ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫

ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫।ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী আর এ রাজধানীর জন্যই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ বিভিন্ন কাজের জন্য ঢাকা আসে এবং এই ঢাকা থেকেই প্রতিদিন বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন জেলায় ফেরত যায়। এর আগের আর্টিকেলে আপনাদের জানিয়েছিলাম রাজশাহী টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫।

আজ আপনাদের জানাতে চলেছি ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫, ট্রেনের নাম শ্রেণী অনুযায়ী ভাড়া এবং ট্রেনগুলো সপ্তাহের ছুটি কবে চলুন তাহলে শুরু করি আজকের আর্টিকেল ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫।  

সূচীপত্র ঃ ঢাকা টু  রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫ 

কেন মানুষ ট্রেনকে বেছে নেয় যাত্রা বা ভ্রমন এর জন্য 

ভ্রমণ পিপাসু মানুষের ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বা বিভিন্ন কাজের জন্য মানুষকে এক স্থান থেকে অন্যস্থান যেতে হয় । আর এ যাওয়ার জন্য মানুষ ব্যবহার করে বিভিন্ন যানবাহন এ যানবহনের পছন্দের তালিকায় অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করে ট্রেন ভ্রমণ।অতীতেও মানুষ ট্রেনকে বেছে নিত এক স্থান থেকে অন্যস্থান যাওয়ার জন্য যানবাহন হিসেবে বর্তমানেও ট্রেন এর যাত্রা অধিকাংশ মানুষের শীর্ষে রয়েছে পছন্দের তালিকায়। 

ট্রেন ভ্রমন  বেশ আরামদায়ক অর্থাৎ ট্রেনে বাসের মতো ঝাকি লাগে না। ট্রেনে যাতায়াত করা যায় মানে এক জায়গা থেকে উঠে ট্রেনে হাটাহাটি করা যায় । ছোট বাচ্চারা এবং বয়স্কদের নিয়ে জার্নি করলেও এ সুবিধার জন্য বাসের  মত এক জায়গাতে বসে থাকতে হয় না আবার প্রত্যেকটা ট্রেন স্পেশালি আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে প্রত্যেকটা বগিতে সামনে এবং পিছনে বাথরুম থাকে,  যার ফলে দীর্ঘ জার্নি করলেও  বাথরুমের জন্য  সমস্যায় ভুগতে হয় না । সাথে সাথে বেশ লম্বা বগি অধিকাংশ বগিতে প্রায় ১০৫ জন বা তারও অধিক যাত্রী যাতায়াত করতে পারে যার ফলে এখানে ভ্রমণ করলে পরিবারের সবাই একসাথে থেকে এবং ঝাকি কম হয় তার জন্য আনন্দ হইহুল্লা  করে ভ্রমণটাকে উপভোগ করা যায় এক জায়গাতে বসে এর জন্য বোরিং  ফিল হয় না ।
আরো একটি বিশেষ কারণ রয়েছে ট্রেন ভ্রমণটাকে পছন্দ করার কারণ হিসেবে বাসের ভাড়া ঢাকা থেকে রাজশাহী নন এসি বাসগুলোতে প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা আর এসি বাসগুলোতে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা অপরদিকে ট্রেনের চেয়ার কোচ অর্থাৎ নন এসি বগি বা কামরায় ভাড়া ৪৫০ টাকা এবং এসি কামরা বা বগির ভাড়া ৮৬৩ টাকা এবং যেগুলো কেবিন অর্থাৎ একটি রুমে ৮ থেকে ১০ জন থাকবে সেটির ভাড়া  ১০৩৫ টাকা এখানে দেখা যাচ্ছে ট্রেনের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ভাড়া ৪৫০ টাকা এবং সর্ব উচ্চ সবচেয়ে সুযোগ সুবিধা যেটি সেটির ভাড়া  ১০৩৫ টাকা অপরদিকে বাস এর ক্ষেত্রে ভাড়া অনেক বেশি এটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রধান কারণ বাসের থেকে ট্রেন যাত্রা পছন্দ করবার জন্য। 
 অন্যান্য কারণ হিসেবে আরো একটি কারণ বলা যায় ট্রেনে বিশেষ করে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে একটি খাবারের বগি থাকে যেখানে আপনি বসে বিভিন্ন ধরনের খাবার গ্রহণ করতে পারবেন সাথে চা কফিও খেতে পারবেন।  আবার যদি মনে করেন আপনার সিটে বসে থাকবেন সেখানে বসে অর্ডার করে আপনার পছন্দ অনুযায়ী খাবার খাবেন , সেটির জন্যও লোক আসবে আপনার কাছে এসব  সুযোগ সুবিধার জন্য বাসের থেকে ট্রেন ভ্রমণটিকে অধিক জনপ্রিয় মনে করে অধিকাংশ মানুষ।

ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের নাম (ধরন অনুযায়ী ) 

যারা ঢাকা থেকে রাজশাহী নিয়মিত যাতায়াত করেন অর্থাৎ সেটা ব্যবসার কারণে বা চাকরির সুবাদে হোক আসলে ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী । তাই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় আসে মানুষ যেহেতু ঢাকায় মানুষ আসে সেসব মানুষ কে আবার তাদের নিজ এলাকায় অর্থাৎ নিজ নিজ জেলায় ফেরত যেতে হয় আর তার জন্যই ঢাকা থেকে রাজশাহী ট্রেনের নাম এবং সময় গুলো উল্লেখ করা হবে আমার এই  আর্টিকেলে।  ঢাকা থেকে রাজশাহী প্রতিদিন ছয়টি ট্রেন ছেড়ে যায় এর মধ্যে পাঁচটি আন্তঃনগর এবং একটি মেল এক্সপ্রেস আজকে শুধু আলোচনা করব পাঁচটি  আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর সম্বন্ধে কারণ মেইল এক্সপ্রেস টি সাধারণত জেলা শহর থেকে রাজধানী শহর ঢাকায় কেউ যেতে চায়না।  তাই ওই ট্রেনটি নিয়ে খুব একটা চিন্তা-ভাবনা কারো মাথায় থাকে না । আর তাই আজকে শুধু আলোচনা করব আন্তঃনগর যে পাঁচটি ট্রেন ঢাকা থেকে রাজশাহী যায় সেগুলো বিষয়ে ।  নিচে ছক আকারে ঢাকা থেকে রাজশাহী গামী ট্রেনগুলোর নাম দেওয়া হল । 
ক্রমিক নং ট্রেনের নাম ধরন
ধুমকেতু এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন -৭৬৯
বনলতা এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন -৭৯১
সিল্কসিটি এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন -৭৫৩
মধুমতি   এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন -৭৫৫
পদ্মা এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন -৭৫৯

ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচী 

ঢাকা থেকে রাজশাহী এর উদ্দেশ্যে যে ট্রেনগুলো  প্রতিদিন ছেড়ে যায় সেগুলো এখানে  উল্লেখ করা হল  অর্থাৎ প্রতিদিন পাঁচটি ট্রেন ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।  আপনাদের সুবিধার্থে প্রতিটি ট্রেনের সময়সূচী নিচে উল্লেখ করা হলো সেই  সময়সূচী অনুযায়ী আপনারা আপনাদের ভ্রমণ এর সময় নির্ধারিত করতে পারবেন আশা করি আমার এই আর্টিকেল আপনাদের বেশ উপকার দিবে। 
ক্রমিক নং ট্রেনের নাম ধরন ট্রেন ছাড়ার সময়
ধুমকেতু  এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন -৭৬৯ সকাল ৬.০০ মিনিট
বনলতা এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন -৭৯১ দুপুর ১.৩০ মিনিট
সিল্কসিটি এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন -৭৫৩ দুপুর ২.৩০ মিনিট
মধুমতি এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন -৭৫৫ বিকাল ৩.০০ মিনিট
পদ্মা এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন -৭৫৯ রাত্রি ১০.৪৫ মিনিট

ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের ভাড়া শ্রেণী অনুযায়ী 

ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে প্রতিদিন পাঁচটি আন্তঃনগর ট্রেন ছেড়ে যায় যেগুলোর নাম আপনাদের আগেই উল্লেখ করা হয়েছে এসব ট্রেনগুলোর ধরন একই রকম হলেও সেটি অনুযায়ী অর্থাৎ সুবিধা অনুযায়ী ভাড়া কিন্তু ভিন্ন ধরনের এর বেশ কিছু কারণ রয়েছে তার কারণ হিসেবে পাঁচটি ট্রেনের মধ্যে চারটি ট্রেন ঢাকা থেকে গাজীপুর টাঙ্গাইল হয়ে যমুনা সেতুর দিয়ে উত্তরবঙ্গে অর্থাৎ রাজশাহীতে পৌঁছে এর মাঝে একটি ট্রেন বনলতা এক্সপ্রেস নন স্টপ ট্রেন অর্থাৎ বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে রওনা হয়ে কোন জায়গায় বিরতি না নিয়ে ডাইরেক্ট রাজশাহী পৌঁছে তার জন্য বাকি তিনটি ট্রেন থেকে এই বনলতা এক্সপ্রেস এর ভাড়া একটু বেশি । এবং অন্য একটি ট্রেন মধুমতি এক্সপ্রেস মাওয়া হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে রাজশাহী পৌঁছে যার ফলে এই ট্রেনটির স্টেশন বিরোধী বিরতি এবং ঢাকা থেকে রাজশাহীর রেল পথ দূরত্ব অন্য ট্রেনগুলো থেকে বেশি আর এজন্যই এ ট্রেনটির ভাড়া অন্য ট্রেনগুলো থেকে বেশি হয়ে থাকে নিচে ছক অনুযায়ী ছকের মাধ্যমে ধরন অনুযায়ী এবং ট্রেনের নাম সহ ভাড়া উল্লেখ করা হলো আশা করি এই ছক আপনাদের জন্য বেশ উপকারী হবে। 
ক্রমিক নং ট্রেনের নাম রুট ধরন শোভন চেয়ার সিগ্ধা এসি সিট এসি বাথ
ধুমকেতু  এক্সপ্রেস যমুনা সেতু হয়ে ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন ৪৫০ টাকা ৮৬৩ টাকা ১০৩৫ টাকা নেই
বনলতা এক্সপ্রেস যমুনা সেতু হয়ে ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন (নন স্টপ) ৪৯৫ টাকা ৯৪৯ টাকা ১১৩৯ টাকা নেই
সিল্কসিটি এক্সপ্রেস যমুনা সেতু হয়ে ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন ৪৫০ টাকা ৮৬৩ টাকা ১০৩৫ টাকা নেই
মধুমতি  এক্সপ্রেস পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন ৫৮৫ টাকা নেই  ১৩৪০ টাকা নেই
পদ্মা এক্সপ্রেস যমুনা সেতু হয়ে ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন ৪৫০ টাকা ৮৬৩ টাকা নেই ১৫৯৭ টাকা

ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেন যে সব স্টেশন এ বিরতি দেয়

ঢাকার থেকে রাজশাহী উদ্দেশ্যে যেসব ট্রেনগুলো ছেড়ে যাই , সেসব আন্তঃনগর ট্রেনগুলো অর্থাৎ পাঁচটি ট্রেন কোথায় কখন কোন স্টেশনে কত টাইম যাত্রা বিরতি দেয় তার সবগুলো আলোচনা করব আজকের আর্টিকেলে।  ট্রেন অনুযায়ী কোন স্টেশনে দাঁড়ায় এবং কত মিনিট দাঁড়ায় তা  বর্ণনা দেওয়া হল যাতে আপনার সঠিক সিধান্ত নিতে সাহায্য করবে। 

১।ধুমকেতু এক্সপ্রেস ( আন্তঃনগর ট্রেন-৭৬৯ ) ছাড়ার সময় - সকাল ৬.০০ মিনিট  

স্টেশন নাম বিরতির সময় পোঁছানোর সময়
ঢাকা  ০০ ৬.০০ মিনিট
বিমান বন্দর ঢাকা ৫ মিনিট ৬.২৩ মিনিট
জয়দেবপুর ২ মিনিট ৬.৫১ মিনিট
টাঙ্গাইল ২ মিনিট ৭.৪৭ মিনিট
ইব্রাহিমাবাধ ২ মিনিট ৮.০৯ মিনিট 
এস এইচ এম মন্সুর আলী  ৩ মিনিট ৮.২৭ মিনিট
জামতৈল  ৬ মিনিট ৮.৩৪ মিনিট
উল্লাপাড়া  ৩ মিনিট ৮.৫৬ মিনিট
বড়াল ব্রিজ  ৩ মিনিট ৯.২৮ মিনিট
চাটমোহর ৩ মিনিট ৯.৪৪ মিনিট
ঈশ্বরদী বাইপাস ৩ মিনিট  ১০.১২ মিনিট
আব্দুল্পুর ৩ মিনিট ১০.৩৩ মিনিট


আড়ানী  ২ মিনিট ১০.৪৭ মিনিট


রাজশাহী  ১১.৪০ মিনিট


২।বনলতা এক্সপ্রেস-আন্তঃনগর ট্রেন-৭৯১ (নন-স্টপ) ছাড়ার সময়-দুপুর ১.৩০ মিনিট  

ঢাকা থেকে রাজশাহী উদ্দেশ্যে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যায় দুপুর ১.৩০ মিনিটে।এটি একটি ননস্টপ ট্রেন যার কারণে এ ট্রেনটির স্টেশনের বিরতির সংখ্যা কম চলুন দেখে নিয়ে যাক এই নন স্টপ ট্রেনটি কোথায় কোথায় বা কোন কোন স্টেশনে দাঁড়ায় ।নন স্টপ ট্রেন হাওয়াই ঢাকা থেকে  সরাসরি রাজশাহী যাবে তাই সবার পছন্দ এই বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি, কারণ এখানে স্টেশন বিরক্তি কম হওয়ায়  রাজশাহী পোঁছাতে কম সময় লাগে। 
স্টেশন নাম বিরতির সময় পোঁছানোর সময়
ঢাকা  ১.৩০ মিনিট
বিমান বন্দর ঢাকা ১.৫৩ মিনিট

ননস্টপ ট্রেন  হওয়ায় ট্রেনটি আর কোন জায়গায় বিরতি না দিয়ে  সরাসরি রাজশাহী পৌঁছায় বিকেল ৫.৪৫ মিনিটে এবং এই ট্রেনটি রাজশাহীতে প্রায় ২০ মিনিট বিরত দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এ পৌঁছে সন্ধ্যা ৭:১৫ মিনিটে।  
 

৩।সিল্কসিটি এক্সপ্রেস (আন্তঃনগর ট্রেন-৭৫৩) ছাড়ার সময় - দুপুর ২.৩০ মিনিট  

ঢাকা স্টেশন থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার তৃতীয় ট্রেনটি হচ্ছে  সিল্কসিটি এক্সপ্রেস এটি একটি আন্তঃনগর ট্রেন এবং এটি  যমুনা সেতু হয়ে রাজশাহী পৌঁছায়।  এ ট্রেনটির বিরতি স্টেশন রয়েছে ১৩ টি কোন স্টেশনে কত সময়  বিরতি নেয়  এই ট্রেনটি তা ছক  আকারে নিচে বর্ণনা করা হলো।
আশা করি উক্ত ইনফরমেশন গুলো আপনাদের কাজে দিবে। 
স্টেশন নাম বিরতির সময় পোঁছানোর সময়
ঢাকা ২.৩০ মিনিট
বিমান বন্দর ঢাকা   ৫ মিনিট ২.৫৩ মিনিট
জয়দেবপুর ৩ মিনিট ৩.২১ মিনিট
টাঙ্গাইল ২ মিনিট ৪.২৬ মিনিট
ইব্রাহিমাবাধ ২ মিনিট ৪.৪৮ মিনিট
এস এইচ ম মুন্সুর আলী ৩ মিনিট ৫.০৬ মিনিট
জামতৈল ২ মিনিট ৫.১৯ মিনিট
উল্লাপাড়া ৩ মিনিট ৫.৩১ মিনিট
বড়াল ব্রিজ ৩ মিনিট ৬.০৬ মিনিট
চাটমোহর ২ মিনিট ৬.২৩ মিনিট
ঈশ্বরদী বাইপাস ৩ মিনিট ৬.৪৮ মিনিট
আব্দুল্পুর ৩ মিনিট ৭.০৬ মিনিট
রাজশাহী ৮.২০ মিনিট

৪।মধুমতি এক্সপ্রেস (আন্তঃনগর ট্রেন-৭৫৫) ছাড়ার সময় - বিকাল ৩.০০ মিনিট  

অন্য সব ট্রেনগুলো অর্থাৎ বাকি চারটি ট্রেন যমুনা সেতু পার হয়ে রাজশাহী পৌঁছে কিন্তু শুধুমাত্র এই একটি ট্রেন মধুমতি এক্সপ্রেস মাওয়া হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে কুষ্টিয়া দিয়ে রাজশাহী পৌঁছে । এজন্য এ ট্রেন দিয়ে যারা রাজশাহী যেতে চায় তাদের সময় একটু বেশি  লাগলেও অন্যান্য জেলার লোক অর্থাৎ রাজবাড়ী , কুষ্টিয়া এসব জেলার লোক  কিছু সুবিধা পাওয়া যায়।  যার জন্য এ ট্রেনটির অবদান কিন্তু কম নয় । চলুন আজকের আর্টিকেলে জেনে নেওয়া যাক ট্রেন অর্থাৎ মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি কোন কোন স্টেশনে কত সময়  বিরতি নেয়  এবং কতগুলো ট্রেন স্টেশন এ  বিরতি নেয় । যাতে ওইসব স্টেশনের যাত্রীগণ এই ট্রেনের সুবিধা উপভোগ করতে পারে।  নিচে ছক আকারে স্টেশন গুলোর বিরতি স্টেশন গুলোর নাম সময় সহ উল্লেখ করা হলো।

স্টেশন নাম বিরতির সময় পোঁছানোর সময়
ঢাকা ০০ ৩.০০ মিনিট
শ্রীনগর ০০ মিনিট ৩.৩৩ মিনিট
মাওয়া ২ মিনিট ৩.৩৬ মিনিট
পদ্মা ২ মিনিট ৩.৫১ মিনিট
শিবচর ২ মিনিট ৪.০৫ মিনিট
ভাঙা ২ মিনিট ৪.২৮ মিনিট
পুকুরিয়া ০ মিনিট ৪.৪৫ মিনিট
তালমা ০ মিনিট ৪.৪৬ মিনিট
ফারিদপুর ৩ মিনিট ৫.০৩ মিনিট
আমিরাবাদ ০ মিনিট ৫.১৮ মিনিট
পাচুরিয়া ০ মিনিট ৫.৩৫ মিনিট
রাজবাড়ী ১৫.০০ মিনিট ৫.৪৫ মিনিট
কালুখালি ২ মিনিট ৬.২৩ মিনিট
পাংশা ২ মিনিট ৬.৩৫ মিনিট
খোকসা ২ মিনিট ৬.৫১ মিনিট
কুমারখালী ২ মিনিট ৭.০৩ মিনিট
কুষ্টিয়া কোর্ট ৩ মিনিট ৭.২২ মিনিট 
পোড়াদাহা ২৫ মিনিট ৭.৪৫ মিনিট
মিরপুর ২ মিনিট ৮.২০ মিনিট
ভেরামারা ৩ মিনিট ৮.৩২ মিনিট
পাকশি ২ মিনিট ৮.৪৭ মিনিট
ঈশ্বরদী ২০ মিনিট  ৯.০৫ মিনিট 
রাজশাহী
১০.৩০ মিনিট 

৫।সিল্কসিটি এক্সপ্রেস (আন্তঃনগর ট্রেন-৭৫৯) ছাড়ার সময় - রাত ১০.৪৫ মিনিট  

ঢাকা স্টেশন থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া পঞ্চম ও দিনের শেষ ট্রেনটি হচ্ছে পদ্মা এক্সপ্রেস এটি একটি আন্তঃনগর ট্রেন এবং এটি  যমুনা সেতু হয়ে রাজশাহী পৌঁছায়।এ ট্রেনটির বিরতি স্টেশন রয়েছে ১৩ টি কোন স্টেশনে কত সময়  বিরতি নেয়  এই ট্রেনটি তা ছক  আকারে নিচে বর্ণনা করা হলো।
আশা করি উক্ত ইনফরমেশন গুলো আপনাদের কাজে দিবে। 
স্টেশন নাম বিরতির সময় পোঁছানোর সময়
ঢাকা ১০.৪৫ মিনিট
বিমান বন্দর ঢাকা   ৫ মিনিট ১১.০৮ মিনিট
জয়দেবপুর ২ মিনিট ১১.৩৬ মিনিট
টাঙ্গাইল ২ মিনিট ১২.৩২ মিনিট
ইব্রাহিমাবাধ ২ মিনিট ১২.৫৪ মিনিট
এস এইচ ম মুন্সুর আলী ৩ মিনিট ১.১১ মিনিট
উল্লাপাড়া ৩ মিনিট ১.৩৩ মিনিট
বড়াল ব্রিজ ২ মিনিট ১.৫৩ মিনিট
চাটমোহর ৩ মিনিট ২.১০ মিনিট
ঈশ্বরদী বাইপাস ৩ মিনিট ২.৩০ মিনিট
আব্দুল্পুর ২ মিনিট ২.৪৮ মিনিট
সারদা রোড  ২ মিনিট ৩.১৬ মিনিট
রাজশাহী ৪.০০ মিনিট

ঢাকা টু  রাজশাহী ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটির দিন 

ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে প্রতিদিন ৫ টি ট্রেন ছেড়ে গেলেও প্রত্যেকটা ট্রেনের আলাদা আলাদা  বন্ধের দিন রয়েছে । যে দিনটি জানা আপনার জন্য অত্যন্ত জরুরী কেননা ছুটির দিন ট্রেন বন্ধ থাকবে সেদিন যাতে আপনার কোন যাত্রা থেকে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন । আমি মনে করি এই ছুটির দিনটি জানা প্রত্যেকটা মানুষ, যারা ট্রেনে যাতায়াত করে তাদের জানা উচিত।তাই নিচের ছকটি আপনাদের জন্য যার ফলে আপনারা কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন। 
ক্রমিক নং ট্রেনের নাম  সাপ্তাহিক বন্ধের দিন   সাপ্তাহের অন্যদিন ট্রেন ছাড়ার সময়
ধুমকেতু এক্সপ্রেস  বৃহস্পতিবার সকাল ৬.০০ মিনিট
বনলতা এক্সপ্রেস শুক্রবার দুপুর ১.৩০ মিনিট
সিল্কসিটি এক্সপ্রেস রবিবার দুপুর ২.৩০ মিনিট
মধুমতি  এক্সপ্রেস  শনিবার  বিকাল ৩.০০ মিনিট
পদ্মা এক্সপ্রেস মঙ্গলবার রাত্রি ১০.৪৫ মিনিট

রাজশাহী টু ঢাকা ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটির দিন 

রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে প্রতিদিন ৫ টি ট্রেন ছেড়ে গেলেও প্রত্যেকটা ট্রেনের আলাদা আলাদা  বন্ধের দিন রয়েছে । যে দিনটি জানা আপনার জন্য অত্যন্ত জরুরী কেননা ছুটির দিন ট্রেন বন্ধ থাকবে সেদিন যাতে আপনার কোন যাত্রা থেকে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন । আমি মনে করি এই ছুটির দিনটি জানা প্রত্যেকটা মানুষ,  যারা ট্রেনে যাতায়াত করে তাদের জানা উচিত।তাই নিচের ছকটি আপনাদের জন্য যার ফলে আপনারা কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন। 
ক্রমিক নং ট্রেনের নাম  সাপ্তাহিক বন্ধের দিন   সাপ্তাহের অন্যদিন ট্রেন ছাড়ার সময়
মধুমতি এক্সপ্রেস শনিবার সকাল ৬.৪০ মিনিট
বনলতা এক্সপ্রেস শুক্রবার সকাল ৭.০০ মিনিট
সিল্কসিটি এক্সপ্রেস রবিবার সকাল ৭.৪০ মিনিট
পদ্মা এক্সপ্রেস  মঙ্গলবার  বিকাল ৪.০০ মিনিট
ধুমকেতু এক্সপ্রেস বুধবার রাত্রি ১১.২০ মিনিট

 ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম

বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট সাধারণত দুই পদ্ধতিতে বিক্রি হয়।এক হচ্ছে আপনি স্টেশনে গিয়ে কাউন্টার থেকে টিকিট কাটতে পারবেন সেক্ষেত্রে আপনাকে পেমেন্ট করে অর্থাৎ টাকা দিয়ে কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে  আরেকটি হচ্ছে অনলাইনে মাধ্যমে টিকিট কাটতে হবে কাউন্টারের সামনে টিকিট কাটতে গেলে অনেকে ভিড় হয় দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করার একটা সম্ভাবনা থাকে যা অনেকেই বিরক্ত বা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার হওয়ার কারনে  অনেকেই সেটি  এড়িয়ে যায় ।
 আপনি অনলাইন থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করার জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের  নিয়ম গুলো আপনাকে ফলো করতে হবে কিসেই  নিয়ম তা নিম্নে বর্ণনা করে দেওয়া হলো যাতে আপনার বুঝতে সুবিধা হয়। অনলাইনে ট্রেনের টিকেট করার জন্য প্রথমে আপনাকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট এ ঢুকতে হবে সে  ওয়েবসাইটটি হলো  https://bangladesh-railway.com   এই ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার জন্য আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার দুই মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন করতে পারবেন এর জন্য আপনাকে যে কোন ওয়েব ব্রাউজার চালু করে এই https://bangladesh-railway.com ঠিকানায় প্রবেশ করে ডান পাশে রেজিস্ট্রেশন বাটন দেখতে পাবেন সেই রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করলে আপনাকে কিছু তথ্যের জন্য একটি ফর্ম এ নিয়ে যাবে । 
এখানে আপনার সম্পূর্ণ নাম, ইমেইল , মোবাইল নাম্বার , পাসওয়ার্ড ,  জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার বা জন্ম নিবন্ধন এর নাম্বার পোস্টাল কোড ও ঠিকানা দিয়ে সাইনআপ বাটনে ক্লিক করতে হবে । কিছুক্ষনের মধ্যে আপনার দেওয়া মোবাইল নাম্বারে একটি ছয় সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড আসবে এই কোড দিয়ে কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করুন ভেরিফিকেশন শেষে স্বয়ংক্রভাবে আপনার প্রোফাইলে লগইন হয়ে যাবে টিকিট ক্রয় করার জন্য https://bangladesh-railway.com এখানে যান এবং আপনার রেজিস্ট্রেশন  নাম্বার দিয়ে বা ইমেইল আইডি দিয়ে প্রবেশ করুন অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য আপনি সর্বোচ্চ ৫ দিন আগে টিকিট কাটতে পারবেন যেকোনো মোবাইল বা আপনার কম্পিউটারের মাধ্যমে ।

তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পোর্টাল প্রতিদিন সকাল ৮.০০ থেকে রাত ১১ঃ৪৪ পর্যন্ত যে কোন সময় টিকিট কাটতে পারবেন বাকি সময় পোর্টালটি বন্ধ থাকে।টিকিট কাটার জন্য আপনার যাত্রা শুরু স্টেশন, যাত্রার তারিখ ও টিকিটের শ্রেণী নির্ধারণ করবেন  এবং আপনি কোন আসনে যেতে ইচ্ছুক সেটি সিলেক্ট করে কন্টিনিউ বাটনে অর্থাৎ পারচেস বাটনে ক্লিক করলে আপনার স্ক্রিনে আপনার টিকিটের মূল্য ভ্যাট ও সার্ভিস চার্জ সহ একটি নতুন পেজ আসবে সবকিছু ঠিক থাকলে টিকিট ক্রয় করার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং অথবা ডেবিট কার্ড বা বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকের অপশন রয়েছে যেমন বিকাশ-নগদ- রকেট সহ এসব সার্ভিসগুলোর মধ্যে আপনার যেটি পছন্দ সেটি দিয়ে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন।

উল্লিখিত যে অপশনটি আপনি টাকা পরিশোধ করার জন্য ব্যবহার করবেন সেটিতে আপনার টিকিটের মূল্য ভ্যাটসহ এবং অনলাইনে টিকিট ক্রয় করলে সার্ভিস চার্জসহ সমপরিমাণ টাকা আপনার বিকাশে বা নগদে থাকা লাগবে টিকিট ক্রয় করার জন্য সবগুলো প্রসেস কমপ্লিট করে কনফার্ম পারচেজ হলে আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে স্বয়ংক্রভাবে টাকা কেটে যাবে । এরপর আপনার টিকিটটি প্রিন্ট করে নিতে পারেন যদি সেটাও না পারেন ওয়েবসাইট অর্থাৎ অনলাইন কপি আপনার মোবাইলে রাখতে পারবেন। 

যেদিন আপনার যাত্রা হবে সেদিন ট্রেনে টিটি যখন টিকিট চেক করতে আসবে মোবাইলে স্ক্রিনে বা প্রিন্ট কৃত কপি দেখালেই হবে । আপনার অ্যাকাউন্টটি ভবিষ্যতের জন্য পাসওয়ার্ড এবং ইমেল আইডি সংরক্ষণ করুন । বলে রাখা ভালো একজন যাত্রী একসাথে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট ক্রয় করতে পারবে।  আশা করি অনলাইন বা অফলাইন ট্রেনের টিকিট কিভাবে ক্রয় করতে হয় আপনি বুঝতে পেরেছেন।

ঢাকা টু  রাজশাহী ট্রেন  এ পোঁছাতে সময় কত লাগে 

ঢাকা থেকে রাজশাহী  পাঁচটি ট্রেন রয়েছে। কিন্তু কোন ট্রেনে কত সময় লাগে ঢাকা পৌঁছাতে,যদিও রুট দুইটি প্রথম রুট অর্থাৎ যমুনা সেতু হয়ে চারটি ট্রেন যায় যেটা আমি আগেই বলেছি সেগুলোর দূরত্ব এক হওয়া সত্ত্বেও সময় অর্থাৎ রাজশাহী পৌঁছাতে সময় কম বেশি লাগে। তার কারণ হিসেবে সবগুলো ট্রেনের  বিরতি স্টেশনগুলো একই রকম নয় কোন ট্রেনের বিরতির সংখ্যা কম আবার কোন ট্রেনে বিরতি সংখ্যা বেশি এই তারতমের জন্য এক এক ট্রেনের এক এক রকম সময় লাগে নিচে ছ্ক আকারে ট্রেনের নাম অনুযায়ী কোন ট্রেনের কত সময় লাগে আপনাদের সুবিধার্থে তা উল্লেখ করলাম।
ক্রমিক নং ট্রেনের নাম  ট্রেনের রুট    ঢাকা থেকে রাজশাহী পোঁছানোর সময় 
ধুমকেতু এক্সপ্রেস পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা  ৫ ঘণ্টা ২০ মিনিট লাগে  
বনলতা এক্সপ্রেস যমুনা সেতু হয়ে ঢাকা  ৪ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট 
সিল্কসিটি এক্সপ্রেস যমুনা সেতু হয়ে ঢাকা  ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট 
মধুমতি এক্সপ্রেস  যমুনা সেতু হয়ে ঢাকা  ৫ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
              পদ্মা এক্সপ্রেস     যমুনা সেতু হয়ে ঢাকা  ৫ ঘণ্টা ২০ মিনিট

ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেন রেলপথে দূরত্ব কত ? 

প্রতিদিন ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে পাঁচটি ট্রেন ছেড়ে গেলেও প্রতিটি ট্রেনের দূরত্ব অর্থাৎ ঢাকা থেকে রাজশাহীর রেলপথের দূরত্ব কিন্তু এক নয়।এটির কম বেশি হওয়ার কারণ হচ্ছে কোনো ট্রেন যেমন যমুনা সেতু হয়ে যায় আবার আরেকটি ট্রেন পদ্মা সেতু হয়ে যায়।যেহেতু ঢাকা থেকে রাজশাহীর যাবার রেলপথ দুটি রুট প্রথম রুট অর্থাৎ যেটি যমুনা সেতু হয়ে রাজশাহী  যায় সেটি রেলপথের দূরত্ব ঢাকা থেকে রাজশাহীর ২৬০ কিলোমিটার।  এই রুটে পাঁচটি ট্রেনের মধ্যে চারটি ট্রেন যায় অর্থাৎ বনলতা এক্সপ্রেস , সিল্কসিটি এক্সপ্রেস , পদ্মা এক্সপ্রেস এবং ধুমকেতু এক্সপ্রেস অপরদিকে পদ্মা সেতু হয়ে শুধুমাত্র একটি ট্রেন যায়।  যার নাম মধুমতি এক্সপ্রেস এই রুটে ঢাকা থেকে রাজশাহীর দূরত্ব রেলপথে প্রায় ৩৪৩ কিলোমিটার আর এই জন্যই এই  ট্রেন গুলোতে একই রকম হওয়া সত্বেও দূরত্বের কারন থেকে ভাড়ার তারতম্য রয়েছে । 

ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেন বিষয়ে সাধারন জিজ্ঞাসা ও উত্তর 

ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী যার ফলে বহু মানুষ প্রতিদিন রাজধানীতে আসে বিভিন্ন কাজ নিয়ে যেমন ঢাকা থেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে আশা সেইসব মানুষ আবার চলেও যায় রাজধানী ঢাকা থেকে। আমার আর্টিকেলে আগেই বলেছি ঢাকা থেকে রাজশাহী যাওয়ার ৫টি ট্রেন রয়েছে।এ ট্রেনগুলো কখন যায় বা বিভিন্ন রকম প্রশ্ন আপনারা ওয়েবসাইটে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে জানবার জন্য সার্চ করে থাকেন সেই সব প্রশ্নগুলোর প্রশ্ন এবং উত্তর নিচে দেওয়ার চেষ্টা করলাম আশা করি আপনাদের কাজে দেবে।

প্রশ্ন ঃ ঢাকা থেকে রাজশাহী  যাবার কি কি ট্রেন আছে? 
উত্তর ঃ ঢাকা থেকে রাজশাহী যাবার মোট পাঁচটি ট্রেন আছে ট্রেনগুলো হল মধুমতি এক্সপ্রেস,  বনলতা এক্সপ্রেস,  সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস , পদ্মা এক্সপ্রেস এবং ধুমকেতু এক্সপ্রেস। 
প্রশ্ন ঃ ঢাকা থেকে রাজশাহী ট্রেনগুলো কখন বা কোন সময় ?
উত্তর ঃ ঢাকা থেকে রাজশাহী যাবার ট্রেনগুলোর মধ্যে প্রথম ট্রেন রয়েছে সকাল ৬.০০ মিনিট তারপর দ্বিতীয় ট্রেন দুপুর ১.৩০ মিনিট  তারপর তৃতীয় ট্রেন  দুপুর ২.৩০ মিনিট, চতুর্থ ট্রেন বিকাল ৩.০০ টায় এবং পঞ্চম ও শেষ ট্রেন রয়েছে রাত্রি ১০.৪৫ মিনিট।
প্রশ্ন ঃ ঢাকা থেকে রাজশাহী ট্রেনে যেতে কত সময় লাগে?
উত্তর ঃঢাকা থেকে রাজশাহী ট্রেনে যেতে এক এক ট্রেনে এক এক রকম সময় লাগে তা নিচে উল্লেখ করা হলো। 
ক্রমিক নং ট্রেনের নাম  ট্রেনের রুট    ঢাকা থেকে রাজশাহী পোঁছানোর সময় 
ধুমকেতু এক্সপ্রেস পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা  ৫ ঘণ্টা ২০ মিনিট লাগে  
বনলতা এক্সপ্রেস যমুনা সেতু হয়ে ঢাকা  ৪ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট 
সিল্কসিটি এক্সপ্রেস যমুনা সেতু হয়ে ঢাকা  ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট 
মধুমতি এক্সপ্রেস  যমুনা সেতু হয়ে ঢাকা  ৫ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
              পদ্মা এক্সপ্রেস     যমুনা সেতু হয়ে ঢাকা      ৫ ঘণ্টা ২০ মিনিট

প্রশ্ন ঃ ট্রেনগুলোতে খাবারের ব্যবস্থা আছে কি?
উত্তর ঃ ট্রেনগুলোতে প্রত্যেকটাতেই খাবারের ব্যবস্থার  সাথে সাথে বাথরুম বা ওয়াশরুম যাবার ব্যবস্থাও রয়েছে।
প্রশ্ন ঃ ঢাকা থেকে রাজশাহী  ট্রেনের ভাড়া কত?
উত্তর ঃঢাকা থেকে রাজশাহী ট্রেন ভাড়া শোভন চেয়ার ৪৫০ টাকা , সিন্ধা বা এসি চেয়ার ৮৬৩ টাকা, এসি কেবিন ১০৩৫ টাকা ।

শেষ কথা 

উপরোক্ত তথ্যগুলোতে আমি চেষ্টা করেছি ঢাকা থেকে রাজশাহী ট্রেন জার্নির সমস্ত তথ্য এখানে দেওয়ার। আশা করি আপনার মনের মধ্যে যেসব প্রশ্নগুলো ঘুরপাক খায় ঢাকা থেকে রাজশাহী ট্রেন যাত্রা নিয়ে সবগুলো উত্তর আপনি এখানে পেয়েছেন । আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থেকে তাহলে আর্টিকেলটি শেয়ার করে আরো মানুষকে বা আপনার আত্মীয় স্বজনের মাঝে শেয়ার করে দেখার সুযোগ করে দিন।
আর এ সব তথ্য ব্যতীত আরো কিছু জানার  থাকলে কমেন্ট বক্সে জানালে চেষ্টা করব আপনার সমস্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে।  যদি আর কোন বিষয়ে আর্টিকেল লিখা বা জানার প্রয়োজন হয়  জানাবেন চেষ্টা করব সেসব বিষয়গুলো নিয়ে সুন্দর করে তথ্যবহুল আর্টিকেল লিখার। আজকের মত এখানেই কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে নতুন কোন বিষয় নিয়ে । সবাই ভালো থাকবেন এই প্রত্যাশা নিয়ে শেষ করছি আজকের আর্টিকেল।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টাইম বিডি ২৪ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url