেমপ্লেট ব্যবহার হলে আপনি রয়ালিটি পাবেন আপনাকে ক্যানভা ক্রিয়েটর প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে হবে এবং আপনার পোর্টফলিও জমা দিতে হবে। সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে কাজ করলে এভাবে আপনি ক্যানভা দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

২। নিজের অনলাইন স্টোরে টেমপ্লেট বিক্রিঃ
আপনি আপনার তৈরি টেমপ্লেট গুলি Esty, Gumroad, Payhip বা আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইটে ডিজিটাল প্রোডাক্ট এ হিসাবে বিক্রি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে গ্রাহক আপনার কাছ থেকে একটি PDF ফাইল ডাউনলোড করবেন। যার মধ্যে টেমপ্লেট গুলির শেয়ারযোগ্য লিংক দেওয়া থাকবে এই লিংকে ক্লিক করে তারা তাদের ক্যানভাএকাউন্টে টেমপ্লেটটি ব্যবহার করতে পারবেন। এই পদ্ধতি আপনি বিক্রয় পুরো টাকা নিজেই পাবেন ক্যানভা প্লাটফর্মের ফি বাদে।

ক্যানভা টিউটোরিয়াল বা কোর্স তৈরিঃ

আপনি যদি ক্যানভা ব্যবহারে বেশ দক্ষ হয়ে থাকেন বা ক্যানভা ব্যবহারের সবগুলো প্রসেস বা নিয়ম জেনে থাকেন। তাহলে আপনি ক্যানভা ব্যবহারের নিয়ম বা কিভাবে ব্যবহার করলে যে কেউ ক্যানভা ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারবে সেসব টিউটোরিয়াল ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব চ্যানেল দিলে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
আবার ক্যানভা দিয়ে কিভাবে সহজে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যানার , পোস্টার বা আনুষঙ্গিক যেসব ক্যানভা দিয়ে কাজ করা যায় সমস্ত কিছু টিউটোরিয়াল আকারে ইউটিউব চ্যানেলে দিলে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।এটি অনেক জনপ্রিয় আরেকটি মাধ্যম যেখানে সহজেই ক্যানভা এবং ইউটিউবের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দেয়া:

ফাইবার আপ অর্ক ফ্রিল্যান্সার এর মতো প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং এ অনেক ধরনের কাজ করা যায় যেগুলোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়। সেজন্য এসব প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে এবং সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো ডিজাইন , ব্যানার , ফায়ার , মেনু কার্ড,  ডিজিটাল মার্কেটিং এসব কাজ করানোর জন্য অনেক ছোট ছোট কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান গ্রাফিক ডিজাইনার খোঁজে এবং এই কাজগুলো অর্থাৎ ডিজাইনগুলো ক্যানভাতে সহজে করা যায় । অর্থাৎ সহজ কথাই বলতে গেলে ক্যানভা ব্যবহার করে সহজেই ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা দেওয়া যায় টাকা ইনকাম করা যায়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:

আপনি যদি ক্যানভা প্রো এর সুবিধা গুলি সম্পর্কে ভিডিও তৈরি করেন বা লিখেন এবং আপনার রেফারেল লিংকের মাধ্যমে কেউ ক্যানভা প্রো সাবস্ক্রিপশন কেনেন তবে আপনি কমিশন পেতে পারেন। এবং এই কমিশন পাওয়ার মাধ্যমে ক্যানভাস দিয়ে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট:

ছোট ব্যবসার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে পারেন। অনেক সময় ছোট ব্যবসার জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্র্যান্ডিংয়ের প্রয়োজন হয় ।যার ফলে ব্র্যান্ডিং করার জন্য তাদের নিয়মিত পোস্টার , ব্যানার এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করার প্রয়োজন পড়ে যার ফলে তাদের কাছে চাকরি করে এবং ক্যানভাস দিয়ে সুন্দর সুন্দর আকর্ষণীয় ডিজাইন তৈরি করতে পারবেন। অর্থাৎ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্যানভাস দিয়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

ক্যানভা টেমপ্লেট বিক্রি করে প্যাসিভ ইনকাম (Passive Income)

টেমপ্লেট বিক্রি করে প্যাসিভ ইনকাম  বলতে এমন কাজকে বুঝায় যে কাজগুলো আপনি একবার করবেন এবং সারা জীবন তার আয় বা ইনকাম পেতে থাকবেন। ক্যানভাতে কি এমন পদ্ধতি রয়েছে যে কাজ একবার করলে তাতে সারা জীবন ইনকাম আসতে শুরু করবে বা চলতে থাকবে চলুন সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
ক্যানভাতে টেমপ্লেট তৈরি করে দিতে হবে যে টেমপ্লেট গুলো খুব সহজ এবং সহজে ব্যবহারের উপযোগী হতে হবে। যাতে যে কেউ টেমপ্লেটটি ব্যবহার করে তার কাঙ্খিত ডিজাইন বা কাজটি করতে পারে উদাহরণস্বরূপ বলা যায় সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টার , ব্যানার , ক্যালেন্ডার , প্রেজেন্টেশনের  স্লাইড অতি সহজেই যাতে ক্যানভাতে এসে বানাতে পারে এমন টেমপ্লেট তৈরি করতে হবে।

প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে কোন ধরনের টেমপ্লেট মানুষ বেশি ব্যবহার করে সেটির SEO এবং আকর্ষণীয় টেমপ্লেট তৈরি করতে হবে। টেমপ্লেট তৈরি করে নির্দিষ্ট নিয়ম পদ্ধতি অবলম্বন করে সহজেই প্যাসিভ ইনকাম করা যায়।

বাংলাদেশের বাজারে ক্যানভা ডিজাইনারদের সুযোগ

বাংলাদেশের বাজারে ক্যান্সার ডিজাইনারদের সুযোগ অত্যন্ত বেশি তার কারণ হিসেবে বেশ কিছু উদাহরণ উল্লেখ করছে আমার আর্টিকেলে।

ফ্রিল্যান্সিংঃ 

ক্যানভা টুলস এর মাধ্যমে খুব সহজেই বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করা যায় যেমন সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ধরনের পোস্ট,  ইউটিউব বা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া এর বিভিন্ন ব্যানার, অনেক ছোট ব্যবসায়ী রয়েছে যারা তাদের ব্যবসার পণ্য বা সেবা মানুষজন কাছে প্রয়োজনীয় জন্য ব্যানার বানিয়ে নেই এবং বিদেশীরা অনেক সময়তে তাদের ব্যবসার প্রচারের জন্য পণ্য বা সেবার ব্যানার বা পোস্টার বানিয়ে নেই বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের কাছে আবার ফ্রিল্যান্সাররা তাদের নিজের কাজের জন্য এই ক্যানভার বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করে থাকে। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারঃ

বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে যেমন ফেসবুক, ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, টিক টক সহ আরো যে অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়াগুলো রয়েছে।সেগুলোর পোস্ট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পোস্ট এর ব্যবহারের জন্য অর্থাৎ পোস্টটিকে বেশ আকর্ষণীয় করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকারীরা এই ক্যানভা দিয়ে তাদের ডিজাইন তৈরি করে তাদের অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে পারে যা দেখতে অনেক আকর্ষণীয় এবং প্রফেশনাল মনে হয়।

ছোট ব্যবসায়ীঃ

যাদের ছোট ব্যবসা রয়েছে তারা তাদের পণ্যের প্রচার এবং প্রসারের জন্য ক্যানভা দিয়ে অতি সহজেই তাদের বিক্রয়কৃত পণ্য বা উৎপাদনকৃত পণ্যের পোস্টার বা ব্যানার বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে অফলাইনেও প্রচার করার জন্য ক্যানভা দিয়ে অত্যন্ত সুন্দরভাবে এবং আকর্ষণীয়ভাবে ডিজাইন তৈরি করতে পারে।

কনটেন্ট তৈরিঃ

বর্তমানে বিভিন্ন কনটেন্ট ফেসবুকে বা ইউটিউব এ অর্থাৎ অনলাইনে দিলে ভালো একটা আয় করা সম্ভব আর তার জন্য দিনের দিন কন্টেন্ট তৈরি করা সংখ্যা বেড়ে চলেছে এবং কনটেন্ট তৈরি করার বিভিন্ন সরঞ্জাম অর্থাৎ কনটেন্ট টিকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও দৃষ্টি মধুর করবার জন্য থাম্বেল তৈরি ভিডিওর বিভিন্ন আকর্ষণীয় দিক তৈরির জন্য ক্যানভার প্রয়োজন।

সফল ক্যানভা ডিজাইনার হতে করণীয়

একজন সফল কানভার ডিজাইনার হতে করণীয় যে খুব কঠিন তা কিন্তু নয় কিছু সুনির্দিষ্ট পথ অবলম্বন করলেই নিজেকে একজন সফল ক্যানভাস ডিজাইনার হিসাবে তৈরি করা সম্ভব চলুন আলোচনা করি সেসব বিষয়গুলো নিয়ে।

ক্যানভার টুলস  এবং টেকনিক্যাল দক্ষতাঃ

ক্যানভা ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ধরনের টুলস রয়েছে যেগুলো বিষয়ে সম্পূর্ণ দক্ষতা আনতে হবে অর্থাৎ কোন তুলসে কি কাজ করা হয় তা ব্যবহার করার জন্য আগে জানতে হবে প্রতিটা টুলস এর বিষয়ে শুধুমাত্র টুলস এর ব্যবহার জানলেই যে নিজেকে দক্ষ বা সফল করা সম্ভব তা কিন্তু নয় যে বিষয়ে ব্যবহার করা হবে বা ডিজাইন তৈরি করা হবে সে বিষয়ে পূর্ণ অভিজ্ঞতা রাখতে হবে তা না হলে ডিজাইনটি আকর্ষণীয় করা সম্ভব নয় বা ডিজাইনটি যৌক্তিক করা সম্ভব হবে না।

রং এবং ফন্ট এর ব্যবহারঃ

ক্যানভা ব্যবহার করতে গেলে যে টাইটেল বা লেখনি দেওয়া হবে তা সঠিক রং ব্যবহার এবং সঠিক ফন্ট ব্যবহারের বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে ফন্ট এবং রং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কোন ডিজাইনকে আকর্ষণীয় করে তুলবার জন্য ক্যানভা যে রং বা ফন্ট রয়েছে সেগুলোর সাথে সাথে নতুন ফান্ড বা অন্য কোন বিষয় আপডেট হয়েছে কিনা সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে।

বিশেষ ক্ষেত্র নির্বাচনঃ

বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন রয়েছে একেক ধরনের ক্লায়েন্ট বা একেক মানুষ বিভিন্ন রকম ডিজাইন এর কাজ চাই সব ডিজাইন বা সব ধরনের কাজ না করে যেকোনো এক ধরনের কাজ করা ভালো অর্থাৎ যেকোনো একটি বিষয় নির্বাচন করুন এবং সেই বিষয়ে উপর কাজ করুন তাতে করে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অনেকটাই বেড়ে যাবে আপনি যে বিষয়টি নির্বাচন করবেন বা যে বিষয়ে সবসময় কাজ করবেন তার ওপর।

পোর্টফোলিও তৈরিঃ

নিজের কাজের উদাহরণ দিয়ে এবং বর্ণনা দিয়ে প্রদর্শন বা আকর্ষণীয় পোর্টফোলিও তৈরি করুন উক্ত তৈরি কৃত পোর্টফলিও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করুন যাতে সহজেই আপনার কাজের ধরন এবং কাজের বিষয়ে যে কেউ ধারণা নিতে পারে এবং আপনাকে কাজ দিতে পারে নিজের অভিজ্ঞতা এবং নতুন কাজ ধরার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

ক্যানভার সফলতার মূল উৎস

ক্যানভা প্লাটফর্ম টি সবচেয়ে বড় সফলতার কথা যদি বলতে চায় তবে প্রতিষ্ঠাতা মিলনী পার্কিং পারকিনস এর গল্প বলতে চাই। মিলনী পারকিং পারকিনস তিনি ডিজাইন শেখানোর সময় দেখেন ঐতিহ্যবাহী ডিজাইন সফটওয়্যার গুলোর ব্যবহার করা কতটা কঠিন এর সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি একটি টুল তৈরি স্বপ্ন দেখেন যেটি সহজেই যেকোনো ডিজাইন করা সম্ভব হবে।
তিনি প্রথমে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে মিলে স্কুলের ইয়ারবুক ডিজাইন করার জন্য ফিউশন বুকস নামে একটি অনলাইন টুল তৈরি করেন এটি ছিল ক্যানভা ধারণার প্রথম চিত্র। দীর্ঘদিনের চেষ্টা ও সিলিকন বিনিয়োগকারীদের দ্বারা প্রত্যাখ্যান হওয়ার পরেও তিনি হাল ছাড়েননি।

 ক্যানভা চালু হয় ২০১৩ সালে এবং বর্তমানে ক্যানভা ব্যবহারকারীদের সংখ্যা অসংখ্য এবং এটি  প্রমাণ করে যে ক্যানভা প্ল্যাটফর্মটি শুধুমাত্র একটি ডিজাইন তৈরি করার টুল নয় এটি একটি প্যাসিভ ইনকামের মডেল এবং একটি সফল ফ্রিল্যান্সিং গোঁড়ার শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। 

প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নঃ ক্যানভা দিয়ে কি প্যাসিভ ইনকাম সম্ভব?

উত্তরঃ হ্যাঁ ক্যানভা দিয়ে প্যাসিভ ইনকাম করা সম্ভব এবং এটি বর্তমানে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং কার্যকর ও পদ্ধতি ক্যানভাস টেমপ্লেট তৈরি করে প্যাসিভ ইনকাম করা সম্ভব।

প্রশ্নঃ ক্যানভা দিয়ে কি ডিজাইন করা যায়?

উত্তরঃ হ্যাঁ ক্যানভা দিয়ে খুব সহজেই দক্ষ এবং অদক্ষ মানুষ উভয়ই খুব সুন্দর এবং প্রফেশনাল ডিজাইন করা সম্ভব।

প্রশ্নঃ ক্যানভা ব্যবহার করতে কি কোন ফি প্রদান করতে হয়?

উত্তরঃ ক্যানভার মধ্যে অনেক ধরনের ফিচার রয়েছে  যার মধ্যে কিছু ব্যবহার করা যায় বিনামূল্যে। কিন্তু প্রো লেভেলের ব্যবহারের জন্য ফি প্রদান করতে হয় যার ফলে ক্যানভার সমস্ত টুল ব্যবহার করা যায়।

প্রশ্নঃ ক্যানভা দিয়ে কি কি ডিজাইন করা যায় ?

উত্তরঃ ক্যানভা দিয়ে সাধারণত যে সব ডিজাইন করা যায় তার মাঝে উল্লেখযোগ্য হল  সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাফিস ডিজাইন , মার্কেটিং ম্যাটেরিয়ালস ডিজাইন , প্রেজেন্টেশন ও ডকুমেন্টস ডিজাইন, ডিজিটাল প্রোডাক্ট ডিজাইন, ভিডিও এনিমেশন ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, মুদ্রনযোগ্য আর্ট ডিজাইন এমন অনেক ডিজাইন করা হয়। 

প্রশ্নঃ ফ্রিলান্সিং করতে কি ক্যানভা সাহায্য করে ?

উত্তরঃ হ্যাঁ ফ্রিলান্সিং করতে ক্যানভা অনেক সাহায্য করে এবং ক্যানভা এর জন্য ফ্রিলান্সিং এর অনেক কাজ সহজ ও প্রাণবন্ত হয়। কাজ গুলো দেখতে অনেক ভালো এবং প্রফেশনাল লাগে।

প্রশ্নঃ ক্যানভা দিয়ে কি কি ডিজাইন করা অনেক কঠিন ?

প্রশ্নঃ না একদমই নয় ক্যানভা দিয়ে দক্ষ ও অদক্ষ উভয় মানুষ  ক্যানভা দিয়ে কাজ করতে পারে এবং সুন্দর ও আকর্ষণীয় ডিজাইন তৈরি করতে পারে। 

শেষ কথা 

বর্তমানে বর্তমানে অনলাইনে ইনকামের পিছনে সবাই ছুটছে কিন্তু সবাই সফলতা পাচ্ছে না তার কারণ হিসেবে বলা যায় সঠিক দিকনির্দেশনা ও সঠিকভাবে বা কাজের দক্ষতা অভাব। তাই ক্যানভা হতে পারে
অনলাইন ইনকামের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন ক্যানভা দিয়ে কাজ করে দক্ষ অদক্ষ সবাই অতি সহজেই কাজ করে ইনকাম করতে পারে।

আমার এই আজকের আর্টিকেল এ চেষ্টা করেছি ক্যানভা দিয়ে কিভাবে সহজে টাকা ইনকাম করা সম্ভব । এবং এটি কত টা সহজ একটু টুলস আশা করি আমারে আর্টিকেলটি আপনাদের বেশ উপকার করবে এবং এটি পড়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন যে কি করে ক্যামেরা ব্যবহার করতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টাইম বিডি ২৪ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url